বিপদে আছি-১ম পর্ব

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

আজ আমার বাসররাত। নিপা মাথায় ঘোমটা দিয়ে বিছানায় বসে আছে। আমি নিপার সামনে বসে কাঁপা কাঁপা হাতে ঘোমটা খুলে কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। বউ সাজে নিপাকে অনেক সুন্দর লাগছে। আমি মুগ্ধ হয়ে আদুরে গলায় বললাম,
-ও মাই গড! এই মেয়ে, তুমি এত সুন্দর কেন?
-আমাকে আজাইরা তেল দিবে না।
-কি বললা!
-কি বলেছি তা তুমি শুনতে পেয়েছ। শোনো, আমার সঙ্গে ঢং করে বা তেল দিয়ে কথা বলবে না। কারণ, আমার এই সব আজাইরা তেল ভালো লাগে না। আমি টিভি সিরিয়ালে দেখেছি, যে স্বামীরা স্ত্রীকে তেল দেয়, সেই স্বামীরাই পরকীয়া করে।
-তুমি আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলছ কেন?
-আমি শুধু তোমার সঙ্গে না, সবার সঙ্গেই এভাবে কথা বলি। তুমি মনে করো না, আমি নতুন বউ বলে মিনমিন করে কথা বলব।
নতুন বউয়ের এমন ব্যবহার দেখে আমি একেবারে চুপসে গেলাম। এরপর আর কোনো কথা বলার ইচ্ছে হলো না। আমি মুখ কালো করে বসে রইলাম। একটু পর নিপা আমাকে বলল,
-কী ব্যাপার, চুপ করে আছ কেন?
আমি অভিমান করে বললাম,
-আমার বলার মতো আর কিছু নাই। তাই চুপ করে আছি।
নিপা আমার অভিমানকে পাত্তা না দিয়ে দৃঢ় কণ্ঠে বলল,
-শোনো, কথায় কথায় অভিমান করে গাল ফোলাবে না। টিভি সিরিয়ালে দেখেছি, এ ধরনের ঢং করা স্বামীরাই বেশি খারাপ হয়।
বুঝলাম টিভি সিরিয়াল দেখে দেখে এই মেয়ে মাথা পুরা আউলায়ে ফেলছে। এরে কিছু বলে লাভ নেই, তাই চুপ করে বসে থাকলাম। নিপা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার বলা শুরু করল,
-ঠিক আছে, তোমার যখন বলার কিছু নাই, তো তুমি চুপ করেই থাকো। তবে তোমাকে আমার অনেক কিছু বলার আছে এবং তোমাকে অনেক প্রশ্ন করার আছে। আশা করছি তুমি আমার প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেবে। বিয়ের আগেই তোমাকে প্রশ্নগুলো করতে পারতাম, কিন্তু বাসার সবাই মানা করল, তাই করতে পারিনি।
-বলো, আমি শুনছি।
-আচ্ছা এই পর্যন্ত তুমি কয়টা মেয়ের জীবন নষ্ট করেছ?
আজব এই প্রশ্ন শুনে আমি কিছুক্ষণ ভ্রু কুঁচকে নিপার দিকে তাকিয়ে রইলাম। তারপর হতাশ কণ্ঠে বললাম,
-এটা কী ধরনের প্রশ্ন!
-এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বিসিএস পরীক্ষায় আসার মতো প্রশ্ন। আমি জানতে চাচ্ছি, এ পর্যন্ত তুমি কত মেয়ের ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে জীবন নষ্ট করেছ?
-ছি ছি ছি, তুমি এসব কী বলছ?
-শোনো, সাধু সাজার চেষ্টা করবে না। তোমাদের আমার ভালো করে চেনা আছে। আমার এক্সরাও আমার সঙ্গে ওই সব করার চেষ্টা করেছিল।
-তোমার এক্সরাও মানে! তোমার কি অনেকগুলো এক্স ছিল?
-অবশ্যই। তোমার কী ধারণা, তোমরা একটার পর একটা প্রেম করে বেড়াবা। আর আমরা শুধু বাসায় বসে বসে মায়ের কাছে রান্না শিখব?
-না, তা বলিনি। আসলে অনেকগুলো এক্স শুনে ভয় পেয়েছি।
-আমার এক্সদের নিয়ে তোমার টেনশনের কিছু নাই। ওই বদমাশগুলোরে বাজে স্বভাবের জন্য অনেক আগেই বিদায় করছি। একটারে তো এমন জায়গায় লাথি মারছি, ওই বদমাশ আর জীবনেও কোনো মেয়ের ক্ষতি করতে পারবে না। এখন তুমি আমার প্রশ্নের উত্তর দাও, এ পর্যন্ত কতজনের সর্বনাশ করেছ?
এই কয়েক মিনিট নিপার সঙ্গে কথা বলে আমি বুঝে গেছি, আমি আসলে বিয়ে করে বউ না, ডাকাত ঘরে আনছি। এই ডাকাতের সঙ্গে খুব হিসাব করে চলতে হবে, না হলে আমারও অঙ্গহানির আশঙ্কা আছে।
-বিশ্বাস করো, আমি সেরকম ছেলে না। আর তা ছাড়া ওই সব করব কীভাবে? আমি তো এই জীবনে কারও সঙ্গে প্রেমই করিনি।
-কেন প্রেম করোনি? তোমার কী শারীরিক কোনো সমস্যা আছে?
-না, তা হবে কেন? আসলে জীবনের প্রথম প্রেমের শুরুতেই ব্যর্থ হয়েছি। যার কারণে ওই পথে আর পা বাড়াইনি।
-প্রেমে ব্যর্থ হয়েছ, কেন?
-কারণ, আমি যার প্রেমে পড়েছিলাম, তিনি ছিলেন আমাদের স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা। আমি ভালোবেসে ওনাকে একটা প্রেমপত্র লিখেছিলাম। ভেবেছিলাম তিনি ওই চিঠি পড়ে আমার প্রেমে সাড়া দেবেন। অথচ...
-অথচ কী?
-উনি চিঠি পড়ে পরের দিন ক্লাসে এসে সবার সামনে আমাকে ওনার স্যান্ডেল দিয়ে আচ্ছামতো পেটালেন।
-বলো কী!
-শুধু স্যান্ডেলপেটা করলেও সমস্যা ছিল না। উনি সেই সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালাগালও করেছেন।
-তাই নাকি?
-হু। উনি স্যান্ডেল দিয়ে মারতে মারতে বললেন, ‘হারামজাদা, তোর চরিত্র তো ভয়াবহ রকমের খারাপ! তোর কাছে তো দেখি টিচারও নিরাপদ না। তোর কত বড় সাহস, তুই আমারে প্রেমের চিঠি লিখিস। তাও আবার ভুল বানানে। আমি তোরে এই বাংলা শেখাইছি?’এরপর উনি যা করলেন, তাতে আমার বাকি মানসম্মানও ধুলায় মিশে গেল।
-বলো কী? জুতা মারার চেয়েও অপমানজনক কিছু আছে নাকি?
-অবশ্যই আছে।
-তাই নাকি? তা তিনি অপমানজনক আর কী করলেন?
-আমি চিঠিতে যে বানানগুলো ভুল করেছি, উনি ক্লাসের সবার সামনে সেই বানানগুলো বোর্ডে লিখে লিখে আমাকে শেখালেন। মোট সাতটি বানান।
-বুঝলাম না, বানান শেখানো জুতা মারা থেকেও লজ্জাজনক হয় কীভাবে?
-সে তুমি বুঝবে না। শোনো, ভুল বানানে প্রেমিকার কাছে চিঠি লেখা, আর দিগম্বর হয়ে রাস্তায় হাঁটা একই জিনিস।
-তাই নাকি? হা হা হা...
-তুমি হাসছ? স্কুলজীবনের বাকি সময়গুলো উনি যে কীভাবে আমাকে মানসিক নির্যাতন করেছেন, তা কল্পনাও করতে পারবে না। ওনার সঙ্গে যখনই দেখা হতো, যেখানেই দেখা হতো, তখনই উনি আমাকে বিভিন্ন বানান ধরতেন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময়, একবার হঠাৎ করে ওনার সঙ্গে আমার নিউমার্কেট দেখা হয়েছিল। আমার সঙ্গে আমার বন্ধুরাও ছিল। সেখানেও তিনি আমাকে বানান ধরেছেন।
-তোমার মতোন লুইচ্চা ছাত্রকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমাদের এমন শিক্ষকই দরকার।
বলেই নিপা হো হো করে হাসতে লাগল। নিপার টিটকারি মার্কা হাসিতে আমার মুখটা আবার কালো হয়ে গেল। আমার কালো মুখ দেখে নিপা মধুর স্বরে বলল,
-আমি লুইচ্চা বলেছি বলে কি তুমি মন খারাপ করলে? আমার কথায় মন খারাপ করো না। শোনো, আমার তো কোনো দুলাভাই নাই যে তার সাথে মজা করব। এখন স্বামী বলো, দুলাভাই বলো সবই তুমি। তাই তোমারে একটু জ্বালানোর চেষ্টা করলাম। শোনো, তোমাকে আমার একটা ভয়ংকর স্বপ্নের কথা বলি। ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন, আমি আমার স্বামীরে সেই রকম জ্বালাতন করব। একেবারে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেব। আমি কিন্তু মজা করছি না, আমি সিরিয়াস।
নিপার বলার ভঙ্গিতে এমন একটা ব্যাপার ছিল যে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। আমি মনে মনে বললাম, হে মাবুদ, তোমার মনে এই ছিল? আমার জন্য দুনিয়ায় কি আর কোনো মেয়ে ছিল না?

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

একটু পরে নিপা বিয়ের পোশাক পাল্টে, মেকআপ ধুয়ে আমার সামনে এসে বসল। দেখলাম মুখটা তার লজ্জায় লাল হয়ে আছে। লজ্জায় চোখ নামিয়ে বলল,
-আচ্ছা, দুনিয়ার সবাই বাসররাতে খুব মজা করে, তাই না?
আমিও একটু লাজুকভাবে বললাম,
-তা তো করবেই।
-শোনো, আমরাও আজ অনেক মজা করব। আমরা এমন মজা করে এই রাতটা কাটাব, যা এই দুনিয়ার আর কোনো স্বামী-স্ত্রী কখনো করেনি। ঠিক আছে?
আমি নিপার কথায় আনন্দে উত্তেজনায় তোতলাতে তোতলাতে বললাম,
-অ-অ-অবশ্যই।
-এই শোনো, আমার না সেই ছোটবেলা থেকে এই রাত নিয়ে বেশ রোমান্টিক একটা প্ল্যান আছে।
নিপার কথায় আমার মনের ভেতর একটা শিহরণ খেলে গেল। আমি কাঁপা কাঁপা গলায় প্রশ্ন করলাম,
-কী সেটা?
-আজ সারা রাত আমরা শুধু লুডু খেলব।
নিপার কথা শুনে, আমি কয়েক মুহূর্ত নিপার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলাম। তারপর হতাশ কণ্ঠে বললাম,
-আমরা কী করব?
-লুডু খেলব।
-এটা কেমন কথা? বাসররাতে আমরা কেন শুধু শুধু লুডু খেলব?
-খেললে কি কোনো সমস্যা আছে?
-অবশ্যই আছে। শোনো প্রতিটা মানুষ সারাটা জীবন এই এক রাতের জন্য অপেক্ষা করে। নিশ্চয় তা লুডু খেলার জন্য নয়।
-মানুষ বাসররাতে কী করে সেটা আমার জানার দরকার নাই। আমার বাসররাতে আমরা শুধু লুডু খেলব। এখানে অন্য আর কিছু হবে না। সরি।

ফাইল ছবি

আমি নিপার কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে আরও কিছুক্ষণ নিপার দিকে তাকিয়ে রইলাম।
-তুমি আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছ কেন?
-নিপা শোনো, কিছু মনে করো না। তোমাকে একটা কথা বলি। তোমার সঙ্গে এতক্ষণ কথা বলে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, তোমার মাথায় কিঞ্চিৎ সমস্যা আছে। আমার ধারণা, তোমার একজন সাইকিয়াট্রিস্ট দেখান উচিত।
-কি বললা? আমি সাইকিয়াট্রিস্ট দেখাব? তার মানে তুমি বলতে চাও আমি পাগল? বদমাশ ব্যাটা, আজ রাতে তোর ফুর্তি করা হবে না বলে তুই এখন আমারে পাগল বললি? শালা ধর্ষক। তোর মতো মানুষকে গুলি করে মারা উচিত।
নিপার উত্তেজিত চেহারা দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। দেখে মনে হলো যেকোনো সময় মাইর শুরু করে দিতে পারে। না, বাসররাতে স্ত্রীর হাতে মাইর খাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। তাই নিপাকে শান্ত করতে দ্রুত বলে উঠলাম।
-নিপা শোনো, আমার আসলে বুঝতে একটু ভুল হয়েছে। যার কারণে প্রথমে আমি লুডু খেলার গুরুত্বটা বুঝে উঠতে পারিনি। কিন্তু এখন আমি এর গুরুত্বটা বুঝতে পারছি। লুডু খেলা আসলেই খুবই জরুরি একটা খেলা। বাসররাতে লুডু খেলার চেয়ে রোমান্টিক আর কোনো কিছু হতেই পারে না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাসায় তো এখন লুডু নাই। তাহলে খেলবে কী করে?
-বাসায় নাই তো কী হয়েছে? যাও দোকান থেকে কিনে আনো।
-এখন রাত বাজে দেড় টা। এলাকার সব দোকান হয়তো এতক্ষণে বন্ধ হয়ে গেছে।
-শোনো, তুমি কোথা থেকে আনবে, সেটা আমি জানি না। আমি লুডু চাই। লুডু না পেলে আজ তোমার বাসায় ফেরার দরকার নাই।

হে আল্লাহ, এ আমি কারে বিয়ে করলাম। এ দেখি বদ্ধ উন্মাদ।
লুডু কিনতে বাসা থেকে বের হতে যাব, তখন ভাবি মুচকি হেসে বললেন,
-কী ব্যাপার, বউরে একা রেখে এখন কোথায় যাও?
-দোকানে। একটা জিনিস কিনতে হবে।
-হি হি হি…। বুঝছি, শোনো তোমার বাইরে যেতে হবে না। ওই জিনিস তোমার ভাইয়ের স্টকে আছে। দাঁড়াও এনে দিচ্ছি।
-ম্যাডাম, আপনি এ তো বেশি বুইঝেন না। আমি ওই সব কিনতে যাচ্ছি না। আমি দোকানে যাচ্ছি লুডু কিনতে।
-লুডু? লুডু দিয়ে কী করবা?
-খেলব। নতুন বউ বলেছে, আজ সারা রাত সে আমার সঙ্গে লুডু খেলবে। সে বলেছে, বাসররাত নাকি লুডু খেলার রাত। এ রাতে লুডু খেলা ছাড়া আর নাকি কিছুই করা যাবে না।
আমার কথা শুনে ভাবির মুখ হা হয়ে গেল। আমি ভাবির অবাক করা মুখকে পেছনে ফেলে বাসা থেকে বেরিয়ে এলাম।

অলংকরণ: আরাফাত করিম

ভাগ্য ভালো মহল্লার এক দোকানেই লুডু পেয়ে গেলাম। লুডু নিয়ে বাসরঘরে ঢুকতেই নিপা বলল,
-জানো, লুডু খেলতে হয় চারজন মিলে। তাহলে বেশি মজা। দুজনে খেলে আসলে তেমন কোনো মজা পাওয়া যাবে না।
-তাই? তাহলে এক কাজ করি, রাস্তা থেকে দুটো লোক ধরে নিয়ে আসি?
-তুমি কি আমার সাথে ফান করার চেষ্টা করছ? করবে না। আমি ফান পছন্দ করি না।
-তুমি না একটু আগে বললে, আমি তোমার দুলাভাই। তাই একটু মজা করলাম।
-মজা করলে আমি করব। তুমি থাকবে গুরু গম্ভীর। স্বামীরা হবে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। ছ্যাবলা স্বামী আমার পছন্দ না। যাও আব্বা-আম্মাকে ডেকে নিয়ে আসো। আজ পুরাতন স্বামী-স্ত্রী আর নতুন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে লুডু প্রতিযোগিতা হবে। দেখি কে জেতে।
-কী বললা! আমার বাসরঘরে, আমি আমার বাবা-মাকে ডেকে আনব?
-হ্যাঁ আনবে। কেন, কোনো সমস্যা আছে?

বলেই নিপা কঠোর চোখে আমার দিকে তাকাল। আমি বাধ্য হয়ে বাবা-মাকে ডেকে আনলাম। বাবা-মা আসতে চাননি। আমি জোর করে তাদের নিয়ে এলাম। প্রথম প্রথম বাবা-মা অস্বস্তিতে ছিলেন। কিন্তু একটু পর তারাও লুডু খেলায় মজা পেয়ে গেলেন। তারপর আমরা চারজনে মিলে সারারাত লুডু খেললাম। মাঝে এসে ভাবি চা দিয়ে গেলেন। আর তার সাথে চানাচুর, পেঁয়াজ, আদা, মরিচ দিয়ে মাখানো মুড়ি। জানি না দুনিয়ার কোনো মানুষের বাসররাত এমন ছিল কি না।

পরদিন বিকেলে নিপাকে ডেকে বললাম,
-নিপা শোনো, তোমার শখ ছিল বাসররাতে লুডু খেলবে, সেটা তুমি গত রাতে করেছ। আজ রাতে আমি কিন্তু কোনো অবস্থাতেই আর লুডু খেলব না।
-আরে না, আজ রাতে আবার লুডু খেলব কেন? বিয়ে করেছি কি শুধু লুডু খেলার জন্য? আজ আমরা…..
বলেই নিপা আমার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দিল। আর সেই সঙ্গে তার মুখে ফুটে উঠল রহস্যময় এক হাসি। চলবে...
বি. দ্রষ্টব্য: এটি একটি রম্য লেখা। এই গল্পে শিক্ষণীয় কিছুই নেই। সে জন্য সরি। অবশ্য সবকিছু থেকেই শিখতে হবে এর তো কোনো মানে নেই, তাই না?

*লেখক: ইমদাদ বাবু, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।
[email protected]