রক্তদানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
‘স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি’র মাধ্যমে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে মুজিব বর্ষ তথা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। রাষ্ট্রদূতসহ বাংলাদেশি ও ভিয়েতনামি বন্ধুরা অসহায় ও পীড়িত ব্যক্তিদের সাহায্যার্থে রক্ত দান করেন।
রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ চ্যান্সারি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটির উদ্বোধন করেন। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রেরিত বাণী অনুষ্ঠানে পাঠ করে শোনানো হয়। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির জনক পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘ ২৪ বছর সংগ্রাম করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতাসংগ্রাম—সব ক্ষেত্রেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গত ১২ বছরে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং ইতিমধ্যে যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে, রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে আলোকপাত করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। ২০৩০ সালের মধ্যে ’টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং দিবসটি স্মরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ভিয়েতনাম কেন্দ্রীয় আর্মি হাসপাতালে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এবং ভিয়েতনাম সরকারের সহায়তায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূতের রক্তদানের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। দূতাবাসের কর্মচারী ও ভিয়েতনামের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা স্বেচ্ছায় এই রক্তদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
রক্তদান কর্মসূচি শেষে দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মুজিব বর্ষের লোগোসংবলিত স্যুভেনির মগ উপহার দেওয়া হয়। শেষে ছিল আপ্যায়ন।