বিশ্বে মানসিক রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে
মানসিক অসুস্থতা বিশ্বের মানুষকে গ্রাস করতে শুরু করেছে। ঘরে–বাইরে প্রশ্ন একটাই, কী কারণে মানুষ এ অসুস্থতায় ভুগছে? গরিবের পেটে খাবার নেই, পরনে কাপড় নেই, শোবার ঘর নেই, চিকিৎসার ওষুধ নেই। শুধু নেই আর নেই। বড় লোকের মন ভালো নেই, মনে শান্তি নেই, শুধু নেই আর নেই। বিপদের শেষ নেই, দুর্নীতির বিরতি নেই। বর্তমান সময়ে মরার সময় নেই। সারা বিশ্বে বিশাল জনগোষ্ঠী মানসিক রোগে ভুগছে। নানা কুসংস্কার আর অসচেতনতার কারণে তা গোপন করা হয়। ফলে এই রোগীরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নীরবে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে।
মানসিক রোগ মোকাবিলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সচেতনতা, যা প্রতিরোধ ও প্রতিকার উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত জরুরি।
এমন দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে জীবন চলছে বিশ্ব সমাজের একটি বড় অংশের মানুষের। আমি তাদের কথা বলছি। অতীতে ধারণা ছিল, গরিবেরই যত জ্বালা। গরিব থেকে কীভাবে ধনী হওয়া যায়, তার জন্য সংগ্রাম। ভালো সুযোগের সন্ধানে দেশ পর্যন্ত ছেড়েছি। শুধু নিজের নয়, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজনসহ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে লেগে আছি। আমরা সুখের সন্ধানে সবাই ব্যস্ত। সুখের জন্য প্রেম অথচ প্রেমের খোঁজ নেই। তারপরও মায়ার ছলনায়, সবকিছু ভুলে সংগ্রাম করে চলছি। গরিব দেশে জন্মে গরিব কী জিনিস, তা দেখেছি। বড়লোকের দেশে এসে বড়লোক কী জিনিস, তা–ও দেখেছি। গরিবের মতো বড়লোকের জীবনেও যে হাজারো সমস্যা রয়েছে, এটা বুঝতে হলে নিজেকে বড়লোক হতে হবে। আমি যদিও বড়লোক গ্রুপের মধ্যে পড়ি না, তবে বড়লোকদের সঙ্গে মেলামেশা করার কিছুটা সুযোগ হয়েছে। ফলে কিছু অপ্রিয় সত্য কথা তুলে ধরব।
এবার আশা যাক গল্পের মূল বিষয়ে। আনিকা নামের এক মহিলার সঙ্গে আমাদের পারিবারিকভাবে পরিচয় হয় বেশ কিছুদিন আগে। আনিকার স্বামী মারা গেছেন পাঁচ বছর হলো। এরপর আর নতুন কোনো সম্পর্কে জড়ায়নি সে। সংসারে তার এক মেয়ে। নাম সাবিনা। তার বয়স ২৬ বছর। পেশায় সে পাইলট। থাকে স্টকহোমে। আমি সাবিনাকে চোখে দেখিনি। আনিকার কাছ থেকে তার সম্পর্কে শুনেছি। আনিকার বয়স ৬৫ বছর। তবে চাকরি এখনো ছাড়েনি। শরীর–স্বাস্থ্য ভালো, থাকে একা, নির্জনতা এড়াতে এবং নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখাই বর্তমানে তার মূল্য লক্ষ্য।
সন্ধ্যা প্রায় শেষের দিকে। হঠাৎ টেলিফোন। ‘হ্যালো, রহমান বলছি।’
‘আমি সাবিনা বলছি, আমার মা আনিকা, শুনেছি তার থেকে তোমাদের কথা।’
‘বেশ তা কী মনে করে? কিছু বলবে?’
‘দেখো, আমার মা একজন অ্যালকোহোলিক। কাল থেকে তার সপ্তাহখানেক ছুটি। সে কোথাও যাবে না, ঘরে বসে সময় কাটাবে আর বসে বসে মদ পান করবে। আমি কিছুক্ষণ আগে ফোন করেছিলাম। কথার মধ্যে বেশ জড়তা টের পেয়েছি।’
আমি উত্তরে বললাম, ‘বলো কী! আমরা তো এমনটি কখনো দেখিনি? তোমার কোথাও গরমিল হচ্ছে না তো? আমি তাকে বেশ কয়েকবার ডিনারে দেখেছি, মদপান করতে কখনো দেখিনি।’ সাবিনা কান্নার স্বরে বলতে শুরু করল, ‘সেই ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর কাজ থেকে বাসায় এসে মার প্রথম কাজটি হচ্ছে বসে বসে মদ গেলা। গিলতে গিলতে এখন মদে আসক্ত হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে চিকিৎসা নেয়, কিছুদিন ভালো থাকে, পরে আবার সেই বদভ্যাস।’
আমি সাবিনাকে জিগ্যেস করলাম, ‘তোমার মা কি জানে যে তুমি আমাকে বিষয়টি জানাবে?’
‘না।’
‘তাহলে আমাকে যে তুমি তোমার পারিবারিক এমন একটি সিক্রেট জানালে, কী কারণে? আমি মনোবিজ্ঞানি নই বা মাতালদের সম্পর্কে তেমন অভিজ্ঞতাও নেই। তবু বলো, আমাকে কী করতে হবে?’
সাবিনা বলল, ‘কেন তুমি না সুইডেনের একজন মস্ত বড় কোম্পানির দায়িত্বে ছিলে, শত শত কর্মী তোমার অধীন কাজ করেছেন। তোমার তো এ বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকার কথা। আমার মাকে কীভাবে এর থেকে রক্ষা করা সম্ভব, একটু দেখ প্লিজ।’
আমি সাবিনাকে জিগ্যেস করলাম, ‘তা তোমার কামকাজ কেমন চলছে?’
বলল, ‘স্ট্রাগল করছি। করোনার কারণে ঠিকমতো ফ্লাই করতে পারছিনে। মানসিক দিক দিয়ে কিছুটা অশান্তি চলছে, তার ওপর মার সমস্যা। সব মিলে ডিপ্রেশনে আছি।’
সাবিনাকে বললাম, ‘টেলিফোন রাখো। আমি দেখি কী করতে পারি।’
শুক্রবার রাত নয়টা। আমার মেয়ে জেসিকা কলেজ শেষ করেছে। আপাতত লেখাপড়া, খেলাধুলা ছেড়ে ফুলটাইম কাজ নিয়েছে। প্রতি শুক্রবার সে অতিরিক্ত কাজ করে টেনিস একাডেমিতে। তার কাজ শেষ হবে রাত সাড়ে ১০টায়। বাসায় আসতে আসতে রাত ১১টা বেজে যাবে। মারিয়াকে (আমার স্ত্রী) বললাম, ‘তুমি কি নিচে গিয়ে নক করবে আনিকাকে?’ মারিয়া বলল,‘ বিষয়টি কেমন হবে, দেখা গেল দরজা খুলল না লজ্জায়, যদি সত্যি সত্যি বসে বসে মদ পান করে।’ কী করা! আমি আনিকার নম্বরে ফোন দিলাম। আনিকা ফোন ধরে উত্তর দিল। বললাম, ‘ওপরে আসো একসঙ্গে কফি খাব।’ আনিকা দ্বিমত না করে বলল, ‘ঠিক আছে, আসছি।’
আনিকা আমার নতুন প্রতিবেশী, পরিচয় সেই মে মাস থেকে। ঘরে ঢুকতেই বুঝলাম, গলার স্বর কিছুটা অন্য রকম। একথা–সেকথার মধ্যে কফি রেডি হয়ে গেল। তিনজন কফি পান করতে করতে হঠাৎ বললাম, ‘তোমার মেয়ে সাবিনা ফোন করেছিল কিছুক্ষণ আগে।’ আনিকা হঠাৎ থমকে গেল।
‘সাবিনা কীভাবে তোমাকে ফোন করল, কীভাবেই–বা তোমার টেলিফোন নম্বর পেল?’
আমি হাসতে হাসতে বললাম, ‘গুগলে রহমান মৃধাকে পেতে সাবিনার নিশ্চয় সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
আনিকা বলল, ‘তা ঠিক, কিন্তু তোমাকে ফোন করল!’ আমি প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললাম, ‘অতীতে আমার কাছে এক কর্মীর স্ত্রী হঠাৎ ফোন করে বেশ কান্নাকাটি করে বলেছিল তার স্বামীর অ্যালকোহলে আসক্তির কথা। সেদিনের সেই টেলিফোনের কথোপকথন মারিয়া শুনেছিল। মারিয়াও ঠিক একই প্রশ্ন করেছিল, এই মহিলা আমার নম্বর পেল কী ভাবে?’
মারিয়া হেসে দিয়ে আনিকাকে বলল, ‘সবাই রহমানের সঙ্গে মনের কথা খুলে বলে, কী জাদু যে আছে আমার রহমানের মধ্যে, তা বুঝলাম না।’ পরিবেশটা একটু হালকা মনে হচ্ছে ভেবে আনিকাকে বললাম, ‘তোমার মেয়ে সাবিনা ফোন করেছে আমাকে। নিশ্চয় তুমি কারণ জানতে চাও? আমি কারণ বলার আগে তুমি আমার সঙ্গে তোমার জীবনের কোনো গোপনীয় কথা কি শেয়ার করতে চাও?’
আনিকা উত্তরে বলল, ‘গোপনীয় কিছু নেই, যা তোমাদের বলা হয়নি।’
আমি বললাম, ‘আছে একটু ভেবে দেখো।’ এরই মধ্যে সাবিনা আবারও ফোন করেছে।
‘কী ব্যাপার তুমি আবার?’
‘মাকে ফোন করেছি, কিন্তু মা ফোন ধরছে না, মনে হচ্ছে কিছু একটা ঘটেছে।’
আমি বললাম, ‘তোমার মা এখন আমাদের বাসায় কফি পান করছে। তুমি শান্ত হও। আমি দেখছি।’ এই বলে টেলিফোন রেখে দিলাম।
আনিকা নিজ থেকে বলল, ‘আগামী সপ্তাহ ছুটি। সাবিনা ফোন করেছিল, আমি যেন আজই তার বাসায় যাই। আমি বলেছি, “গাড়ি নষ্ট, ঠিক করতে দিয়েছি কাল দেবে। আজ না কাল আসব।” এ কথায় সে ধরে নিয়েছে, আমি ড্রিংক করেছি। তাই আমি তারে মিথ্যা কথা বলেছি যে গাড়ি নষ্ট।’
আমি বললাম, ‘তা তুমি ড্রিংক যদি করে থাকো, তাহলে সেটা বললেই তো হয়। তুমি তো অবুঝ না যে মদপান করে গাড়ি চালাবে।’
আনিকা নিজ থেকে বলল, ‘আমি তোমাদের সামনে কখনো মদ পান করিনি। তবে আমি অ্যালকোহোলিক। আমি সরি, আমি লজ্জিত। আমি জানি তোমরা আমাকে আর আগের মতো রেসপেক্ট করবে না, বরং ঘৃণা করবে।’
মারিয়া বলল, ‘ছি ছি! এ কি বলছ, ঘৃণা করব কেন? যদি তুমি মনে কর, তুমি তোমার মেয়েকে ভালোবাস, তবে সে যদি তোমার ড্রিংক করাটা পছন্দ না করে, তবে সেটা ছেড়ে দেবে।’
এখন নেশা ছাড়তে দরকার পেশা। এখন সেই পেশা কী হতে পারে বা কীভাবে মদকে দূর করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।
আনিকা বলতে শুরু করল, ‘আমি অনেক চেষ্টা করছি, কিন্তু ঘরে যখন একা থাকি, তখন একটু একটু মদ পান করি। একা একা কিছু ভালো লাগে না তাই। আমি এখন কী করব?’
আমি শুধু বললাম, ‘আনিকা মদ পান কর, এটা সমস্যা নয়। সমস্যা হচ্ছে সেটাকে গোপন করা।’
আনিকা উত্তরে বলল, ‘গোপন না করলে তো সবাই মনে মনে ভাববে, আমি অ্যালকোহলিক।’
আমি শুধু বললাম, ‘বর্তমান বিশ্বে মদ পান করে না এমন লোক আছে? তবে তাদের বেশির ভাগই পান করে না। কারণ পান করার মতো সামর্থ্য ও সুযোগ নেই। আবার অনেকে আছে, যাদের সব ধরনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা যে জিনিস ভালো না, সেটা করে না।’
আনিকাকে যাওয়ার বেলা শুধু বলেছি, ‘হঠাৎ মদ পান বন্ধ করার দরকার নেই। তবে সাবিনা যখন ফোন করে তোমাকে যেতে বলবে, তখন যদি তুমি পদ পান করে থাক, শুধু বলবে, “এখন গাড়ি চালাতে পারব না। কারণ আমি পদ পান করেছি।”’
আনিকা বলল, ‘এ কথা বললে সাবিনা আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করবে না, আমাকে ঘৃণা করবে।’
আমি বললাম, ‘সত্যি কথা গোপন রেখে সাবিনার ভালোবাসা ধরে রাখতে পেরেছ?’ আমি আরও বললাম, ‘দেখো, তোমার মেয়ে আমাকে জানিয়েছে যে তুমি অ্যালকোহলিক, যা আমার জানার কথা তোমার থেকে।’ আনিকা চলে গেল। রাত হয়েছে অনেক। জেসিকা ঘরে ঢুকেছে, কিছুটা সময় নিজেরা একসঙ্গে কাটিয়ে ঘুমাতে গেলাম।
সপ্তাহ পার হয়ে গেল। আনিকা টেলিফোনে মেসেজ পাঠিয়েছে।
‘তোমাদের হারানোর ভয়ে আমার সমস্যার কথা বলিনি। আশ্চর্য, আমার অ্যালকোহল সমস্যা জেনেও তোমরা আমার সঙ্গে এত সুন্দর ব্যবহার করেছ? আমার মেয়ে লিখেছে এত বছর পর এই প্রথম, “মা, আমি তোমাকে ভালোবাসি। এত বছর পর প্রথম সত্য কথাটি বললে যে তুমি রাতে মদ পান করেছ। তাই সকালে আমার সঙ্গে দেখা করতে পারবে না।”’
আমি উত্তরে শুধু লিখেছি, ‘আনিকা তোমাকে নয়, আমরা মদকে ঘৃণা করি। আমাদের কাছে তুমি তো সেই আগের মতোই আছ।’
এতক্ষণ পাশ্চাত্যের একটি পরিবারের ট্রাজেডির কথা জানালাম। এখানে সব থাকতেও কিছু নেই। এমনটি বাংলাদেশে ঘটছে না, তা কি কেউ বলতে পারবে? তবে বিশ্বব্যাপী তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মাদকাসক্তির পরিসংখ্যান ভয়ানকভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়।
অতি প্রাচীনকাল থেকে সুরা বা মদপান–সুরাসক্তি সমাজে প্রচলিত রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত পান না করে সীমিত পরিসরে শারীরিক-মানসিক শক্তি বৃদ্ধি, হতাশা থেকে মুক্তি, আত্মনিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন উপায় হিসেবে এসব সুরা পানের প্রবণতা অতিশয় দৃশ্যমান ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে এ সুরাপানের ধারাবাহিকতা মাদকের নেশায় পর্যবসিত হয়ে বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কদাচাররূপ ধারণ করেছে। মানসিক চাপ হ্রাস, হতাশা থেকে সাময়িক মুক্তি, একঘেয়েমি অবস্থা থেকে পরিত্রাণ, আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার, সুখানুভূতি লাভে নেশা করার প্রাথমিক কৌতূহল থেকে মাদক ধীরে ধীরে অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণে ধাবিত করে। নেশার মাত্রা বাড়িয়ে ক্রমান্বয়ে সব সৃজনশীলতা ধ্বংস ও স্বাভাবিক জীবনযাপনে মাদকের নেশা দুর্ভেদ্য প্রাচীর নির্মাণ করে।
একবার যারা এ মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়, তাদের পুনর্বাসনকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলেও এর থেকে পরিপূর্ণ উদ্ধার অসম্ভব ব্যাপার।
আমার লেখার সারমর্ম এমনটি করে ভাবা যেতে পারে যে সব উন্নয়ন-অর্জনের গতিপ্রকৃতিকে স্বাভাবিক ধারায় প্রবাহিত করার লক্ষ্যে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে পরিপুষ্ট উদ্যমী, কর্মঠ, দক্ষ ও যোগ্য কর্মবীরের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। মাফিয়া চক্রের বিস্তৃত অপকৌশল, মাদক সেবনকারী ও মাদকাসক্তের অপপ্রয়োগ নির্মূল করার যথোপযুক্ত ব্যবস্থার সঠিক ও প্রায়োগিক বাস্তবায়নে যেকোনো ধরনের শিথিলতা (দুর্নীতি বা ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে এ ধরনের অপরাধীর সঠিক বিচার না হলে) জাতিকে গভীর অন্ধকারে নিক্ষেপ করতে পারে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
লেখক: রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, প্রোডাকশন অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, ফাইজার, সুইডেন থেকে। [email protected]