লন্ডনে বাংলাদেশ নিয়ে ওয়েবিনার

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তিতে যুক্তরাজ্যে গত রোববার (৩০ মে) ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানটি বঙ্গবন্ধু রাইটার্স অ্যান্ড জার্নালিস্ট ফোরাম ইউকে আয়োজন করেছিল। ব্রিটিশ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল এনএল 24-এ সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে এ আয়োজন।

প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাইদা তাসলিমা মুনা। অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশ এবং ভারতের অন্য প্রবীণ শিক্ষাবিদেরা অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন ভূরাজনৈতিক গবেষক প্রিয়জিৎ দেব সরকার।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা তসলিমা মুনা বলেন, মামলাটি গেম চেঞ্জার ছিল। এটি রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগকে একটি বিশাল সুবিধা দিয়েছে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের আগে শেখ মুজিবুর রহমানকে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে স্বীকৃতি ব্রিটিশ কমনওয়েলথ এবং বিদেশ অফিসের ভূমিকা তাঁর নেতৃত্বের যথেষ্ট প্রমাণ ছিল।

সেন্টার ফর পাকিস্তান স্টাডিজ, স্কুল অব আফ্রিকান অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল স্টাডিজ, লন্ডন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক বুর্জিন ওয়াঘমার বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বাঙালিদের ন্যায়সংগত আকাঙ্ক্ষাকে চূর্ণ করার জন্য অপরাধ ও বর্বর ভূমিকা নিয়েছিল।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান ড. এমরান জাহান স্থানীয় বাঙালি গণমাধ্যমের ভূমিকা উল্লেখ করেছেন, যা মনগড়া মামলার মাত্রার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি কিংবদন্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের বিবরণ বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি সামরিক জান্তা জেনারেল আইয়ুব খানের বিষয়ে পাকিস্তানের উভয় পক্ষেই বিক্ষোভ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

বিএসএমএমইউর লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মামুন আল মাহাতাব রাজনীতির বৈশ্বিক পর্যায়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। গণহত্যার বৈশ্বিক স্বীকৃতি এবং সংখ্যালঘু নিরীহ রক্তপাতের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।