ভিয়েতনামে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ উদযাপন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেসকোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি লাভের অসামান্য অর্জনকে স্মরণ করে বাংলাদেশ দূতাবাস, হ্যানয়, ভিয়েতনাম, চ্যান্সারি ভবনে গতকাল শনিবার বিশেষ কর্মসূচি ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত, আলোচনা এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় ভিয়েতনাম অতিথি, দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মো. আলী মহসীন রেজা অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন। আলোচনার শুরুতে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, বাঙালি জাতি, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একাকার! বঙ্গবন্ধুই পেরেছিলেন এ জাতিকে সংঘবদ্ধ করতে, একতাবদ্ধ করতে। বাঙালির মুক্তি আন্দোলনে তিনি বারবার কারাবরণ করেছেন। নিজ জীবন উপেক্ষা করে তিনি সব সংগ্রাম পরিচালনা করেছেন। মহাসংগ্রামী এই নেতার নেতৃত্ব মেনে নিয়ে সেদিনের আবালবৃদ্ধবনিতা সংঘবদ্ধ হয়েছিল। জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ, স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষণা।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেসকো শুধু বঙ্গবন্ধুকেই সম্মান জানায়নি বরং পুরো বাঙালি জাতিকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বঙ্গবন্ধুর উদ্দীপ্ত ও প্রেরণা প্রদানকারী ভাষণ নতুন প্রজন্মের জন্য এক মাইলফলক হিসেবে সর্বদাই বিরাজমান এবং আজ সারা পৃথীবীতে এ অবিস্মরণীয় ভাষণের মর্মবাণী বিভিন্ন জাতির অনুপ্রেরণা সৃষ্টি এবং গবেষণার বিষয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ ইউনেসকোর এই স্বীকৃতি বাঙালি জাতির জন্য নিশ্চিত এক বিরল সম্মান।
শেষে ৭ মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, মহান এ ভাষণের বাংলা ও ইরেজি কপি আগত অতিথিদের মধ্যে বিতরণ এবং অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ ও হালকা আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি