রোজিনা ইসলাম গ্রেপ্তার: নিন্দা ও মুক্তির দাবি স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের

ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হেনস্তা ও পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রাখা, পরে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে স্পেনে বাংলা গণমাধ্যমে প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব। স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাহাদুল সুহেদ ও সাধারণ সম্পাদক আফাজ জনি বিবৃতিতে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাহাদুল সুহেদ ও সাধারণ সম্পাদক আফাজ জনি বিবৃতিতে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের গলা চেপে ধরে মূলত মুক্ত গণমাধ্যমের গলা চেপে ধরেছেন।

বিবৃতিতে সাংবাদিকনেতারা বলেন, রোজিনা ইসলামের মতো একজন পেশাদার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এ ধরনের আচরণ মুক্ত সাংবাদিকতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য বড় বাধা, যা দেশের গণতন্ত্রকে চরমভাবে ব্যাহত করবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং তাঁর ওপর নির্যাতনের ঘটনায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের শাস্তির দাবি জানান স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের নেতারা।

শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হন রোজিনা ইসলাম
সাজিদ হোসেন

যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা করা ন্যক্কারজনক। দুর্নীতিতে জর্জরিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সকল লুটপাট ও কলঙ্কের মধ্যে এটা একটি নিকৃষ্টতম ঘটনা। পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থেকে রোজিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে থানায় নেওয়া হয় এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এটা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতি আক্রোশের প্রতিফলন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখা অন্যায় ও অনভিপ্রেত। সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তা করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের শাস্তি ও অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন প্রবাসী সাংবাদিকেরা।

লেখক: কবির আল মাহমুদ, স্পেন