শিগগিরই কমে যাবে নিবন্ধন খরচ
আবাসন খাতের ব্যবসা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এটি শিল্পের জন্য ভালো। ব্যবসা বেড়ে যাওয়ায় নিত্যনতুন প্রকল্পও নিচ্ছে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো।
যেসব প্রতিষ্ঠান রাজউকের আইন মেনে ভবন নির্মাণ করে ও ক্রেতাদের সময়মতো ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়, তাদের ব্যবসা ভবিষ্যতে আরও ভালো হবে। যারা সাইনবোর্ডসর্বস্ব ব্যবসা করে, তারা আর টিকে থাকতে পারবে না। কারণ, ক্রেতারা আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। আমরা রিহ্যাবের তরফ থেকেও শক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছি।
এদিকে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কম দামে ফ্ল্যাট দেওয়ার যে লক্ষ্য আমরা নিয়েছিলাম, সে অনুযায়ী পারছি না। কারণ, জমির দাম বেশি। সরকার জমি বরাদ্দ দিচ্ছে না। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে হলে রাজউক ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। বেসরকারি আবাসন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের যৌথ প্রকল্প করতে হবে। তাহলেই স্বল্প আয়ের মানুষের আবাসনের স্বপ্নপূরণ হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক গৃহঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ২ কোটি টাকা করেছে। এতে বোঝা যায় সরকার আবাসন খাত নিয়ে নেতিবাচক ধারণা থেকে বেরিয়ে ইতিবাচক হয়েছে। অবশ্য ব্যাংকঋণের সুদের হার এখনো বেশি। ফলে গৃহঋণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুফল অনেকেই নিতে পারবেন না। তাই আমি বরাবরের মতো সাধারণের মানুষের জন্য স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এটি বাস্তবায়ন করা কঠিন কোনো বিষয় নয়, কারণ, গৃহঋণ খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি একদমই কম।
বাজেটে ফ্ল্যাট ও প্লটের নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) খরচ কমানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। তবে সেটি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তবে আমরা আশা করছি, রেজিস্ট্রেশন খরচ শিগগিরই কমে যাবে। এ খরচ এক অঙ্কের ঘরে নেমে যাবে।