গত ২৫ জুলাই ২০২০ জাপানের নাগাসাকি শিপিং কোম্পানির এমভি ওয়াকিশিও নামক একটি জাহাজ মরিশাসের দক্ষিণাংশে আটকে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। এমভি ওয়াকিশিও জাহাজটি ৩ হাজার ৮৯৪ মেট্রিক টন লো-সালফার ফুয়েল অয়েল, ২০৭ মেট্রিক টন ডিজেল এবং ৯০ মেট্রিক টন লুব্রিকেটিং তেল নিয়ে চীন থেকে ব্রাজিল যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনায় পড়ে। ওই জাহাজ থেকে প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন তেল উত্তোলন করা সম্ভব হলেও বাকিটা পানিতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মরিশাসের সমুদ্রে তেল ভাসতে থাকে, যার ফলে সমুদ্রের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সমুদ্রে ভাসতে থাকা তেল দ্রুত অপসারণ করা না গেলে মরিশাসসহ আশপাশের বিস্তৃত অঞ্চলের ব্লু-ইকোনমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ পরিস্থিতিতে মরিশাস সরকার পরিবেশগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পাশাপাশি বিপর্যয় থেকে দ্রুত উত্তোরণের লক্ষ্যে সব বন্ধুরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকার উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকার বন্ধুপ্রতিম মরিশাসের এ দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। এবারই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মরিশাস সরকারকে এ ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
১৬ সেপ্টেম্বর এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি উড়ানে ১০০০ পিপিই, ১০০০ হেড ক্যাপ, ১০০০ সু-কাভার, ১০০০ সার্জিক্যাল ফেস মাস্ক এবং খাদ্যসামগ্রীসহ মোট ৮৫০ কেজি মালামাল মরিশাসে পৌঁছায়।
মরিশাসের বাংলাদেশ হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ মরিশাসের পরিবেশ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কাভিদাস রামালোর কাছে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতাসামগ্রী হস্তান্তর করেন। সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী। এ সময় মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।