যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ

অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, ভারত, ২১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: আশিষ কুমার জয়
অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, ভারত, ২১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: আশিষ কুমার জয়

ভারতের কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানান বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশ, ভারত, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, জাম্বিয়া থেকে আসা ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স-আর্টস মোড়ে সমবেত হন। পরে তাঁরা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি গেয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটাও সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে ভাষাশহীদদের স্মরণ করা হয়।

বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, ভারত, ২১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: আশিষ কুমার জয়
বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা, ভারত, ২১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: আশিষ কুমার জয়

দিবসটি পালনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্রবিদ্যা বিভাগের ছাত্র কলকাতার অভ্রদ্যুতি দাস বলেন, ‘কলকাতায় কিছু জায়গায় অতীতে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়েছে। যে দেশের রফিক, সালাম, বরকতের মতো ভাইয়েরা নিজেদের রক্ত দিয়ে এই মাতৃভাষার অধিকার ছিনিয়ে এনেছিলেন, এবার সেই দেশের বন্ধু ও সহপাঠীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের বিষয়টি আমার কাছে বিশেষ হয়ে থাকবে।’

এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বাংলাদেশি ছাত্র তারিক রিয়াজ বলেন, মায়ের ভাষার গুরুত্ব ও মাতৃভাষার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বাঙালিরা যে সংগ্রাম করেছে, সে সম্পর্কে সবাইকে জানাতে পারার মতো একটি উদ্যোগ নেওয়া অনেক আনন্দের।

লেখক: গণজ্ঞাপন ও সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা