লেবাননের জুনি অঞ্চলে এক সড়ক দুর্ঘটনায় গত ৮ নভেম্বর মোছা. শাহিদা নামের এক নারী প্রবাসী শ্রমিক মারা গেছেন। বর্তমানে তাঁর মরদেহ দেশটির একটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ হস্তান্তরের জন্য লেবাননের বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশে থাকা মোছা. শাহিদার স্বজনদের খুঁজছে। তবে পাসপোর্টে উল্লেখিত ঠিকানায় স্বজনদের খোঁজ পাননি দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এমন পরিস্থিতিতে তৃতীয়বারের মতো নিহত মোছা. শাহিদার স্বজনদের খোঁজে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
মোছা. শাহিদার পাসপোর্ট নম্বর এজি ৭০৪৪৯৮০। পাসপোর্টে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, তাঁর জন্মতারিখ ১৩ জুন ১৯৮৮। বাবার নাম সাহেব আলী, মায়ের নাম আসমা বেগম, স্বামীর নাম আহাদ। ঠিকানা ফরিদপুর সদরের মজিদ মাতুব্বরের ডাঙ্গী।
লেবানন দূতাবাসের প্রধান আবদুল্লাহ আল মামুন আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ফরিদপুরের ঠিকানায় মোছা. শাহিদার স্বজনদের কোনো খোঁজ আমরা পাইনি। পরে দূতাবাসের দুই কর্মকর্তা ওই নারী শ্রমিকের মেসে যান। সেখানে তাঁর রুমমেট জানান, শাহিদার বাড়ি পিরোজপুরে। সেখানকার একজন জনপ্রতিনিধি দিয়ে খোঁজ করেও তাঁর স্বজনদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
আবদুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, নিহত শাহিদা কোনো মুঠোফোন ব্যবহার করতেন না। ফলে মুঠোফোন থেকেও স্বজনদের যোগাযোগের কোনো নম্বর পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, লেবাননে একটি পরিবারের দুটি বাচ্চার দেখাশোনার কাজ করে যে অর্থ পেতেন, তাই দিয়েই চলতেন শাহিদা। অন্য কোনো কাজ করতেন না তিনি। দেশে যাবেন বলে সম্প্রতি শাহিদা দূতাবাস থেকে ৪০০ ডলার সহায়তাও নেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নিহত শাহিদার পরিবারের কোনো তথ্য থাকলে দূতাবাসের +৯৬১৮১৭৪৪২০৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছে লেবানন দূতাবাস।