মুজিব বর্ষে জাপানি ব্যবসায়ীদের নিয়ে বিজনেস সেমিনার টোকিও দূতাবাসের

অতিথিদের সঙ্গে দূতাবাসের কর্মকর্তারা
ছবি: জাপান দূতাবাসের

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাস গত মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশ: আ ল্যান্ড অব ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিস’ শীর্ষক বিজনেস সেমিনারের আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠানে জাপানের নেতৃস্থানীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা ও দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ এক্সচেঞ্জ কাউন্সিলের (এফইসি) সদস্যরা অংশ নেন।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। রাষ্ট্রদূত আগত অতিথিদের স্বাগত জানান। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। গত এক যুগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি ও সার্বিক উন্নয়ন বিশ্লেষণ করেন রাষ্ট্রদূত আহমদ। তিনি বলেন, করোনা মহামারির সময়েও বাংলাদেশ গত বছর ৫.৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ একটি বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব গন্তব্য, যেখানে সরকার বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করছে, যেখানে বেশি মুনাফা করা সম্ভব উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত জাপানি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

এফইসির প্রেসিডেন্ট কেন মাতসুজাওয়া তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের সবাইকে এ সেমিনার আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এ সেমিনারে মতবিনিময় ও আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তি, নির্মাণশিল্প, মেডিকেল কেয়ারসহ বিভিন্ন খাতে জাপান–বাংলাদেশ বাণিজ্য বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।’

পরে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা নিয়ে উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ ‘বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশ’ শিরোনামে উপস্থাপনা করেন কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আরিফুল হক এবং জাপানে বাংলাদেশের দক্ষ শ্রমিক নিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন শ্রম কাউন্সেলর মো. জাকির হোসেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মিশন উপপ্রধান শাহ আসিফ রহমান অনুষ্ঠানে আয়োজনসংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান। সেমিনারটি আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) মুহা. শিপলু জামান।