শহীদদের আত্মার শান্তির জন্য গণহত্যার স্বীকৃতি প্রয়োজন
গণহত্যা নিয়ে পাকিস্তানের মিথ্যাচার অব্যাহত রয়েছে। তা প্রতিহত করা এবং সেই সঙ্গে ২৫ মার্চসহ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের আত্মার শান্তির জন্যই গণহত্যার স্বীকৃতি প্রয়োজন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে ২৫ মার্চের গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। তিনি উপস্থিত সকলকে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের গণহত্যা সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের যেসব সংবাদ বিশ্ব মতামতকে প্রভাবিত করেছিল সে বিষয়গুলোও তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস ও কিয়ংহি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কমিউনিটির যৌথ আয়োজনে সিউলে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল ২৫ মার্চ সিউলের ইয়ংইনে অবস্থিত কিয়ংহি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ছাড়াও কোরিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি ও বেশ কিছু বিদেশি অতিথি অংশগ্রহণ করেন।
সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা ও সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আলোচনা পর্বে সূচনা বক্তব্যে দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) দিবসটির প্রেক্ষাপট ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর স্বীকৃতির বিষয়ে আলোকপাত করেন। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পড়ে শোনান। বাণী পাঠের পর ২৫ মার্চের কালরাতের ওপর ‘টেল অব দ্য ডার্কেস্ট নাইট’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। উপস্থিত সকলকে এই প্রামাণ্যচিত্র ভীষণভাবে নাড়া দেয়।
গণহত্যা দিবসের পটভূমি ও তাৎপর্যের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে উপস্থিত অতিথিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো ২ লাখ মা-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে যার যার অবস্থান থেকে সচেতনতা সৃষ্টির ব্যাপারেও তারা অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে একাত্তরের গণহত্যার কিছু স্থিরচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং গণহত্যার ওপর বাংলাদেশ জেনোসাইড রিভিজিটেড শীর্ষক পুস্তিকার কপি উপস্থিত অতিথিদের মাঝে বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি