লাল–সবুজে আলোকিত ক্যানবেরার ন্যাশনাল ক্যারিলন
স্বাধীনতা দিবস এবং বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্যাপন উপলক্ষে আজ রোববার বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকার রঙে সেজেছিল অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা। রাতে ক্যানবেরার আসপেন আইল্যান্ডে গুরুত্বপূর্ণ ন্যাশনাল ক্যারিলনেও এ আলোকসজ্জার প্রদর্শনী শুরু হয়।
ক্যানবেরা থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আলোকসজ্জার সময় অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এ আলোকসজ্জা ২৮ মার্চ ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।
ওই আলোকসজ্জার পাশাপাশি বাংলাদেশের ৫১তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ হাইকমিশন ক্যানবেরায় অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অস্ট্রেলিয়ার সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রাচার প্রধানসহ পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক উন্নত, ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ। আগামী দুই দশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্ব আরও ব্যাপক পরিসরে বাড়বে। বর্তমানে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার ২৬তম রপ্তানিকারক দেশ এবং বছরে প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যসহ ৩২তম বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশের অবকাঠামো, জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাপক বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবলের চাহিদা মেটাতে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও অস্ট্রেলিয়া অবদান রাখতে পারে। শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও উন্নত ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কাজ করে যেতে বাংলাদেশ তৈরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় অস্ট্রেলিয়ার রয়েল মিলিটারি ব্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বাণীর ওপর নির্মিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেক কাটা ও সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং উন্নয়নের ওপর বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
এর আগে ২৬ মার্চ সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হাইকমিশনার সুফিউর রহমান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এ ছাড়া যাঁরা মুক্তিসংগ্রামে অবদান রেখেছেন ও মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁদের জন্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।