ব্যাংককে বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলা
বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও দৃঢ় করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে থাইল্যান্ড। গত বৃহস্পতিবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় ব্যাংককের চুলালংকর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিরাসাকদি ফুতরাকুল। বাংলাদেশ দূতাবাস ও থাইল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে।
উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিরাসাকদি ফুতরাকুল বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সাম্প্রতিক ধারাবাহিক অগ্রগতিরও প্রশংসা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার চাইরাত কাসেটসুনতন, থাই জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির প্রধান বিলোইনভান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বানডিট ইউআরপর্ন, দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম, থাই জাতীয় সংসদের কয়েকজন সদস্য, কূটনৈতিক কোরের কয়েকজন সদস্য এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ব্যাংককের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সর্বস্তরের জনগণ মেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গত এক দশকে অর্জিত সাফল্যকে থাই সরকার, সাধারণ জনগণ ও বিশেষত প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে এই উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ, পর্যটন, কৃষি, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও সামাজিক উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্যগাথা তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া চুরালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড সাংস্কৃতিক মৈত্রী চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে দুই দেশের সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত সাদৃশ্যসমূহও তুলে ধরা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম উন্নয়ন মেলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও অসাম্প্রদায়িক পরিচয় তুলে ধরেন। বিজ্ঞপ্তি