বিক্রমপুরের সুস্বাদু কয়েক পদ

আজকের মুন্সিগঞ্জ জেলা এক সময় বিক্রমপুর নামে পরিচিত ছিল। এই বিক্রমপুর ছিল প্রাচীন বাংলার রাজধানী। রাজা বিক্রমাদিত্য অথবা বঙ্গরাজ চিত্রসেন বিক্রমপুর নগরী স্থাপন করেন। এখন থেকে এক হাজার বছর আগে বঙ্গরাজ্য সভ্যতার সূচনা হয়। এই এলাকায় বহু বিখ্যাত মানুষ জন্মেছেন। এই অঞ্চলের কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী রান্নার রেসিপি নিয়ে এবারের আয়োজন। লিখেছেন ফারজানা ইয়াসমীন।

খুদের ভাত/বওয়া ভাত

উপকরণ: চালের খুদ ২ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ৩ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২টি, কাঁচা মরিচ ৪/৫টি, তেল ৩ টেবিল চামচ, পানি ৪ কাপ, লবণ পরিমাণ মতো।

প্রণালি: চালের খুদগুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। চুলায় হাঁড়ি গরম হলে এক এক করে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, তেজপাতা একটু ভেজে নিতে হবে। সবগুলো বাদামি কালার হয়ে আসলে চাল দিয়ে ৫ মিনিট ভেজে পানি, লবণ ও কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে ব্লগ আসা পর্যন্ত। তারপর অল্প আঁচে ২০ মিনিট রান্না করতে হবে। খুদের ভাত কালো জিরা ভর্তা/পটল ভর্তা/শুঁটকি ভর্তা দিয়ে বেশ সুস্বাদু।

ছিট রুটি

উপকরণ: চালের গুঁড়া ১ কাপ, কুসুম গরম পানি ১/২ কাপ, লবণ স্বাদমতো। তেল ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি: কুসুম গরম পানি, চালের গুঁড়া, লবণ, তেল ভালো করে মিশিয়ে পাতলা বেটার করে একটি কেচাপের বোতলে ভরে ননস্টিক ফ্রাইপ্যানে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে রাউন্ড সেপ করে নিতে হবে। চুলা মিডিয়াম আঁচে রুটিগুলো বানাতে হবে। হাঁসের মাংস ভুনার সঙ্গে এটা ভালো যায়।

চাপটি পিঠা/মুলকা

উপকরণ: চালের গুঁড়া ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ৩টি, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, পানি পরিমাণ মতো।

প্রণালি: সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন বেটার তৈরি করে নিতে হবে। ফ্রাইপ্যান গরম করে হালকা তেল ব্রাশ করে চামচ দিয়ে গোল রুটির আকারে ছড়িয়ে দিতে হবে। দুই তিন মিনিট পর উল্টে দিতে হবে। এভাবেই সব চাপটি পিঠা/মুলকা বানাতে হবে। ধনে পাতার চাটনি দিয়ে খেতে বেশ মজার।

কাজির ভাত

উপকরণ: ভাতের চাল, লবণ ও কাঁচা মরিচ

প্রণালি: প্রতিদিন ভাত রান্নার সময় মাটির হাঁড়িতে এক চামচ গরম পানিসহ চাল উঠিয়ে রাখতে হবে। চুলার কাছাকাছি হাঁড়িটা থাকবে। পর পর ৫ দিন চাল রাখার পর চাল থেকে টক ভাব আসবে। এটি দিয়ে রেগুলার ভাত এবং ঝাউ রান্না করা যায়। খেতে টক লাগে, কিন্তু অনেক মজার।

রসুন দিয়ে শুকনা মরিচ ভর্তা, টাকি মাছের ভর্তা এবং শুঁটকি ভর্তা দিয়ে খেতে ভীষণ মজার।