শিগগিরই না-ও খুলতে পারে অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত
অস্ট্রেলিয়ার সব বাসিন্দার করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হলেও দেশটির আন্তর্জাতিক সীমান্ত শিগগির খোলা না-ও হতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী ক্যানবেরায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট।
সীমান্ত বন্ধ থাকার মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পুরো দেশ টিকা গ্রহণ করলেও সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে, এর কোনো নিশ্চয়তা এখনো দেওয়া যাচ্ছে না। কেননা আমাদের টিকা নিয়ে বেশ কিছু ব্যাপার খতিয়ে দেখার এখনো বাকি। টিকা কত দিন কার্যকর থাকে, কেবল সময় পেরোলেই এটা বলা যাবে। এ ছাড়া গোটা বিশ্বের সংকট না কাটলে আমরা সীমান্ত খুলে দিতে পারব না।’
অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানে কমিউনিটি সংক্রমণ শূন্যের কোঠায় রয়েছে। অস্ট্রেলিয়াজুড়ে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। অফিস-আদালত, কলকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবকিছু স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে। বিধিনিষেধ নেই বললেই চলে। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলছে নিয়মিত এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু হচ্ছে শিগগিরই।
নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে শুরু হবে আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে এবং তার পরপরই সিঙ্গাপুর, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সঙ্গে কোয়ারেন্টিনবিহীন যাতায়াতের পরিকল্পনা করছে সরকার। তবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে গোটা পৃথিবীর সীমান্ত স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। এমনও হতে পারে ২০২৪ সালের আগে পুরোপুরি স্বাভাবিক না-ও হতে পারে বলে দেশটি কোভিড বিশেষজ্ঞরা আগাম সতর্ক করেছেন।
গত বছরের মার্চ থেকে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং আগামী জুন মাস নাগাদ বন্ধ থাকার কথা রয়েছে। এখনো দেশটির প্রায় ৩৬ হাজার নাগরিক বিভিন্ন দেশে আটকে রয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির কোনো বাসিন্দাই অস্ট্রেলিয়ার বাইরে যেতে পারছেন না নিষেধাজ্ঞার কারণে। দেশটির বিভিন্ন অস্থায়ী ভিসাধারীদের ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়ে দেশটিতে অবস্থানের সুযোগ করা হয়েছে। দেশটির জাতীয় মেডিকেল সংস্থার প্রধান ডা. ওমর খুরশিদ সবাইকে টিকা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় জাতির চেয়ে অস্ট্রেলিয়া ভালোভাবে সংক্রমণ ঠেকাতে পারার প্রধান কারণ সীমান্ত বন্ধ এবং কোয়ারেন্টিন।’ এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৪৩৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৯০৯ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৫ হাজার ৪৮৬ জন।