সিউলে প্রবাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের মতবিনিময়
দক্ষিণ কোরিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস। গতকাল রোববার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে রাজধানী সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। এতে দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের আমন্ত্রিত প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম সূচনা বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়। নানা সূচকে ইমার্জিং টাইগারের মতো এগিয়ে চলছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ওপরও আলোকপাত করেন তিনি।
দূতাবাসের কাউন্সেলর (বাণিজ্য উইং) মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন সূচক তুলে ধরে বিনিয়োগের খাতগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।
আরও বক্তব্য দেন দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাশে এয়ার কমোডর কাজী শফিকুল হাসান। তিনি ডিফেন্স উইংয়ের নানা কার্যক্রম প্রবাসীদের সামনে তুলে ধরেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। কমিউনিটি প্রতিনিধিরা দূতাবাসের এই উদ্যোগ ও দূতাবাসের চলমান নানা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম কমিউনিটি সংগঠনগুলোকে এক হয়ে একতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে নতুন এক বাংলাদেশ কমিউনিটি দেখবে কোরীয়রা।
এশিয়া সাংস্কৃতিক উৎসবে বাংলাদেশ দূতাবাসের অংশগ্রহণ
দেশটিতে অনুষ্ঠিত ‘প্রথম এশিয়া সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ২০১৯’ উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এশিয়া কালচার ইনস্টিটিউট ও গুয়াংজু ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের সহযোগিতায় এই সাংস্কৃতিক উৎসব রাজধানী সিউল থেকে ২৬৮ কিলোমিটার দূরে গুয়াংজু শহরের এশিয়া কালচার সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
দুই দিনব্যাপী (২৩-২৪ অক্টোবর) এই উৎসবে বাংলাদেশসহ মোট ১৪টি দেশ এবং বিভিন্ন সংগঠন অংশগ্রহণ করে। উৎসব প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
২৩ অক্টোবর অংশগ্রহণকারী দেশ ও সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এশিয়া কালচার সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট লি জিন-শিক এই উৎসবের উদ্বোধন করেন।
উৎসবে বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত স্টলে বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প যেমন—ঐতিহ্যবাহী পাটজাত দ্রব্য, নকশিকাঁথা, কাঠের পুতুল, বাঁশি, হাতপাখা, অলংকার ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা, বিনিয়োগ ও পর্যটনসংক্রান্ত লিফলেটও বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া সংগীত পরিবেশন করা হয়।
সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র হিসেবে খ্যাত গুয়াংজু শহরে বাংলাদেশ দূতাবাসের এই উপস্থিতি স্বাগতিক দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে আরও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। সেই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনসহ ব্যবসা ও বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে আন্তসংযোগ বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।