মিশিগানে বাংলা গানের স্কুলের সংগীত উৎসব
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট শহরে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় ‘বাংলা স্কুল অব মিউজিক’–এর বয়স প্রায় দুই যুগ। সংগীতজ্ঞ আকরাম হোসেন প্রতিষ্ঠিত এই স্কুল সময়ের আবর্তে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ মিশিগানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে এক জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান।
প্রতিবছরের মতো এ বছরও অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলা স্কুল অব মিউজিকের বাৎসরিক বনভোজন, বইমেলা ও গ্রীষ্মকালীন সংগীত উৎসব। ২১ জুলাই দিনব্যাপী এ আয়োজনে সংস্কৃতিপ্রেমীদের মিলনমেলা বসে স্কুলের মাঠে। এ আয়োজনে উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। অনুষ্ঠানে অনেক সংগীত অনুরাগীর উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলেছে অনুষ্ঠান।
স্কুলের ছোট–বড় সব শিক্ষার্থীর গাওয়া সমবেত উদ্বোধনী সংগীত ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ দিয়ে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে সর্বমোট ৪১ জন শিক্ষার্থী একক সংগীত পরিবেশন করে।
আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে প্রকাশনা সম্পাদক ড. নাজমুল আনোয়ার, উপদেষ্টা ডা. আহমেদুল হাসান, আজমল হোসেন, ব্যবস্থাপক লাইজা বিল্বি, মাহমুদা আকরাম, আইরিন সুলতানাসহ অনেকে এখানে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিশু বিভাগে স্কুলের শিক্ষার্থী জারা, সৌরভ, অনামিকা, অমিতা, মুনমুন, প্রজিতা, সুষমা, পূর্বা, মৌমিতা, রিথিক, সুকান্ত, অঙ্কিতা, নন্দিতা, অদিতি, সুস্মিতা, দীপ্ত, অমিও, সৃষ্টি, প্রমিতা, প্রণবিন্দু, দীতি ও রিয়া অংশ নেয়। বড়দের বিভাগে অংশ নেন আকরাম হোসেন, আজমল হোসেন, ডা. সুলতানা গজনভী, চিনু (দীপা) মৃধা, আলী হায়দার, কামরুন হায়দার, সাদেকুল ইসলাম, আইরিন এনি, ড. নাজমুল আনোয়ার, আয়শা চৌধুরী, শিউলি বড়ুয়া, পারভীন আখতার প্রমুখ।
হাওয়াইয়ান গিটারে রবীন্দ্রসংগীত বাজিয়েছেন ডা. তানজীন চৌধুরী। এ স্কুলের বর্ণময় অভিযাত্রা বর্ণনা করে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ডা. দেবাশীষ মৃধা। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন আকরাম হোসেন। তবলায় উত্তম বড়ুয়া।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন আহমেদুল হাসান। কি–বোর্ডে আজমল হোসেন। অক্টোপ্যাডে নাজমুল আনোয়ার। শব্দযন্ত্র নিয়ন্ত্রণে ছিলেন রিচার্ড কোলম্যান। বইমেলা সমন্বয় করেছেন নিউইয়র্কের অনন্যা প্রকাশনীর সৈয়দ শহীদ।
নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাংলা ভাষা ও শেখার ব্যাপক আগ্রহ এ স্কুল প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ জুগিয়েছে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল আকরাম হোসেন। বাংলা সংস্কৃতি বিকাশে এ কাজ তিনি করে যাচ্ছেন তাঁর ব্যক্তিগত ভালোবাসার জায়গা থেকে।