মা–বাবার অস্ট্রেলিয়ার ভ্রমণ ভিসা দ্রুত মিলছে
প্রায় ২০ মাস করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ের পর খুলেছে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমানা। ফলে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দারা অস্ট্রেলিয়ার বাইরে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। আবার এই নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের মা–বাবাও চাইলে ঢুকেতে পারবেন অস্ট্রেলিয়ায়। মা-বাবার অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিভাগ। ১ নভেম্বর থেকে সরকারি এ নির্দেশনা চালু হয়েছে।
ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে আটকে থাকা নতুন ভিসা আবেদনও ইতিমধ্যে মঞ্জুর করতে শুরু করেছে অভিবাসন বিভাগ। তবে মা-বাবার জন্য ভিসা আবেদনের আগে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে হবে। মা-বাবা ছাড়া অন্য কোনো ভ্রমণ ভিসা এ সময় মঞ্জুর করবে না সরকার।
অস্ট্রেলিয়ায় মা-বাবাকে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ ১২ মাসের জন্য আনার সবচেয়ে সহজ ভিসা হচ্ছে ভিজিটর ভিসা সাবক্লাস ৬০০ স্পনসরড ফ্যামিলি স্ট্রিম। সাধারণ ভিজিটর ভিসার মতোই এ ভিসার আবশ্যিক শর্ত। তবে তেমন কোনো বাড়তি ঝামেলা নেই। মা-বাবা ও সন্তানের সম্পর্কের প্রমাণ এবং আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ দিয়েই মোটামুটি এ ভিসা মঞ্জুরের সম্ভাবনা নিশ্চিত করা সম্ভব। এ ভিসায় আবেদনের সরকারি ফি মাথাপিছু মাত্র ১৪৫ অস্ট্রেলীয় ডলার। তবে সীমানা বন্ধের কারণে ভিসা থাকা সত্ত্বেও আসতে পারেননি এবং ভিসার মেয়াদ চলে গেছে—এমন হলে বিনা মূল্যেই আবেদন করা যাবে এ ভিসায়। তিন মাসের কম সময়ের জন্য ভিসার আবেদন করলে স্বাস্থ্য পরীক্ষারও প্রয়োজন পড়বে না।
মা–বাবার এ ভিসায় আবেদনে দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, অবশ্যই মা-বাবাকে সম্পূর্ণ টিকা গ্রহণ করা থাকতে হবে। অর্থাৎ সরকার অনুমোদিত যেকোনো করোনাভাইরাসের টিকার দুই ডোজ গ্রহণ করা থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, আবেদন করলেই মিলবে না ভিসা। ভিসায় আবেদনের পরপরই ট্রাভেল এক্সেম্পশনের জন্য আবেদন করতে হবে। সেখানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় ছাড়ের কারণ হিসেবে ভ্রমণকারী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দার মা–বাবা হিসেবে উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি টিকাসহ আনুষঙ্গিক তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে। এ আবেদন মঞ্জুর হলে তবেই ভিসা প্রক্রিয়াজাত করবে অভিবাসন বিভাগ। এ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা না উঠিয়ে ভিসায় আবেদন করলে মাসের পর মাস অপেক্ষা করলেও মিলবে না ভিসা।
এ ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রাথমিক তালিকায় রয়েছে আবেদনকারীর পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, পূর্ববর্তী ভিসার থাকলে এর তথ্য এবং স্পনসরের পাসপোর্ট, জন্মসনদ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বসতবাড়ির প্রমাণাদি, কর্মস্থলের পে–স্লিপ ইত্যাদি। এ ভিসার বিস্তারিত আবশ্যিক শর্ত ও অন্যান্য তথ্য জানা যাবে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে।
*লেখক: অভিবাসন আইনজীবী, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া। [email protected]