সিঙ্গাপুরের নতুন মন্ত্রীরা শপথ নিলেন
গত ১০ জুলাই সিঙ্গাপুরে জাতীয় নির্বাচন হয়েছে। এর দুই সপ্তাহ পর ২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লং সিঙ্গাপুরের নতুন মন্ত্রিপরিষদ ঘোষণা করেন। আর গত সোমবার (২৭ জুলাই) পার্লামেন্ট হাউসে রাষ্ট্রপতি হালিমা ইয়াকুবের অনুমতিক্রমে ও সিঙ্গাপুরের প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে নতুন মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা শপথ গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থবারের মতো পার্টির সাধারণ সম্পাদক সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন লি সিয়েন লং, উপ প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী হেং সুই কিয়াত, ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী তিও চি হেন, ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী থার্মান শানমুগারাতনাম, প্রতিরক্ষামন্ত্রী অং এং হেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণনান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী কে সানমুগাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী গান কিম ইয়ং, যোগাযোগ ও তথ্যমন্ত্রী এস ঈশ্বরান, ধারণক্ষমতা ও পরিবেশমন্ত্রী গ্রেস ফু, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী চান চুন সিং, শিক্ষামন্ত্রী লরেন্স ওং, সামাজিক ও পারিবারিক উন্নয়নমন্ত্রী মাসাগোস জুলকিফলি, যোগাযোগমন্ত্রী অং য়ি কাং, জনশক্তি মন্ত্রী জোসেফিন তিও, জাতীয় উন্নয়নমন্ত্রী ডেসমন লি, প্রধানমন্ত্রীর অফিসের মন্ত্রী ইন্দ্রানী রাজাহ, প্রধানমন্ত্রীর অফিসের মন্ত্রী মালিকি ওসমান সংস্কৃতি, সম্প্রদায় ও যুব মন্ত্রী এডউইন তং, প্রধানমন্ত্রী অফিসের মন্ত্রী ছিলেন তান সি লিং।
সিঙ্গাপুরের সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বের পাশাপাশি তারা (মন্ত্রীরা) উপমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করে থাকেন। সেই হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী একজন মন্ত্রীর দুই থেকে তিনটি মন্ত্রণালয়ের কাজ করতে হয়। এ ছাড়া কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় সচিবও রয়েছেন।
সর্বমোট ৩৭ জনের মন্ত্রিসভায় এবার ৭ জন নতুন সংসদ সদস্য যুক্ত হয়েছেন। গত মন্ত্রিসভার ৬ জনের দুইজন অবসরে গেছেন এবং বাকি চারজন এবার জাতীয় নির্বাচনে হেরে মন্ত্রিসভায় নিজের পদ হারিয়েছেন।
সিঙ্গাপুরের ১৪ তম জাতীয় নির্বাচনে ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৪৯১ ভোট পেয়ে ৮৩ আসনে জয় পায় পিপলস একশন পার্টি (পিএপি)। বিরোধীদল ওয়ার্কার্স পার্টি পেয়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯২২ ভোট, যা সর্বমোট ভোটের ১১ দশমিক ২২ ভাগ এবং ১০ আসন জিতেছেন তারা। ২০১৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে সংসদীয় মোট আসনসংখ্যা ছিল ৮৯ টি, এ বছর চার সিটের একটি নতুন গ্রুপ রিপ্রেজেন্টেশন কনস্টিটিউয়েন্সি বা জিআরসি বাড়িয়ে আসনসংখ্যা হয় ৯৩টি। সিঙ্গাপুরের মোট ভোটার ২৬ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৫ জন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৬ হাজার ৫৭০ জন সিঙ্গাপুরের নাগরিক এবার জাতীয় নির্বাচনে ভোট প্রদান করেছেন।
আগামী ২৪ আগস্ট ১৪ তম সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি হালিমা ইয়াকুব, সিঙ্গাপুরের সকল নাগরিককে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন নির্বাচিত এই সংসদকে সম্পূর্ণ সমর্থন করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী লি বলেন, আমার নতুন মন্ত্রিসভা করার সময়, আমি তিনটি জিনিস ধারাবাহিকতা, নতুনত্ব এবং নবায়ন এর ভারসাম্য বজায় রেখেছি। তিনি আরও বলেন, এই মন্ত্রিসভা আমাদের বর্তমান স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে সিঙ্গাপুরকে নেতৃত্ব দেবে এবং সংকট ছাড়িয়ে আমাদের ভবিষ্যতের পরিকল্পনাও করবে, যাতে সিঙ্গাপুর দৃঢ়ভাবে সংকট থেকে পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং কোভিড-পরবর্তী বিশ্বে সুযোগ গ্রহণ ও নেতৃত্ব দিতে পারে।