রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ আমিরাতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের
সচিবালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও দীর্ঘ সময় আটকে রাখার পর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা করেছে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই।
জুম অ্যাপসের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতিত্ব করেন সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম ও পরিচালনা করেন যুগ্ম সম্পাদক কামরুল হাসান। সভায় বক্তারা অবিলম্বে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। এ ছাড়া রোজিনা ইসলামকে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অনলাইন প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন সহযুগ্ম সম্পাদক সনজিত কুমার শীল, সহসম্পাদক মুহাম্মদ মোদাচ্ছের শাহ, সহসম্পাদক আবদুল আলীম সাইফুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল শাহীন, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাইল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সরওয়ার উদ্দিন ও প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ শাহজাহান।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সেই দুর্নীতির খবর প্রকাশ করে সাংবাদিক রোজিনা এ দেশের জনগণের উপকার করেছেন। সচিবালয়ের মতো একটি জায়গায় একজন সাংবাদিকের সঙ্গে এমন ব্যবহারের কারণে এ দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই চিত্রই দেখা যাচ্ছে। রোজিনার মুক্তির দাবি শুধু সাংবাদিকদের দাবি নয়, গণমানুষের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা আরও বলেন, বর্তমানে সাংবাদিকতা এবং সাংবাদিকেরা অধিকতর ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।
জনগণের স্বার্থে সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে নানাভাবে মামলা-হামলার শিকার হচ্ছেন। সুস্থ সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হলে তা রাষ্ট্রের জন্যই ক্ষতি। পাশাপাশি একজন সিনিয়র সাংবাদিককে মুক্তি না দিয়ে কারাগারে পাঠানো এবং পুলিশের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা সাংবাদিকদের মর্মাহত করেছে।
প্রেসক্লাবের নেতারা বলেন, সাংবাদিকেরা আয়ের টাকায় পরিবার নিয়ে সচ্ছলভাবে চলতে পারেন না। অথচ সচিবালয়ে চাকরি করে তাঁরা হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যান। তাঁদের আয়ের উৎস নিয়ে সরকারিভাবে তদন্ত করা উচিত। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আত্মসাৎ করে এসব সম্পদের মালিক হয়েছে কি না, তা–ও খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেন তাঁরা। এ ছাড়া তাঁরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে সব সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান। অন্যথায় লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।