সিউলে আমদানি পণ্যের মেলায় বাংলাদেশ
দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে আমদানি পণ্যের মেলায় (ইমপোর্ট গুডস ফেয়ার—আইজিএফ) প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (কেবিসিসিআই) ১০টি কোম্পানি এ মেলায় অংশগ্রহণ করে। সিউলের কোএক্স মলে আজ (২৭ জুন) থেকে তিন দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয়েছে। চলবে ২৯ জুন পর্যন্ত।
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে জড়িত দেশগুলোর নতুন নতুন রপ্তানি পণ্যসামগ্রী কোরিয়ার ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতিবছর উপস্থাপনের মাধ্যমে সেই দেশগুলোর সঙ্গে ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি ও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে কোরিয়া ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন দীর্ঘদিন ধরে এই মেলার আয়োজন করে আসছে। এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ ৪৫টি দেশের ১২৯টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে।
বাংলাদেশ এই মেলায় মোট ১২টি বুথের মাধ্যমে দেশীয় পণ্যসামগ্রী প্রদর্শন করেছে। বাংলাদেশ থেকে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, নোভো কার্গো সার্ভিস লিমিটেড, ইন্ট্রাকো গ্রুপ, ন্যাশনাল পলিসার, জিশান, মুন্সী ও ইনডেক্স এক্সেসরিজ লিমিটেড এ মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।
আজ সকালে কোরিয়া ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান Hong Kwang-hee মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত-কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মেলার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর তিনি অতিথিদের নিয়ে মেলায় বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ও স্টল পরিদর্শন করেন।
অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও অন্য রাষ্ট্রদূত-কূটনীতিকেরা বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনে এলে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, কেবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও উপস্থিত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা তাঁদের স্বাগত জানান। এ সময় রাষ্ট্রদূত অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কুটিরশিল্প ও কেবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট উপহার দেন।
প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী গার্মেন্টস দ্রব্যাদি, কার্গো সার্ভিস, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, চা, সিরামিক পণ্য ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়। এসব আগত অতিথি ও দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, মেলায় আগত কোরিয়ার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের উন্নত মানের চামড়াজাত পণ্য ও সিরামিক পণ্যের বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেন। মেলার প্রথম দিন বিভিন্ন দেশের প্রায় দুই শ দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ী বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া কেবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিরা মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বি টু বি সভায় অংশগ্রহণ করেন।
আমদানি পণ্যের মেলায় অংশগ্রহণ বাংলাদেশকে তার বিভিন্ন ধরনের অপ্রচলিত পণ্য উপস্থাপনের সুযোগ এবং কোরিয়ার ব্যবসায়ীদের মধ্যেও যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করেছে। তাঁরা অনেকেই এসব পণ্যের বিষয়ে আগ্রহের সঙ্গে খোঁজখবর নেন। তাঁদের এই আগ্রহ ও উদ্দীপনা ভবিষ্যতে এ দেশে এসব পণ্যের বাজার সৃষ্টিতে সহায়ক হতে পারে; যা দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি