রিয়াদে পিঠামেলা

মেলায় একটি স্টলে সাজিয়ে রাখা পিঠা
মেলায় একটি স্টলে সাজিয়ে রাখা পিঠা

রিয়াদের আল তাবিয়া কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো পিঠামেলা। এর আয়োজন করে রিয়াদে বাংলাদেশি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন আমরা কজন। ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা একটা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এ পিঠামেলা।
মেলায় চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী ভাপা, পাটিসাপটা, নকশি, দুধচিতই, দুধকুলি, মুক শাপলা, ফুল, ভিজা, মাছের ও জানের পিঠাসহ প্রবাসী গৃহিণীদের তৈরি নানা ধরনের পিঠা স্থান পায়। মেলায় ২১টি স্টলে পিঠা বিক্রি হয়। মজাদার পিঠার জন্য প্রথম পুরস্কার পায় বি বাড়িয়া পিঠাঘর। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পায় যথাক্রমে জেরিন পিঠাপুলি ও ঘরোয়া পিঠা।

মেলায় একটি স্টল
মেলায় একটি স্টল


তিনটি স্টলকে সেরা স্টল হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম হয় মিসেস কাননের স্টল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় যথাক্রমে মিসেস রূপা ও মিসেস হাসিনার স্টল। ডেকোরেশনের জন্য প্রথম পুরস্কার দেওয়া হয় বাংলার পিঠাকে। দ্বিতীয় হয় পিঠা ঘর ও তৃতীয় হয় ইকরা পিঠাঘর। র‌্যাফেল ড্রতে বিজয়ী হন আবদুল্লাহ আল সাদিক, আফসার ও আবদুল বাকের।
মেলায় ফাঁকে ফাঁকে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশি শিল্পীরা নাচ ও গান পরিবেশন করেন। এ ছাড়া ছিল আবৃত্তি ও নাট্যাভিনয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

মেলা উদ্বোধন করেন রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ–মিশনপ্রধান মোহাম্মদ আইয়ুব। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের প্রবাসীরা দেশীয় ঐতিহ্য ভুলতে বসেছে। এমন অবস্থায় আমরা কজনের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। পিঠামেলায় দলমত–নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণ দেখে ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগে দূতাবাস সব ধরনের সহযোগিতা করবে।’
আমরা কজনের সভাপতি আজাদ কামাল বলেন, ‘আমাদের সংগঠন ২৫ বছর ধরে সৌদি আরবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে এবং তরুণ প্রজন্মকে দেশীয় কৃষ্টি সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে থাকে।’ আলোচনা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন মুসা বাবু।
বাহার উদ্দিন বকুল
জেদ্দা, সৌদি আরব