যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত শিশু–কিশোরদের সুন্দর মিলনমেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। ১৭ মার্চ পূর্ব লন্ডনের ইম্প্রেশন ইভেন্ট সেন্টারে চার থেকে চৌদ্দ বছর বয়সী বাংলাদেশি-ব্রিটিশ শিশু–কিশোর উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও ব্রিটেন’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। বেশ কয়েকটি শিশু বড়দের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আদর্শ সম্পর্কে তাদের ধারণা ও অনুভূতি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে। যুক্তরাজ্যে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা এই শিশুরা জানায়, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি হিসেবে তারা গর্বিত। এ সময় হলভর্তি শ্রোতা-দর্শক করতালির মাধ্যমে তাদের অভিবাদন জানান।
অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আদর্শে অনুপ্রাণিত করার জন্যই বাংলাদেশ হাইকমিশনের এই আয়োজন। তিনি শিশু–কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর ধর্ম-বর্ণ ও জাতিভেদে মানুষের জন্য অপার ভালোবাসা, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অসীম সাহসী অবস্থান এবং দেশের জন্য সীমাহীন ত্যাগের আদর্শ অনুসরণের আহ্বান জানান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ বক্তব্য দেন। তাঁরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে শিশু–কিশোরদের কল্যাণে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে হাইকমিশনার মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একদল শিশু–কিশোর গান ও নাচের সুর-ছন্দে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন বিমূর্ত করে তোলে।
পরে শিশু–কিশোর ও অভ্যাগত অতিথিদের নিয়ে হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন এবং চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন। বিজ্ঞপ্তি