বিশ্বে জল ও জীবের ভবিষ্যৎ

লেখিকা
লেখিকা

নোবেল বিজয়ী অস্ট্রিয়ান পদার্থবিদ আরউইন শ্রোডিঙ্গার ১৯৪৩ সালে এক সেমিনারে বলেছিলেন, জীবন হচ্ছে ‘এ কেমিক্যাল স্ট্রাকচার ইন লিভিং সেলস।’ সত্যিই তা–ই। কারণ জীব শরীর হচ্ছে (এককোষী ব্যাকটেরিয়া থেকে বিলিয়নকোষী মানবদেহ পর্যন্ত) এক থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন মাইক্রোস্কপিক সেলের এমন এক সুশৃঙ্খল পরিকাঠামো, যা জীবদেহের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী শতকরা ৬৫ থেকে ৯০ ভাগ পর্যন্ত জল ও অন্যান্য জলীয় রসায়ন দ্বারা পরিপূর্ণ। জীবের সব রকম ফিজিওলজিক্যাল ফাংশনই (শরীরের গ্রোথ, ডেভেলপমেন্ট, রিপ্রোডাকশন প্রক্রিয়া ইত্যাদি) মূলত জীবদেহের মাইক্রোস্কপিক কোষগুলোর কার্যকারণ সম্পর্কের সুশৃঙ্খল, সুনির্দিষ্ট ক্রিয়া–প্রতিক্রিয়া। অনাদিকাল থেকে জীব সৃষ্টি ও জীবন রক্ষায় জলের ভূমিকা তাই অনন্য সাধারণ ও অপরিহার্য।
এই জীবকুলের যথাযোগ্য বাসভূমি হয়ে উঠতেই জীবদেহের পরিকাঠামোর মতো সাগর মহাসাগর পরিবেষ্টিত জলের শয্যায় শায়িত বসুধা জননীর গঠন প্রক্রিয়াও। জীবকোষের প্রধান তিনটি স্তরের মতো পৃথিবীর শরীরও গঠিত হয়েছে প্রধান তিন স্তর দিয়ে ( Interior layers)। ইকোলজিক্যাল ব্যালান্স বজায় রাখতে এরা সিরিজ অব সিস্টেমসের মাধ্যমে জীবকোষের মতো পারস্পরিক ক্রিয়া–প্রতিক্রিয়ায় ব্যস্ত রয়েছে নিয়ত। পারস্পরিক সম্পর্কের এই ক্রিয়া–প্রতিক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে নানা পদার্থমিশ্রিত ভূগর্ভের বিপুল জলরাশি। জগৎ সৃষ্টির প্রথম পর্বে পৃথিবীকে যা জীবধাত্রী হয়ে উঠতে প্রস্তুতি দিয়েছিল। এ কথা বললে তাই অত্যুক্তি হয় না, ভারী বিছানার চাদরের মতো তিন স্তরের সুবিস্তৃত পৃথিবী মূলত ভেসে রয়েছে নানা কেমিক্যাল আর পদার্থ মেশানো এক তরল জলের বিছানায়। ভূপৃষ্ঠের সিংহভাগও (৭০ শতাংশ) আবৃত রয়েছে সাগর মহাসাগরের তরল আবরণ দিয়ে। সর্বজীবের উপযোগী তাপমাত্রা অক্ষুণ্ন রাখতে এই সাগর–মহাসাগরই কোটি কোটি ঊর্মিমালার মধ্যেমে বায়ুমণ্ডলের সোলার রেডিয়েশনকে ( Heat energy) শুষে নিচ্ছে নিরন্তর। সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তৈরি করছে বৃষ্টির শরীর, যার বর্ষণপাত ভিজিয়ে দিচ্ছে বায়ুমণ্ডলের সব শুষ্কতা। উর্বরতা দিচ্ছে শস্য ফলানোর মাঠকে। আবার এই বৃষ্টিপাতের কারণেই সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে ভূগর্ভসহ নানা জলের উৎসগুলোতে সঞ্চিত হচ্ছে জীবের ব্যবহার উপযোগী প্রচুর পরিমাণে পরিচ্ছন্ন জল (Fresh water)। জলের সঙ্গে তাই জগৎ ও জীবের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে রয়েছে ওতপ্রোতভাবে।
ভবিষ্যতের কথা ভেবে বর্তমান শতাব্দীতে বিশ্বব্যাপী জল নিয়ে বিপুল পরিমাণে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে ক্রমে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা ‘গ্লোবাল ওয়াটার ক্রাইসিসের’ কথা বলে অহরহই বিশ্ববাসীকে শোনাচ্ছেন তাঁদের সতর্কবাণী। তাঁরা বলছেন, বিশ্বে বিলিয়ন মানুষের অস্তিত্ব রক্ষা, কৃষি উৎপাদনের ব্যবস্থা ও স্থিতিশীল অর্থনীতির সংরক্ষণে জলের এই সংকট দ্রুত ডেকে আনছে এক মহাবিপর্যয়।
জলের জন্য এই নিয়ামক প্রভাব, সতর্কবাণী উচ্চারণ অবশ্যই বিশ্বের বাস্তব চালচিত্রের দিকে লক্ষ রেখেই। মানব উন্নয়ন সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীতে মোট জনসংখ্যার এক–পঞ্চমাংশ (১.২ বিলিয়ন) প্রয়োজনীয় জল থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত। প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মানুষ এই পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আর ১.৬ বিলিয়ন জল স্বল্পতার কারণে জর্জরিত নিত্যদিন। জলের কারণে বিশ্বে জীবের ভবিষ্যৎ কোন ভয়ংকর বিপর্যয়ের মধ্যে বিলীন হতে পারে, তার বিস্তারিত বিশ্লেষণে না গিয়ে দু–একটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরলেই পরিস্থিতির ভয়াবহতা পরিস্ফুট হবে। জলের সংকটে আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘিরে মরুভূমির লক্ষণ স্পষ্টই দৃশ্যমান আজ। বৃষ্টির প্যাটার্ন পাল্টে গিয়ে দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে সেখানে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে হেক্টরের পর হেক্টর জুড়ে ফসল ফলানোর মাঠ। মৃত্যুবরণ করছে পালে পালে গবাদিপশু। শত শত শুষ্ক নদীনালা প্রাণচিহ্নহীন। দুঃসহ পর্যায় অতিক্রম করেও তাপামাত্রা ক্রমশ ছুটে চলেছে ঊর্ধ্বগামী হয়ে। প্রকৃতির ভারসাম্যহীনতা সংক্ষুব্ধ করে তুলছে মানবজাতিকেও। তারা অবিশ্রান্ত জড়িয়ে পড়ছে নিষ্ঠুর হিংস্রতার সঙ্গে। উদ্বাস্তু জীবনযাপন উপকূলীয় অঞ্চলের লাখ লাখ অধিবাসীদের। আর সাব-সাহারান অঞ্চলগুলোতে নিরন্তর বুভুক্ষতা এক ক্রনিক ব্যাধি আজ।
অথচ প্রাগৈতিহাসিক যুগে, সৃষ্টির প্রথম ঊষায় যখন ডাইনোসরদেরই শুধু রাজত্ব ছিল, সাগর-মহাসাগরের পারাপার জুড়ে উভচর প্রাণীরা দাপিয়ে বেড়াত সদম্ভ অস্তিত্বের ঘোষণা দিয়ে, তখনকার চেয়ে তরল জলের পরিমাণ বর্তমান পৃথিবীতে কিছু কম নয়। বিশেষত বিলিয়ন বছরের বরফ সাগর, লাখো বছরের গ্লেশিয়ার এই শতাব্দীতে তরলিত হতে হতে ক্রমশই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলছে সাগর মহাসাগরের অথৈ বুক। শক্তিশালী ঝঞ্ঝা, বন্যার অতি প্লাবনও জানিয়ে দিচ্ছে শতাব্দী শেষ না হতে তরল জলের অস্থির চাপে বিলীন হয়ে যাবে ভূপৃষ্ঠের অনেকগুলো নিম্নভূমি।
প্রশ্ন জাগে, তাহলে প্রয়োজনীয় জলের চাহিদা থেকে কেন বঞ্চিত পৃথিবীর সংখ্যাতীত মানুষের দল? জলাভাবে কেন মরু হয়ে চলেছে মাটির অন্তর? মরে যাচ্ছে গবাদিপশু? প্রাণচিহ্নহীন নদীনালা, খালবিল? বাস্তবতার এই দৃশ্যমানতা জগতে কেন এগিয়ে আসছে দ্রুত লয়ে? যে জীবধাত্রী পৃথিবী জলবায়ু আর পারিপার্শ্বিকতার বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য সোলার সিস্টেমের অন্যসব গ্রহগুলো থেকে একেবারে আলাদা, যেখানে মাইক্রো-অর্গানিজম থেকে হাইলি সফিস্টিকেটেড বুদ্ধিমান মানুষের সুস্থির বসবাস, সেখানে জল নিয়ে এ বিপর্যয়ের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে কোন কারণ?
এর বাস্তব কারণ অবশ্যই রয়েছে। তবে সেগুলো বিশ্লেষণের আগে একটি কথা বলে রাখা ভালো ‘জল সংকট’ বিশ্বে সমগ্র জলের পরিমাণ নিয়ে নয়। জীবের নিয়মিত জীবনধারণযোগ্য বিষাক্ত কেমিক্যালমুক্ত পরিচ্ছন্ন জলের (Fresh Water) পরিমাণ নিয়ে। হররোজ সুস্থভাবে জীবন ধারণের জন্য জগতে জীবের যা প্রয়োজন হয়, প্রয়োজন হয় খাদ্য উৎপাদনের কাজে। যে জল প্রাকৃতিক নিয়মেই সুনির্দিষ্ট বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে সঞ্চিত হয় নদনদীসহ ভূগর্ভের পরিব্যাপ্ত অংশজুড়ে। বর্তমান বিশ্বে নানা কারণে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার জন্য সেই পরিচ্ছন্ন জলের উৎসগুলো বিপর্যয়ের সম্মুখীন।
পরিবেশবিজ্ঞানীরা বলেন, গ্লোবাল ক্লাইমেট বিপর্যয়ের পেছনে দুধরনের কারণ বর্তমান। এক. বিপর্যয়ের ন্যাচারাল কারণ। দুই. মানুষের তৈরি কারণ।
ন্যাচারাল কারণ: সমস্ত পার্থিব পদার্থেরই স্বাভাবিক পরিণতি অমোঘ মৃত্যু। অর্থাৎ একদিন যার জন্ম হয়েছে মৃত্যু তার অনিবার্য। জন্মলাভের পর জীবধাত্রী পৃথিবী তার সৌরমণ্ডলসহ বর্তমানে এজিং প্রসেসে প্রৌঢ়ত্বের পরিসীমানায় দাঁড়িয়ে। জ্যোতির্পদার্থবিদরা বলছেন, মহাকাশের ছায়াপথে ঝুলে থাকা আরও অনেক মৃত নক্ষত্রের মতো কোটি কোটি বছর ধরে অনির্বাণ উত্তাপ বিতরণ শেষে একদিন আমাদের সূর্য মরে যাবে হীনবল হয়ে। সূর্যবিহীন অন্ধকারে অনিন্দ্যসুন্দর পৃথিবীও তখন মৃত্যুর শীতলতায় প্রাণস্পর্শহীন হয়ে পড়বে। কিন্তু তার অনেক আগে থেকেই পৃথিবীর সুগৌরব দেহপল্লব প্লাবিত হয়ে যাবে ক্রমশ স্ফীত হতে থাকা উত্তাল মহাসাগরের উত্তুঙ্গ লবণজলে। অক্সিজেনের অভাব ও তাপশক্তিহীনতায় ক্রমে ক্রমে এক অনুর্বর ও প্রাণচিহ্নহীন বরফের পাথরে ( Ice Rock) পরিণত হতে হতে অহল্যা পাষাণী হয়ে যাবে পৃথিবী।
কিন্তু পাঁচ বিলিয়ন বছর বয়সী পৃথিবী আর সূর্যের মৃত্যু হতে এখনও বিলিয়ন বছর বাকি। যাতে তার আগেই অপরিণামদর্শী স্বার্থপর মানবজাতি অকালে তাকে সংহার না করে, হৃদয়বান, সচেতন পরিবেশবিদদের আকুল আহ্বান সেই জন্যই এমন অবিশ্রান্ত। মানুষের তৈরি পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণকে তাঁরা চিহ্নিত করেছেন ছয়টি ভাগে বিভক্ত করে। ১. অনিয়মতান্ত্রিক দ্রুতহারে বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে ভূমিক্ষয়ে বিশুদ্ধ জলের উৎসগুলোর ভরাট হওয়া এবং বৃষ্টির প্যাটার্ন বদলে যাওয়া। ২. বিজ্ঞান ও শিল্পবিপ্লবের আতিশয্যে অতিরিক্ত গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণে তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি। ৩. অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে নগরসভ্যতার সম্প্রসারণ। ৪. ফসল উৎপাদন ও নগরবাসীর নিত্য ব্যবহারে মাত্রাতিরিক্ত ভূমিতলের সঞ্চিত জল উত্তোলন। ৫. ফসল উৎপাদনে রাসায়নিক সার অধিক প্রয়োগের ফলে ভূত্বক কঠিন হয়ে পড়ায় বৃষ্টির জল ধারণের ক্ষমতা হ্রাস। ৬. শিল্পবর্জ্য ফেলে জলাশয়কে দূষণযুক্ত করা (প্রতিদিন পৃথিবীতে দুই মিলিয়ন টন শিল্পবর্জ্য ফেলা হয় নদনদীসহ বিভিন্ন জলাশয়গুলোতে)।
তবে সব কারণের পেছনের কারণ খুঁজেই সেন্সাস রিপোর্টাররা এবার জানাচ্ছেন, জনসংখ্যার শঙ্কাজনক বৃদ্ধি এবং রাক্ষুসে ভোগবাদই এতসব বিপর্যয়ের মূলে। বিশ্বে প্রতিবছর মোট বিশ্ব জনসংখ্যার সঙ্গে নতুন করে যোগ হচ্ছে ৮০ মিলিয়ন মানুষের মৌলিক চাহিদা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, বাসস্থানের সঙ্গে যথানিয়মেই যুক্ত হচ্ছে ব্যবহারযোগ্য জলের পরিমাণ। অর্থাৎ বিশ্বে জল সরবরাহের মোট পরিমাণের সঙ্গে প্রতিবছর ৬৪ বিলিয়ন কিউবিক মিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিশুদ্ধ জলের চাহিদা। এদিকে ইকোলজিক্যাল ব্যালান্স নষ্ট হওয়ায় বদলে গেছে বৃষ্টির প্যাটার্ন। কঠিন ভূত্বক দিয়ে ভূগর্ভেও বিশুদ্ধ জল সঞ্চয় যথানিয়মে ঘটছে না।
সমস্যা এখানেই। বিশ্বে বিশুদ্ধ জলের পরিমাণ এখনো ডাইনোসরদের প্রাগৈতিহাসিক যুগের মতোই মোট জলের ২.৫ ভাগ। বাকি ৯৭.৫ ভাগ স্যালাইন ও মহাসাগর। এই ৯৭.৫ ভাগ জলকে চাইলেই ইচ্ছেমতো স্বল্প ব্যয় ও সহজ পদ্ধতিতে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা সম্ভব নয়। যেভাবে শিল্পকারখানায় শিল্পদ্রব্য উৎপাদন করা সম্ভব, সেভাবে শিল্পকারখানায় বিশুদ্ধ জল উৎপাদন করা আয়াসসাধ্য কাজ নয়। তাই ভূপৃষ্ঠের জলের উৎস নষ্ট হওয়ায় দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে কয়েক যুগ ধরেই ভূগর্ভস্থ জলরাশিকে মাত্রাতিরিক্ত উত্তোলন করা হচ্ছে নিয়মিত। যার পরিণতি ঘনিয়ে তুলতে পারে জগতে যেকোনো ট্র্যাজিক দুর্যোগকেই। জলদূষণই শুধু নয়, ভূগর্ভের বিশুদ্ধ জল অতিমাত্রায় কমে গেলে ফাটল সৃষ্টি হয়ে ভেঙে পড়তে পারে শক্ত স্তরের ভূপৃষ্ঠ। বিষাক্ত গ্যাসের বিস্ফোরণে কিংবা ভলকানিক হ্যাজার্ডেও বিলীন হয়ে যেতে পারে চারপাশের পরিবেশ।
জীবকুলের অস্তিত্ব রক্ষায় জীবধাত্রীর অকালনিধন বন্ধের সচেতনতা আজ তাই বাস্তব অর্থেই প্রয়োজন। প্রচুর বনায়ন, নদী খনন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির লাগামটাকে শক্ত মুঠোয় টেনে ধরাই কেবল নয়, সেই সঙ্গে মানুষের মানুষ হয়ে ওঠার জীবনদর্শনের দিকেও মন ফেরানো প্রয়োজন। যে জীবন দর্শনের কথা জগতে মহামানবেরা নিরন্তরই বলে চলেছেন, ‘শুভ কর্ম পথে করো মঙ্গল আহ্বান।’ তা না হলে সেই ভবিষ্যৎ হয়তো বহু দূরে নয়, যখন অফুরন্ত জলরাশির দিকে তাকিয়ে আমাদের বলতে হবে: জল, জল, সর্বত্র, এক ফোঁটাও পানযোগ্য নয় (ওয়াটার, ওয়াটার, এভরিহয়্যার, নর এনি ড্রপ টু ড্রিঙ্ক)।
দীপিকা ঘোষ
যুক্তরাষ্ট্র