ম্যানিলায় ব্যবসা বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

‘অর্থনৈতিক কূটনীতি সপ্তাহ’ পালনের অংশ হিসেবে ম্যানিলার বাংলাদেশ দূতাবাস ফিলিপাইন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (পিসিসিআই) সহযোগিতায় স্থানীয় একটি পাঁচ তারকা হোটেলে গত ২৪ জুন একটি বিজনেস সেমিনারের আয়োজন করে।

ওই সেমিনারে ফিলিপাইনের ব্যবসায়ী নেতারা, ফিলিপাইনে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা, পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ও গণমাধ্যমকর্মীসহ প্রায় ৬০ জন অংশগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রদূত এফ এম বোরহান উদ্দিন সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। এ ছাড়া ফিলিপাইন পররাষ্ট্র দপ্তরের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান নাথানিয়েল জি ইম্পেরিয়াল এবং ফিলিপাইন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আন্তর্জাতিক কমিটি চেয়ারম্যান জুড অ্যাগুইলার সেমিনারে বক্তব্য দেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ দূতাবাস গত বছরের সেবু চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং এ বছরের ৬ জুন দাভাও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে পৃথক সভার আয়োজন করেছে। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ দৃশ্যত সন্তোষজনক নয়। তবে বিগত এক দশকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতাকে আরও প্রশস্ত ও বৈচিত্র্যময় করতে যৌথ গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।

নাথানিয়েল জি ইম্পেরিয়াল বলেন, ফিলিপাইন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দেশ, যারা ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামী বছরগুলোতে নিজ নিজ চেম্বারের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে সম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধি পাবে।

ফিলিপাইন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আন্তর্জাতিক কমিটি চেয়ারম্যান জুড অ্যাগুইলার বাংলাদেশ দূতাবাসের এই ব্যবসায়িক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির চমৎকার সুযোগ রয়েছে। তিনি একটি বিজনেস কাউন্সিল গঠনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে উভয় দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।

অতিথিদের বক্তব্যর পর দূতাবাসের কাউন্সেলর সায়মা রাজ্জাকী ‘বাংলাদেশ এবং ফিলিপাইনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক ২০ মিনিটের একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ-ফিলিপাইন দ্বিপক্ষীয়-অর্থনৈতিক সম্পর্কের তুলনামূলক বিশ্লেষণ, বাংলাদেশের বিভিন্ন গতিশীল খাতসমূহ, বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ নীতি ও সুবিধা এবং বাংলাদেশ-ফিলিপাইনের মধ্যকার ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহের ওপর আলোকপাত করেন।

সেমিনারের শেষ পর্যায়ে উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা দুই দেশের মধ্যকার সম্ভাব্য বাণিজ্য-বিনিয়োগের খাত উল্লেখপূর্বক মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে, বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ সামগ্রীর ফিলিপাইনের বাজারে অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তাঁরা উল্লেখ করেন। বিজ্ঞপ্তি