লন্ডনে বাংলা ভাষায় নাটক

নাটকের একটি দৃশ্য
নাটকের একটি দৃশ্য

মানুষের সীমাহীন ও অনিশ্চিত পথ চলা। হতাশা, কষ্ট ও দুঃখ থেকে

নাটকের একটি দৃশ্য
নাটকের একটি দৃশ্য

মুক্তির জন্য তার নিরন্তর অপেক্ষা। ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র আশার আলো নিয়ে মালা গাঁথা। জীবনের গভীরতর অর্থকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা। যুগোপযোগী এই ধারণা নিয়ে স্যামুয়েল বেকেটের লেখা ট্রাজিক কমেডি নাটক ওয়েটিং ফর গডো।
১৫ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় লন্ডনের ব্রাডি আর্টস সেন্টারে বাংলা ভাষায় অনূদিত এ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়েছে। ডকল্যান্ডস থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টসের এবারের প্রযোজনা ছিল ওয়েটিং ফর গডো। স্যামুয়েল বেকেটের লেখা এই নাটকটি বাংলা অনুবাদ করেন আসাদুল ইসলাম। পরিচালনা করেন সায়মা আহমেদ।

দর্শকদের একাংশ
দর্শকদের একাংশ

নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে রূপদান করেন শরিফুল ইসলাম (ভলাডিমির), শফিকুল ইসলাম রুবেল (এস্ট্রাগন), স্মৃতি আজাদ (পজো), অলক নন্দী (লাকি) ও রিয়ান রহমান (বয়)। ভলাডিমির ও এস্ট্রাগনের একটি গাছের নিচে অপেক্ষা এবং সেই অপেক্ষার ধারাবাহিকতায় ফুটে উঠেছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নানাবিধ সমস্যা, কষ্ট ও অন্যান্য চরিত্র। আনন্দ-বেদনা, জীবনের গভীর দর্শন, মুক্তির ব্যাকুলতা ও অপেক্ষা ফুটে উঠেছিল সাবলীলভাবে বিভিন্ন চরিত্রে। হলভর্তি বাংলাদেশি দর্শক নাটকটি দেখতে দেখতে যেন মিশে গিয়েছিলেন চরিত্রগুলোর সঙ্গে।
নাটকটির গ্রাফিক্স-পোস্টার তৈরি করেন সাইফুল ইমাম দিপু। মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় ছিলেন প্রত্যয় শেখ। আলোক নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মিঠু আজাদ। সেট ডিজাইন করেন আলেক্স হাসলপ। পোশাকের ডিজাইন করেন শারমিন শাহজাহান। মেকআপে ছিলেন বাবু চৌধুরী। শব্দ নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় সাদেক আহমেদ সাদি। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সুমন খান, মাহের আহমেদ, নাজমা ঝুমা ও সুমন শরিফ।
ডকল্যান্ডস থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টস ও বোরো অব টাওয়ার হ্যামলেট লন্ডনে মানসম্মত ভিজ্যুয়াল ও পারফরমিং আর্টস উন্নয়নে কাজ করছে। বৃহৎ বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মান উন্নয়নে এই সংগঠন আলোচনা, প্রশিক্ষণ ও নাটক মঞ্চস্থ করে।

নাটকের মঞ্চায়ন শেষে মঞ্চে কলাকুশলীরা
নাটকের মঞ্চায়ন শেষে মঞ্চে কলাকুশলীরা

নাটকটির পরিবেশনা শেষে ডকল্যান্ডস থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্মিং আর্টসের চেয়ারপার্সন ও পজো চরিত্রে রূপদানকারী স্মৃতি আজাদ বলেন, এই নাটকটি মঞ্চায়নে ইউনিটের সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করেন। দিনের পর দিন তাঁরা রিহার্সেল করেছেন এবং চরিত্রের সঙ্গে সবাই একাত্মÄ হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর দর্শকদের ভালোবাসায় এমন বড় ধরনের একটি কাজ তাঁরা উপহার দিতে পেরেছেন। তিনি নাটকটির কাজে ভীষণ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নাটকটির সঙ্গে জড়িত সব কলাকুশলী, পরিচালক, নির্দেশক, ভাষান্তরকারীসহ টাওয়ার হ্যামলেটস আর্টস কাউন্সিলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বিজ্ঞপ্তি।