মেঘের কোলে তারার আলো
পুলিশ অ্যাকাডেমি থেকে ট্রেনিং শেষ করে পুলিশ অফিসার রাহাত মির্জা দেশের বাড়ি ঢাকায় ফিরেছে। ব্রিটিশ আমলে তার প্রপিতামহ সুদূর পাঠান মুল্লুক থেকে ঢাকা শহরে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তাঁদেরই বংশধর এই রাহাত মির্জা। এখন পুরোপুরি বাঙালি। বর্তমান বাড়ি পুরান ঢাকার বংশাল রোডে। ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে ইতিহাসে এমএ পাস করে পুলিশ বাহিনীতে অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছে। রাহাতের প্রথম পোস্টিং মুন্সিগঞ্জে। সপ্তাহ দুই-একের মধ্যে রাহাতকে তার কার্যালয়ে হাজিরা দিতে হবে। এ কারণে জিনিসপত্র গোছানোর কাজে সে এখন ব্যস্ত।
একদিন রাহাত কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছিল। পথে রমনা পার্কের সামনে কয়েকজন যুবক তার সামনে এসে সালাম দিল। সালামের উত্তর দেওয়ার পর যুবকেরা তার পথ রোধ করে দাঁড়াল। রাহাত একটু বিরক্ত হয়ে যুবকদের কারণ জিজ্ঞেস করল। যুবকদের মাঝে লিডার টাইপের একজন আবদারের সুরে বলল, ‘ভাইয়া বকশিশ দেবেন না?’
—বকশিশ আবার কিসের?— রাহাত অবাক হয়ে প্রশ্ন করল।
—আপনাকে যে আমরা সালাম দিলাম, সে জন্যই তো বকশিশ চাইছি।
—আমি তো তোমাদের সালামের উত্তর দিলাম, এটা আবার কী রকম নিয়ম, বকশিশ চাই!
—ভাইয়া, আপনি কি ঢাকা শহরে নতুন এসেছেন?
দৃঢ়তার সঙ্গে রাহাত ছেলেটিকে পাল্টা প্রশ্ন করল, ‘আমাকে দেখে তোমাদের কি তাই মনে হয়? সে যাই হোক, তোমাদের যা ইচ্ছা হয় আমাকে নিয়ে ভাবতে পারো, এখন আমার পথ ছাড়।’
ছেলেটি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, ‘না, বলছিলাম কি, কিছু ছাড়ুন, আমাদের চা-বিস্কুট খেতে হবে তো!’
পরক্ষণেই রাহাত লক্ষ্য করল ছেলেটি তার প্যান্টের ডান পকেট থেকে একটা ধারালো ‘ পেন-নাইফ’ বের করে ভয় দেখিয়ে বলল, ‘ভাইয়া, এটা দেখেছেন তো?’
রাহাত রেগে জবাব দিল, ‘হ্যাঁ, দেখেছি, তাতে কী?’
—তাই বলছিলাম, ঝটপট কিছু বের করে ফেলুন।
রাহাত ভাবছে, দেশটার হয়েছে কী, দিনে দুপুরে ডাকাতি! প্রকাশ্যে বলল, ‘শোনো বাছাধন তোমাদের মতো বখাটে ছেলেদের কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা আমার জানা আছে। এ ব্যাপারে আমার ট্রেনিংও নেওয়া আছে, তবে সে দিকটায় আমি যাচ্ছি না। বরং তোমাদের জন্য আমার করুণা হচ্ছে এই ভেবে, কেন যে তোমরা এসব আইনবহির্ভূত কাজ কর তা সত্যিই ভাববার বিষয়। যাক, বেশি কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। তোমাদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল, বিশটি টাকা দিলাম, তোমরা চা-বিস্কুট খেয়ে নিয়ো। শুধু তোমাদের এটুকু বলতে চাই যে, নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটু চিন্তা ভাবনা করো, এখনো সময় আছে।’
ভাইয়া, যাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই, তাদের আবার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তার কোনো প্রয়োজন আছে কি?—কথাগুলো ক্ষোভের সঙ্গে বলে সবাই দ্রুত রাহাতের সামনে থেকে সরে পড়ল।
বাড়িতে ফিরে রাহাত তার এক সাংবাদিক বন্ধুর সঙ্গে ঘটনাটি নিয়ে সে রাতে ফোনে আলাপ করল। কিছুক্ষণ নীরব থেকে ওই বন্ধু গম্ভীর হয়ে বলল, ‘বন্ধু, এসব ঘটনা আজকাল নতুন কিছু না। হামেশাই হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। কারণ হলো, আমাদের দেশে ক্ষমতাবান এবং রাজনীতিকেরা যতক্ষণ পর্যন্ত এসব যুবকের জন্য কোনো সক্রিয় কর্মপন্থার ব্যবস্থা না করছেন, ততক্ষণ এর কোনো সমাধান নেই। বরং দেশে আরও ভয়াবহ দুর্যোগ আসার সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এসব কর্মহীন, উদ্দেশ্যবিহীন যুবক-যুবতীদের এক শ্রেণির কুচক্রী মহল নানা অপকর্মে ব্যবহার করে দেশের চরম সর্বনাশ ডেকে আনছে এবং ভবিষ্যতেও আনবে।’
—তা হলে এর প্রতিকার?—রাহাতের উদ্বেগ জড়ানো প্রশ্ন।
—এর সহজ উপায় হলো, ওদের ভালো-মন্দ নিয়ে ভাবা। বন্ধু, তুমি তো জানো empty brain is devils workshop, আর আমাদের সরকারি অফিসারদের এ কথাটা বোঝা উচিত যে, public service is not a platform for personal gain।’
রাহাত মির্জা বন্ধুর কথা শুনে সারা রাত ভাবল। তাহলে দেশের এই অবনতির জন্য সে একা কী করতে পারে? শুধু শুধু এই যুব সমাজকে সব দোষ দেওয়া যায় না। ওদের সুপথ দেখালে নিশ্চয়ই ওরা অনেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।
পুলিশের চাকরির জীবনে প্রথম কার্যালয় মুন্সিগঞ্জে যোগ দেওয়ার পরেই রাহাত মনস্থ করল, সেখানকার বেকার যুব সমাজের মধ্যে যত দূর সম্ভব শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে হবে, যেন তারা চতুর, স্বার্থবাদী ও অসাধু ব্যবসায়ীদের মোহজালে না পড়ে। এদিকে সে এ-ও জানে, মানুষ পুলিশের চাকরি সুনজরে দেখে না। রাহাত ভাবে সে পারবে কি জনসাধারণের কাছে এই ভুল ধারণা ভাঙতে? চেষ্টা করতে ক্ষতি কী?
রাহাত কাজে যোগ দিয়ে প্রথমেই সেখানকার স্কুল-কলেজের ছাত্র, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে লাগল। সে শিক্ষার্থীদের বোঝাতে সক্ষম হলো, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে সুশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। যত দূর সম্ভব রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। শিক্ষা জীবন শেষে প্রয়োজনে রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করা।
রাহাতের উপদেশ ও গঠনমূলক কার্যকলাপের ফলে স্থানীয় যুব সমাজের মধ্যে আশার আলো ফুটে উঠল। অচিরেই তাদের মাঝ থেকে অহেতুক রাজনৈতিক তৎপরতা কমে আসতে শুরু করল। ধর্মঘট, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও অসামাজিক কার্যকলাপ অনেকাংশে হ্রাস পেল। রাহাত নিজেকে নিজে সাধুবাদ জানাল এই ভেবে যে, সে কিছুটা হলেও দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে।
এরপর বিভিন্ন জেলায় বদলির পর একটি বিভাগীয় জেলখানার চিফ ইন্সপেক্টর হিসেবে পদোন্নতি পেল। কাজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন জেলখানা পরিদর্শন করে কয়েদিদের সুবিধা-অসুবিধার কথা লিপিবদ্ধ করে মন্ত্রণালয়ে পেশ করা।
একদিন রাহাত একটি কারাগার পরিদর্শনের সময় লক্ষ্য করল, হত্যা চেষ্টার দায়ে দণ্ডিত এক কয়েদি তাঁকে দেখে মাথা নত করে লুকানোর চেষ্টা করল। ছেলেটিকে দেখে তার চেনা মনে হলো। পরিদর্শন শেষে সে জেলারকে জানাল, ২৮৩ নম্বর কক্ষের কয়েদির সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চায়। অনুমতি পাওয়া গেল। প্রহরী ওই কয়েদিকে তার রুমে দিয়ে গেল। রুমে ছেলেটি ঢোকা মাত্র অনর্থক সময় নষ্ট না করে রাহাত জিজ্ঞেস করল, ‘আমাকে চিনতে পেরেছ?’
—জি স্যার, চিনতে পেরেছি।
—মনে আছে কয়েক বছর আগে তোমাদের কিছু মূল্যবান কথা বলেছিলাম? মনে হয় তুমি সেটার কোনো গুরুত্ব দাওনি, তা না হলে আজ তোমাকে এই অবস্থায় এখানে আমার দেখা হতো না। শুনেছি বেশ লম্বা সময়ের জন্য তোমার শাস্তি হয়েছে।
রাহাত আরও কিছু বলার আগে ছেলেটি রাহাতকে থামিয়ে দিয়ে বলল, ‘স্যার, বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, আমার এই অপরাধের জন্য সম্পূর্ণভাবে আমি দায়ী ছিলাম না। ঘটনাক্রমে এর ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলাম। স্যার, আপনি যদি একটু সময় দেন, তাহলে আপনাকে আমার সব ঘটনা খুলে বললে হয়তো আমাকে ততটা ঘৃণা বা অবাঞ্ছিত মনে করবেন না।’
—ঠিক আছে, তুমি যা বলতে চাও বলো, আমি শুনছি।
রাহাতের অনুমতি নিয়ে ছেলেটি শুরু করল তার বেদনাদায়ক কাহিনি—প্রথম যেদিন আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল, সেদিন থেকেই আপনার মহামূল্যবান কথা আমার কানে সব সময় বাজছিল। মনে মনে সুবোধ ছেলের মতো শপথ নিলাম—আর নয়, তাই পাড়ার খারাপ ছেলেদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে লেখাপড়ায় মন দিলাম। আমার বাবাও আপনার মতো উপদেশ দিয়ে বলত, অপরাধ এবং অসামাজিক কাজ থেকে নিজেকে সব সময় দূরে সরিয়ে রাখতে চেষ্টা করবে। আইনের মারপ্যাঁচে প্রায়ই নিরপরাধ লোক অপরাধী বনে যায়, আবার সত্যিকারের অপরাধী লোক বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। তাই অনুসরণ করে চলছিলাম স্যার! আমার কপালটাই খারাপ, তা না হলে আপনি আমাকে এই পরিবেশে দেখবেন এটা ভেবে নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছি।
—ভাগ্যকে কেন দোষ দিচ্ছ, এটা তো তোমার কৃতকর্মের ফল।
—ব্যাপারটা মোটেই সত্যি নয় স্যার।
—তাহলে কোনটা সত্যি?
ছেলেটি একটু থেমে দম নিয়ে বলল, আমি তখন এসএসসিতে পড়ি আর আমার ছোট বোন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পাড়ার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের একমাত্র অপদার্থ ছেলে মন্টু আমার বোনকে প্রায়ই সময় উত্ত্যক্ত করত। আমি এবং বাবা এ ব্যাপারে সাবধানও করেছিলাম। চেয়ারম্যানের কাছে বিষয়টি জানিয়ে কোনো লাভ হলো না। দিনকে দিন সে আমাদের পরিবারের প্রতিদিনের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলল। একদিন আমি বোনকে নিয়ে রিকশায় বাড়ি ফিরছিলাম। সে সময় মন্টু তার সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে পাড়ার চা-দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। আমাদের দেখে সে অনর্থক রিকশা থামিয়ে সিগারেট ধরাল। এরপর মন্টু আমার বোনের ওড়না টেনে নিয়ে আগুন লাগিয়ে দিল। এ পরিস্থিতি দেখে রাগে আমার শরীর জ্বলে উঠল। ক্ষুধার্ত বাঘের মতো আমি মন্টুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম। আমাদের দুজনের খুব ধস্তাধস্তি হলো। গায়ের জোরে আমার সঙ্গে সুবিধা করতে না পেরে সে একপর্যায়ে একটা ছুরি বের করল। আত্মরক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করলাম। হিতে বিপরীত হলো, মন্টু নিজের ছুরিতে নিজেই ঘায়েল হয়ে গেল। পথচারীরা মন্টুকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে গেল। আর এদিকে পুলিশ এসে আমাকে হাজতে বন্দী করে রাখল। বিচারে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে এবং অদৃশ্য শক্তিশালী হাত থাকায় আমার এই দীর্ঘমেয়াদি সাজা ঘোষণা করা হলো।
আবার কিছুক্ষণ চুপ থেকে ছেলেটি বলল, ‘স্যার, নিশ্চয় এখন বুঝতে পারছেন, সব দোষ আমার একার ছিল না। একটু ভদ্রভাবে বাঁচতে চেয়েছিলাম, তা আর হলো না।
রাহাত সব শুনে বলল, ‘তুমি এখন একজন কনভিকটেড অপরাধী। তবুও তুমি যদি চাও, আবার নতুন করে তোমার ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারো এবং এ ব্যাপারে আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি। তবে তোমাকে আবার পূর্ণ উদ্যমে পড়াশোনা আরম্ভ করতে হবে। পারবে কী?
—আপনার সহযোগিতা এবং আশীর্বাদ পেলে চেষ্টা করে দেখতে পারি। কিন্তু একটা প্রশ্ন রয়ে গেল, এই কারাজীবনের পরিবেশে সেটা কি সম্ভব?
—কেন সম্ভব নয়! যদি মনের মধ্যে দৃঢ়তা থাকে আর থাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অদম্য সংকল্প, তাহলে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। আমি তোমার হয়ে জেলার সাহেবের সঙ্গে আলাপ করে তোমার পড়াশোনার সব বন্দোবস্ত করে দিতে পারি।
—তবে তাই হোক স্যার, আমি রাজি।
কয়েক বছর পরে ছেলেটি সৎ আচরণের জন্য সাজাপ্রাপ্ত নির্ধারিত সময়ের আগেই মুক্তি পেল। এরই মধ্যে সে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে বিএ অনার্স পাস করে এমএ-তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করল।
জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সে একটি দৈনিক পত্রিকায় ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট হিসেবে যোগ দিল। পাশাপাশি ল’ কলেজে ভর্তি হলো। সবাইকে তাক লাগিয়ে সে এলএলবি পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধবিজ্ঞানে পিএইচডি করার জন্য মনোনীত হলো। সম্মানের সঙ্গে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে কয়েকজনের সহযোগিতায় অসহায় জনসাধারণের জন্য স্বল্প খরচে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য ‘লিগ্যাল এইড সেন্টার’ চালু করল।
সে তার পেছনের জীবনকে মোটেই ভুলতে পারেনি। এ কারণে দেশের প্রতিটি শহরে এক্স-অপরাধীদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে। অপরাধ বিষয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ এবং ছাত্রদের আইনের বই-পুস্তক লিখে প্রচুর সুনামের অধিকারী হয়ে উঠল। একজন বিপথগামী ছেলে সঠিক পথের পরামর্শ পেলে জীবনে যে অসীম কৃতকার্য হতে পারে, সে তারই প্রমাণ হয়ে দাঁড়াল। সরকার তার এই অভূতপূর্ব কাজের জন্য তাকে সম্মান জানাল।
রাহাত মির্জার বয়স হয়েছে। স্বাস্থ্যগত কারণে নিয়মিত সময়ের আগেই অবসর নিয়েছে। নাতি-নাতনিদের নিয়ে অবসর সময় ভালোই কাটছে। যেদিন টেলিভিশনের পর্দায় ছেলেটিকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করতে দেখল, তখন সে নিজের চোখকে যেন বিশ্বাস করতে পারছিল না। অবশেষে ছেলেটি অসম্ভবকে সম্ভব করেছে।
রাহাত মির্জা নিজেকে আজ অনেক গর্বিত মনে করছে এই ভেবে, সে আকাশের মেঘের আড়াল থেকে তারকাখচিত এক খণ্ড হিরা খুঁজে বের করতে পেরেছে। এ যেন তার পুলিশ জীবনের সার্থকতার বহিঃপ্রকাশ। তার এ জীবন ধন্য।