সমান্তরাল ভালোবাসা
সুনন্দা কদিন থেকেই মনে মনে ভাবছে, ও মিহিরের সঙ্গে দেখা করবে। এই একটি মাস ওর সঙ্গে দেখা নেই, কথা নেই! দিনগুলো, রাতগুলো বছরের চেয়েও বড় হয়ে যাচ্ছে ওর জন্য। মিহিরের সঙ্গে কথা না হলে সব খালি খালি লাগে। কী যেন নেই, কী যেন নেই মনে হয়! শূন্যতায় ডুবে থাকে ও। একটি মাস?
ওর আর সহ্য হচ্ছে না এ দেখা হওয়ার।
তবে ও এটা সারপ্রাইজই রাখতে চায়। মিহির জানে, সুনন্দা তার সঙ্গে দেখা করতে আসবে না। ঘর থেকে ওর বের হওয়ারই সম্ভাবনা নেই। তাই তার মুখের অবাক চাহনি দেখতে জন্য উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করছে সুনন্দা যখন সত্যিই মিহিরকে দেখবে!
তবে ঠিক জানে না আসলেই দেখা হবে কি না। তাই না দেখা হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে কিছুই জানাতে চায় না সে মিহিরকে। আর মিহিরও এত ব্যস্ত! কেন সে এত ব্যস্ত? একটি খোঁজ নিতে পারত সুনন্দার পুরোটা মাসে অন্তত একবার! মিস কী করে? না, শুধু সুনন্দাই পাগলের মতো মিস করে যাচ্ছে?
সুনন্দাও তো হুটহাট ফোন করতে পারে না ওকে। আড়ষ্টতা যায়নি এখনো পরিচয়ের। কী বলবে সে যদি অন্য কেউ ফোন ধরে? লজ্জায় কৈফিয়ত দিতে গিয়েই লেজেগোবরে করে ফেলবে সে জানে। লজ্জা আর প্রেম নাকি চাপা যায় না। সুনন্দা হড়বড় করে কী থেকে কী বলে ফেলবে কে জানে!
জয়িতা বলেছে আসবে আগামী সপ্তাহে! নিয়ে যাবে ওকে তার সঙ্গে। সুনন্দা তো বেরোতে পারবে না একা একা। জয়িতার সঙ্গে যদি দেয় সুনন্দাকে বেরোতে! একটি সপ্তাহ! কীভাবে পার করবে সে? সাত সাতটি দিন!
জয়িতার কলেজ দেখাতে নিয়ে যাবে সুনন্দাকে। সেখানে জয়িতা তার ক্লাসমেটের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। তার তাকানো দেখলেই নাকি বেচারির হার্টবিট মিস হয়ে যাচ্ছে। জয়িতা চায় সুনন্দা তাকে দেখুক...কেমন মিলবে দুজনের জুটি জানাক। সুনন্দা একবাক্যে রাজি দেখতে যেতে। এটিই সুনন্দার একমাত্র উপায় একটিবার মিহিরকে দেখার! প্রতিদিন একেকটি যুগ মনে হচ্ছে ওর কাছে, বিরহের আগুনে পুড়ছে ও প্রতিদিন!
মিহিরের কথা ও কি বলেছে জয়িতাকে এখনো? বলবে, দেখা হলেই বলবে! লজ্জায় বলতেও পারবে না ও!
ভাবছে কী পরবে?
কী বলবে মিহিরকে?
শাড়ি পরবে?
- না! মা সন্দেহ করবে!
সাজবে?
- না থাক, কী দরকার!
অভিসারে নয়, দেখা করতে যাচ্ছে।
যাক, সালোয়ার-কামিজই সই!
মনের কথা বলতে পারবে?
- কে জানে! ও যে লজ্জা পায় মিহিরের কাছাকাছি হলে! বলার কথাও অনেক সময় ভুলে যায় ওর মুখের দিকে তাকালেই! মিহিরের চোখগুলো যেন ভেদ করে যায় ওকে এফোঁড়-ওফোঁড়। অশান্ত হয়ে যায় মনে মনে কিন্তু একই সঙ্গে বাস্তবতায় একদম জমে বরফ হয়ে যায়। সুনন্দা চায় না মিহির বুঝুক সুনন্দার এ পাগলামি!
মিহির কি বোঝে?
জানে কি সে সুনন্দা তাকে কতটা ভালোবাসে?
সুনন্দা কি ভীষণভাবে ওকে মিস করছে প্রতিটিক্ষণ, বুঝতে পারে?
ও কি এভাবেই মিস করছে সুনন্দাকে? ও কি এভাবেই ভালোবাসে ওকে?
কী জানি!
হলে তো একটিবারের জন্য হলেও নিশ্চয়ই ফোন দিত। জানতে চাইত সুনন্দা কেমন আছে!
কী জানি!
সুনন্দা ফোন করেও পায় না ওকে। কিসের এত ব্যস্ততা ওর?
কেন এত ব্যস্ততা?
ওর মুখটা দেখার জন্য সুনন্দা পাগল হয়ে যাচ্ছে। গলার স্বর শোনার জন্য তৃষ্ণায় বুক ফেটে যাচ্ছে।
বুঝলে এভাবে ভুলে থাকে!
দেখা হোক আগে! এসপার-ওসপার করে ফেলবে সুনন্দা। জিজ্ঞেস করবেই করবে, কেন এত অবহেলা করে? কীভাবে করে?
এত অবহেলা ওকে? ভালোবাসে সত্যিই? না বাসে না?
সাহসে কুলোয় না, এই ভালোবাসে না ভাবতেই।
মরে যাবে সুনন্দা।
একটু অবহেলায় সহজে নিতে পারে না, কীভাবে সহ্য করবে যদি সত্যিই বলে ভালোবাসে না?
- এত দিন যা হয়েছে, ভেবেছ ভুলে যাও যদি বলে? পারবে সহ্য করতে?
না না, বলুক ও সুনন্দাকে সত্যিই ভালোবাসে কি না। না বাসলে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করবে, কিন্তু যদি বলে এত দিন শুধু ওকে নিয়ে খেলেই এসেছে...ভালোবাসা বলে আসলেই কিছু নেই ওদের মধ্যে?
কীভাবে সহ্য করবে?
মরে যাবে।
একদম মরে যাবে!
না জানে না সুনন্দা কী হবে!
ধুর এমন কেন ভাবছে? মিহির ওর নয়? ভালোবাসে না? পৃথিবী ওলট-পালট হলেও বিশ্বাস করবে না সুনন্দা। নিশ্চিত মিহির ব্যস্ত। কী নিয়ে ব্যস্ত জিজ্ঞেস করবেই করবে—এভাবে ভুলে বসে কীভাবে আছে পাগলটা?
সুনন্দা দেখা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর।
কত কথা মনে ওর। কত কিছু বলার। দিনগুলোর খুঁটিনাটি না শেয়ার করলে ওর দিন শেষ হয় না, দিনগুলো এত বড় কেন?
জয়িতা! জয়িতা যদি ভুল করেও উল্টোপাল্টা করে! যদি ভুলে যায় সুনন্দাকে নিয়ে যেতে! একটু ভুলোমনা আছে ও! ওই যে গতবার কেমন অসুস্থ হয়ে বইমেলা যাওয়া বাতিল হলো! এবার যদি অমন করে, জীবনে কথা বলবে না ও জয়িতার সঙ্গে! এর পরের সপ্তাহে ও ফিরে যাবে। চেনা পরিসরে ঠিক দেখা হবে মিহিরের সঙ্গে, কিন্তু সুনন্দা তো অত দিন মিহিরকে না দেখে থাকতে পারবে না! পারছে না।
নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে ওর মিহিরকে না দেখে এ কদিনেই! মিহিরেরও কি এমনই হচ্ছে? না, হচ্ছে না? একটিবার মানুষ ভুল করেও তো ফোন দেয়! ও কেন দেয় না! কেন? এবার রাগ জমতে থাকে, অভিমানে চোখে পানি আসে! ছি ছি, চোখে পানি দেখলে সবাই কী ভাববে? কেন কাঁদছে ও!
মিহির! মিহিরও কি ভালোবাসে এভাবেই?
গতকাল কনফার্ম হয়েছে জয়িতা আসবে ভোরে। নিয়ে যাবে সুনন্দাকে। সুনন্দার প্রথম কাজ অপরিচিত নম্বর থেকে মিহিরকে ফোন দিয়ে অবাক করে দেওয়া! হয়তো ঘুম থেকেই তুলবে সে ফোনে! প্রত্যাশারা বাঁধনহারা, ও কি বাসায় থাকবে? যদি না থাকে? পুরো প্ল্যান ভেস্তে যাবে! মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে ভাবতেই।
চান্স তো নিতেই হবে। ৫০-৫০ চান্স! তবু তো ৫০ চান্স দেখা হওয়ার! ও তাতেও খুশি! চোখের দেখা তো অ্যাটলিস্ট হবে!
- ভোর না হতেই সুনন্দা রেডি হয়ে বসে আছে—জয়িতার অপেক্ষায়। সময় যেন কাটছে না, জয়িতা এলেই বেরোবে। কেউ জানে না, এ দিনটির প্রতীক্ষায় ও মাসের প্রতিটি দিন কাটিয়েছে!
ভীত হরিণীর মতো চঞ্চল, চপলা আর খুশি সে। ফোনে জেনেছে, মিহির বাসাতেই আছে! জয়িতার কলেজে চলে আসতে বলে রওনা হয়ে যায় ওরা!
মিহির? মিহির কে?
- ওহ বলাই তো হয়নি!
মিহির হচ্ছে—ভালোবাসা!
কতটা? দুহাতে মাপা যায় না, ততটা।
বকাটে, উড়নচণ্ডী, না ঠিক না, হয়তো চালাকই...জানে না সুনন্দা...ওই যে ছেলেটা, চেননা বুঝি? ওই তো মিহির!
কীভাবে হলো?
নাহ, তাও জানে না...কোনো প্ল্যান ছিল না, ভাবেওনি কোনো দিন এমন একটি মাকাল ফলকে হুটহাট পাগলের মতো ভালোবেসে ফেলতে পারে ও! তবে তা-ই হয়েছে। ভালোবাসা যেন হুট করে তালের মতো ঠিক ওর মাথায় পড়েছে! মাথাটায় আর কিছু আপাতত নেই মিহির ছাড়া। দুদিন আগেও মিহির তার চিন্তাতেও ছিল না!
আর আজ?
মিহির! মিহির! মিহির!
কেমন যেন ছন্নছাড়া করে দিয়েছে ওকে! সুনন্দার এই ছন্নছাড়া অনুভূতিটাই ভালো লাগছে। কেমন মাদকতা যেন অনুভূতিটাতে। এই হাসছে, এই নিজের মনেই অভিমানে চোখে পানি আসছে, আবার একটু পরেই নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী মানুষটি মনে হচ্ছে।
আর আজ ফাইনালি দেখা করতে যাচ্ছে! সুখী, লাজুক, হালকা লাগছে নিজেকে! এই বুঝি ভালোবাসা?
এত যে রাগ ছিল, অভিমান ছিল...মনে মনে কত শক্ত কথা ছিল...সুনন্দা মিহিরকে দেখে সব ভুলে গেছে।
মিহিরের আজ সময়ের অভাব...জাস্ট দেখা করতে এসেছে...অনেক নাকি তাড়া! সুনন্দার মন খারাপ হয়, তবে ও যে দেখা করতে এসেছে এতেই খুশি! বলা আর হয় না ওর কথা! সেভাবে। জিজ্ঞেস করতেও ভুলে গেছে কেমন ছিল সে? মিস কি করেছে সুনন্দাকে একটিবারও এত দিনে? সুমনা যে বিরহে পাগলিনী হয়ে গেছে! না থাক, বুঝতে দেওয়া যাবে না, পরে নিশ্চয়ই হাসবে ওকে দেখে!
থাক সে, ব্যস্তই থাক। সুনন্দা এ দেখা হওয়ার আনন্দেই মিহিরকে চোখের দেখায় দেখে ঘরে ফেরে সুনন্দা। আজ সে ভীষণ খুশি! মিহিরের সঙ্গে দেখা হয়েছে এতটুকুতেই আনন্দিত সে। যদিও ইচ্ছা ছিল সুবর্ণের সঙ্গে মিহিরকে পরিচিত করে দেওয়া আজ।
সুবর্ণটা আবার কে?
এই ছেলেটা ইদানীং ভীষণ বিরক্ত করছে সুনন্দাকে। সুনন্দা তাকে বলতে পারছে না যে তার একজন মিহির আছে। শুধু মিহিরকে পরিচিত করে সবাইকে আজ সে জানতে চায়, কেউ যেন ওকে আর বিরক্ত না করে। তবে মিহির যে ব্যস্ত তা আজ আর হওয়ার নয়! মিহিরকে চোখের দেখা দেখে ফিরে যায় সে জয়িতার সঙ্গে। সামনের সপ্তাহে তো দেখা হবেই, হোক না সে আজ ব্যস্ত। ভালোবাসে মিহির ওকে! ভালোবাসা! শব্দটাতেই কেমন যেন মন শীতল করা ভাব একটা। মনে হচ্ছে—আকাশে উড়ছে সে এটুকু জেনেই। এত্তগুলো ভালোবাসা তার!
মিহির! মিহির হচ্ছে—ভালোবাসা।
চুপিচুপি বলি, আজ ছিল ওদের প্রথম ভালোবাসা দিবস একসঙ্গে, এই দিনে সুনন্দা মিহিরকে না দেখে কীভাবে থাকে?
সুনন্দা সকাল থেকেই ভীষণ ব্যস্ত। হুট করেই মনে পড়ল আজ মিহিরের পছন্দের সব খাবার রান্না হয়েছে। মিহির খেতে পছন্দ করে, আদুরে-আমুদে মানুষ! ভাবছে ডাকবে কি না খেতে! হয়তো ভীষণ ব্যস্ত সে। মিহিরের সঙ্গে কথা হয় না ইদানীং ব্যস্ততায়! আসলে হয় না কিছুদিনই।
হয় না কথা অনেক দিন। হয় না দেখা অনেক দিন। কতগুলো বছর...ভুলেই গেছে! মনে পড়ে গেল...মিহিরের নম্বরটাই নেই ওর কাছে! মিহির! মিহির সুনন্দার ভালোবাসা!
ভালোবাসা কী?
দেখা হয়েছিল পরের সপ্তাহে সুনন্দার সঙ্গে ওর! সুনন্দাকে ভুলে গেছে মিহির সে পরের সপ্তাহেই! সুনন্দা আর কোনো দিন মিহিরকে দেখেনি; তার কণ্ঠ শোনেনি। দেখার জন্য, মুখের একটি কথা শোনার জন্য আজও সে তৃষ্ণার্ত...আজও সে মিহিরের পছন্দের খাবার রান্না করে দুচোখের জল মুছে মেহমানদের তদারকি করে যাচ্ছে!
মিহির! ভালোবাসা! কোনো দিন কথা হবে না, দেখা হবে না, জানা হবে না, চেনা হবে না ভালোবাসা!
জয়িতা? শুনেছি সেও হারিয়ে গেছে কোথাও! জয়িতাকে খুঁজে পায় না সুনন্দা আর। সে ছেলেটি জয়িতাকে কখনোই নাকি ভালোবাসেনি। জয়িতা তা মানতে পারেনি!
জয়িতা সে বেদনায় হারিয়ে গেছে।
সুনন্দা হারাতে পারে না! সুনন্দার হারানোর উপায় নেই...সে তো ভালোবেসেছে!
ভালোবাসা কি অত ঠুনকো? মিহির ওকে ভালো না বাসলেই কী—ভালোবাসা কি সব মিলনেই সমাপ্ত হতে হবে? এক লাইনে গিয়ে মিলেমিশে শেষ হতেই হবে? সমান্তরালে, দূরত্বে ভালোবাসা হয় না? সুনন্দা কেন সমান্তরালে ভালোবেসে যায়? এতগুলো বছর পরও মনে হয় যেন গতকালই মিহিরের সঙ্গে দেখা হলো, কথা হলো!
সমান্তরাল কী?
ও জানেও না মিহির কোথায়? কার সঙ্গে! আসলে জানার প্রয়োজনও পড়ে না। মিহির ওর অস্তিত্বে, সবকিছুতে! এত ভালোবাসা সে নিজের কাছেই রেখে দেয়! হয়তো মিহির কাছে এলেই নিত্যব্যবহারে হয়তো আটপৌরে পুরোনো হয়ে যেত! এভাবে সারাক্ষণ নিমগ্ন করে রাখতে পারত না সুনন্দাকে।
মিহিরের দোষগুলো অজানাই থেকে যাক...গুণগুলো ভালোবেসেই সুনন্দা একজীবন কাটিয়ে দেবে।
হয়তো অন্য কোনো মাত্রায়, অন্য কোনো ভুবনে মিহির শুধু সুনন্দার হবে! না হলেই-বা কী যায়-আসে! সমান্তরাল পৃথিবীর ভালোবাসা মিহিরই হয়ে থাক। মিহির! ভালোবাসা!
দেখা নেই কত যুগ!
চুলের পাকে, চামড়ার কুঞ্চনে আজ চায়ের কাপ হাতে বসে ভাবছে সুনন্দা, কেমন আছে ভালোবাসা? অন্য কারও হতেই পারল না এ জীবনে সুনন্দা।
মিহির কি পেরেছিল?
জানতে ইচ্ছে হয় খুব সুনন্দার! আজ সকালের চায়ে মিহিরকেই চায় সে। প্রতিদিন যেভাবে চেয়েছে। প্রতি ভোরে সে গল্প করে মিহিরের সঙ্গে—তার প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি, পাওয়া, না–পাওয়ার খুনসুটি সেই সেদিনের মতোই মিহিরেরে সঙ্গে ভাগ না করলে তার দিন চলে না!
মিহির! মিহির যে কোথায়!
সুনন্দা জানে না।
জানার প্রয়োজনও বোধ করে না, কারণ মিহির তো দিনরাত ২৪ ঘণ্টা, শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সুনন্দাকে ঘিরে থাকে। সুনন্দা প্রতিদিন মিহিরকে ঘিরেই বেঁচে থাকে। মিহির তার বুকে স্বপ্ন হয়ে লুকিয়ে থাকে প্রতিটিক্ষণ। সমান্তরাল ভালোবাসা। পৃথিবীর যে কোনায়ই সে থাক, তার ভালোবাসায় বেঁচে থাকে সুনন্দা।
নয়তো কবেই মরে যেত! মিহিরের ভালোবাসায় সুনন্দা প্রতিদিন বাঁচে। মিহিরকে ভালোবেসেই বাঁচে।
*লেখক: চিকিৎসক, শারমীন বানু আনাম