বাংলাদেশ আজ প্রতিবাদমুখর স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর দাবিতে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নবাসী বাঙালিরাও ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন দেশের এই পরিস্থিতিতে। শিশু-কিশোরদের যৌক্তিক এ দাবির সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশের ইচ্ছায় গত শুক্রবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় মেলবোর্নের বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক বিদ্যালয় আনন্দধারা উদ্যোগ নেয় এক প্রতীকী প্রতিবাদের। প্রতীকী এই আয়োজনে বাচ্চাদের দেশীয় ঐতিহ্যময় নাচগান শেখানো হয়। আরও শেখানো হয় ছবি আঁকা সহ যন্ত্র বাজনাও।
ব্যতিক্রমী এ সংহতি আয়োজনে যোগদানের জন্য মেলবোর্নের বাংলাদেশ কমিউনিটিকে আহ্বান জানিয়ে ছিলেন পাবলিক হেলথ ফিজিশিয়ান ড. আজিজুর রহমান। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদে আনন্দধারা সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক ছাড়াও প্রচুর মানুষ সমবেত হন। স্বল্প সময়ের ঘোষণায় এবং আনন্দধারার উদ্যোগে ও পরিচালনায় প্রবাসী বাঙালিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দারুণ এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় ওয়েরিবির উইন্ডহ্যাম পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে।
‘নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘চাই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি’, ‘নিরাপদ সড়ক চাওয়া একটি অরাজনৈতিক দাবি’, ‘মেলবোর্নবাসীরা আছি তোমাদের সাথে’সহ আন্দোলন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পোস্টার নিয়ে সুশৃঙ্খল দাঁড়িয়ে দেশের বাচ্চাদের সঙ্গে তারা তাদের একাত্মতা ঘোষণা করেন।
এ সময় সকলের উদ্দেশে আজিজুর রহমান বলেন, দেশে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া বাচ্চারা আজ যে ন্যায্য দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছে, আমরা তাদের আন্তরিক সমর্থন জানাচ্ছি! তারা তাদের সহজাত সততা দিয়ে বিগত কয়েক দিন ঢাকা শহরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের যে বিরল দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে তা অতুলনীয়। আমরা যেকোনো ন্যায্য ও অহিংস আন্দোলনে আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন জানাই। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য নিরাপদ সড়ক চাই।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন আনন্দধারার সভাপতি ফারজানা মাহফুজ সিমকি, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিব শিশির, অধ্যক্ষ সাদিয়া হামিদ নিঝুম ও নৃত্য শিক্ষক সৈয়দা সায়েরা। আগতদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন জান্নাতুল ফেরদৌস নৌজুলা, নাফিউল ইসলাম ও মিতা চৌধুরী। সবশেষে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এ প্রতীকী প্রতিবাদের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
জান্নাতুল ফেরদৌস নৌজুলা: মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া।