মা-মেয়ে দুজনেরই প্রিয় শাড়ি

মা ফরিদা ইয়াসমিনের মতোই সাংস্কৃতিক জগতে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছেন মেয়ে মারজিয়া স্মৃতি
মা ফরিদা ইয়াসমিনের মতোই সাংস্কৃতিক জগতে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছেন মেয়ে মারজিয়া স্মৃতি
এই প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম শীর্ষ সংগঠন ‘বাফা’র সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনকে কে না জানে! দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে নিউইয়র্কে সব ধরনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক কাজে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি রয়েছে। ব্রঙ্কস-বাংলাদেশ উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি তিনি। সংগঠন-সংসারের এই তুমুল ব্যস্ততার মধ্যে ফরিদা ইয়াসমিন নয়টা-পাঁচটা চাকরি করছেন এইচএসবিসি ব্যাংকে ১১ বছর ধরে। বাঙালিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার এই ব্রতে ফরিদা শুধু নিজে শামিল হননি, আকৃষ্ট করেছেন একমাত্র মেয়ে মারজিয়া স্মৃতিকেও। নিউইয়র্কে যারা ‘মায়ার খেলা’, ‘চণ্ডালিকা’ নৃত্যনাট্য দেখেছেন, তাঁরা জানেন স্মৃতি একজন তুখোড় নৃত্যশিল্পী। শুধু নাচেই নয়, মায়ের মতো মেয়েও বাফার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। স্মৃতি বর্তমানে বাফার অর্থ ও পরিচালন পরিচালক। মনোবিজ্ঞানে স্নাতক স্মৃতি আলবার্ট আইনস্টাইন কলেজ অব মেডিসিনে গবেষণা সমন্বয়ক হিসেবে কর্মরত। আজ দুই প্রজন্ম বিভাগে শুনব মেধা ও গুনে অনন্য মা আর মেয়ের কথা। লিখেছেন মনিজা রহমান


১. কার অভিনয় দেখতে ভালো লাগে?

ফরিদা ইয়াসমিন: উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন।
মারজিয়া স্মৃতি: অ্যান্থনি হপকিন্স, শাবানা আজমী ও উত্তম কুমার।
২. প্রিয় পোশাক...
ফরিদা ইয়াসমিন: শাড়ি
মারজিয়া স্মৃতি: শাড়ি
৩. কখন বিরক্ত লাগে?
ফরিদা ইয়াসমিন: যাদের সময়জ্ঞান নেই, তাদের ওপর খুব বিরক্ত হই।
মারজিয়া স্মৃতি: কেউ যখন কাজটা করবে বলে করে না বা ভালো মতো করে না, তখন।
৪. পরস্পরের চরিত্রের পছন্দের ও অপছন্দের দিক...
ফরিদা ইয়াসমিন: মারজিয়া যে কাজটা করে, মন দিয়ে করে আর ও খুব পরিশ্রমী। ওর আরেকটা গুণ হলো- ও খুব নরম মনের মেয়ে। মানুষের প্রতি ওর দরদ প্রচণ্ড। আর অপছন্দ, এই বয়সী ছেলেমেয়েদের মতো ‘আমি সব জানি’ একটা মনোভাব ওরও আছে। মাও যে অনেক কিছু জানে, তার যে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে, এটা অনেক সময় বুঝতে চায় না।
মারজিয়া স্মৃতি: আমার মায়ের একই সঙ্গে অনেক কাজ করার ক্ষমতা আছে, যেটা আমাকে অবাক করে। বাসা-অফিস-বাফা সবকিছু নিপুণভাবে সামলান উনি। শুধু নিজের নয়, পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের সবার খোঁজ খবর রাখেন। আর মায়ের অপছন্দের দিক, উনি অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন সব সময়। কম পরিশ্রম করে ট্যাক্টফুলি অনেক কিছু সামলানো যায়, এটা উনি বোঝেন না!
৫. প্রিয় খাবার...
ফরিদা ইয়াসমিন: ভাত-মাছসহ সব ধরনের বাঙালি খাবার।
মারজিয়া স্মৃতি: থাই খাবার।
৬. যার গান ভালো লাগে...
ফরিদা ইয়াসমিন: লতা মঙ্গেশকর।
মারজিয়া স্মৃতি: অজয় চক্রবর্তী, রূপঙ্কর বাগচী।
৭. যেখানে যেতে চাই বারবার...
ফরিদা ইয়াসমিন: আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ; মনে হয় বারবার সেখানে যাই।
মারজিয়া স্মৃতি: আপস্টেট নিউইয়র্কে অবস্থিত এডিরনডেকস।
৮. পছন্দের বাহন
ফরিদা ইয়াসমিন: নৌকা।
মারজিয়া স্মৃতি: গাড়ি।
৯. প্রিয় লেখক...
ফরিদা ইয়াসমিন: হ‌ুমায়ূন আহমেদ।
মারজিয়া স্মৃতি: শেল সিলভারস্টেইন।
১০. অবসরে কি করেন?
ফরিদা ইয়াসমিন: ঘর গোছাই।
মারজিয়া স্মৃতি: ঘুমাই।
১১. টেলিভিশনে যে অনুষ্ঠান দেখতে ভালো লাগে…
ফরিদা ইয়াসমিন: রাতে স্বামীর সঙ্গে বসে সিএনএনে নিউজ দেখি। বিকেলে কাজ থেকে ফেরার পর বাসায় সিনেমা দেখি; পরিবারের সবাই মিলে। ছোট বোনও আসে। সিনেমাটা আসল ব্যাপার না, সবাই একসঙ্গে সময় কাটানোই মূল উদ্দেশ্য।
মারজিয়া স্মৃতি: সিনেমা দেখি; নাচের ভিডিও দেখা হয়।
১২. প্রিয় রং
ফরিদা ইয়াসমিন: গোলাপি, গাঢ় সবুজ।
মারজিয়া স্মৃতি: পিকক ব্লু, রক্তিম লাল।