ব্রুনেইয়ে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন
ব্রুনেইয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর উৎসব মুখরতার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়েছে বাংলা নববর্ষ। এ উপলক্ষে রাজধানী বন্দর সেরি বেগওয়ানে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে গতকাল পয়লা বৈশাখ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বর্ণিল পোশাকে সজ্জিত শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাসপূর্ণ উপস্থিতিতে হাইকমিশন প্রাঙ্গণ উৎসবের আমেজে ভরে ওঠে। ঢোল, একতারা, বাঁশি, মুখোশ, কুলা আর আবহমান বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের নানা সামগ্রী সকলের মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে। এক বাংলাদেশি এক ব্রুনেইয়ান স্লোগানকে ধারণ করে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বিদেশিরাও এই প্রাণের মেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেন। মেলায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্টল স্থাপন করে। যেখানে নানা ঐতিহ্যবাহী পিঠা, ঝালমুড়ি, চটপটি, ফুচকা, কুটির শিল্প, দেশি বস্ত্রসহ প্রায় ১৬টি স্টল ছিল।
ব্রুনেই দারুসসালামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মাহমুদ হোসেন বৈশাখী মেলা ও বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
এসো হে বৈশাখ চিরকালীন এ গানের সম্মিলিত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়। সংগীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদিতে সমবেত শিল্পীরা সবাইকে দিনভর মাতিয়ে রাখে। কাব্যের সুষমা, সংগীতের মূর্ছনা প্রাণবন্ত দিনটিকে মুখর করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রবাসী শিল্পীদের উপহার সামগ্রী সেই সঙ্গে উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বৈশাখী র্যাফেল ড্রয়ের আকর্ষণীয় ২০টি পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠান শেষে হাইকমিশনার মাহমুদ হোসেন তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, নববর্ষ বাঙালির সর্বজনীন প্রাণের উৎসব। বাঙালির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের অন্যতম অনুষঙ্গ বর্ষবরণ; এ দিনে আমরা পুরোনো, জীর্ণ আর ক্লেদ সরিয়ে সম্মুখ যাত্রার শুভ উদ্বোধন করি। সংগীত-নৃত্য-কবিতা আর মঙ্গলালোকের শুভ উচ্ছ্বাসের ভেতর দিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নেই। তিনি নতুন বছরে সরকার ও দেশের সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি