শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে ও শিক্ষামন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রী, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও দেশটির বিভিন্ন জেলা থেকে আগত স্কুলশিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে নানা আয়োজনে দেশটিতে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
দেশটির সরকার ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে রাজধানী কলম্বোর ঐতিহাসিক স্বাধীনতা চত্বরে ২১ ফেব্রুয়ারি এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ তাঁর বক্তব্যে শ্রীলঙ্কা সরকার ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতা চত্বরের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে চতুর্থ বছরের মতো মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জাতি-ধর্ম-জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংহতি সুদৃঢ় করার বিষয়ে দূতাবাসের উদ্যোগ ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে, শিক্ষামন্ত্রী বান্দুলা গুনাবর্ধনা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রফেসর জি এল পেরিস তাঁদের বক্তব্যে শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে এ ধরনের ব্যাপক ও সৃষ্টিশীল উদ্যোগ গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস দুই মাসব্যাপী যে চিত্রাঙ্কন-রচনা-কবিতা প্রতিযোগিতা আয়োজন করে, তাতে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী নয়জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে সদন ও নগদ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে সনদ ও নগদ পুরস্কার তুলে দেন।এ ছাড়া আরও ৩০ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সার্টিফিকেট অব মেরিট প্রদান করা হয়। এর মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলে বাংলাদেশের পরিচিতি তথা ভাবমূর্তি উপস্থাপিত হয়েছে।
পুরস্কার বিতরণী শেষে কলম্বোভিত্তিক রাশিয়ান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, মালদ্বীপ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজসহ অন্য সংগঠনের শিল্পীরা এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। শিল্পীরা তাঁদের দেশীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরে গান ও গণসংগীত পরিবেশন করেন।অনুষ্ঠানের সূচনাপর্বে দেশটির একটি সংগীত গোষ্ঠী ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি দলীয়ভাবে পরিবেশন করে। এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি