বাহরাইনে করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে
১৮ লাখ জনসাধারণের ছোট্ট দ্বীপটিতে পরিস্থিতি সামাল দিতে বাহরাইন সরকারকে বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হচ্ছে। ২৪ মে হতে বাহরাইনে প্রবেশ কেবল বৈধ রেসিডেন্ট পারমিটধারীদের জন্য সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। প্রত্যেক যাত্রীকে ফ্লাইটের সময়ের ৪৮ ঘণ্টা আগের করোনা টেস্টের নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে এবং ১০ দিন কোয়ারেন্টিন থাকার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। কোয়ারেন্টিন থাকার জন্য যাত্রীর নিজের নামে বাহরাইনের যেকোনো ফ্ল্যাট বা বাড়ির অ্যাগ্রিমেন্ট পেপার, ইলেকট্রিসিটি বিলের কপি দেখাতে হবে অথবা বাহরাইন সরকার ও হেলথ মিনিস্ট্রি কর্তৃক অনুমোদিত হোটেলগুলোতে ১০ দিন বুকিংয়ের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। পাশাপাশি যাত্রীকে বাহরাইন বিমানবন্দরে পৌঁছার পর ২টি করোনা টেস্টের জন্য ৩৬ দিনার পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে গত সোমবার গাল্ফ এয়ার এবং শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের ১৬০ বাংলাদেশি বাহরাইন এয়ারপোর্টে প্রায় ১১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁদের অনেকেই নিজেদের আত্মীয়স্বজন, পরিচিতজন, বন্ধু বা সহকর্মীদের সহযোগিতায় নির্ধারিত হোটেলে বুকিং সম্পন্ন করে এয়ারপোর্ট থেকে বের হওয়ার অনুমতি পান। এ পরিস্থিতিতে গাল্ফ এয়ারযোগে আগত বিপদগ্রস্ত ৩২ যাত্রীর জন্য রাষ্ট্রদূতের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ফ্রি হোটেলের ব্যবস্থা করা হয়। দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরে অবস্থানকালে তাঁদের জন্য দূতাবাস খাবারের ব্যবস্থা করে।
বাহরাইনে ঈদের দিন থেকে সিনেমা, সেলুন, ইনডোর জিম, ইনডোর স্পোর্টস সেন্টার, সুইমিং পুল, বিচ ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২৪ মে ২ হাজার ৮০০ নতুন রোগী শনাক্ত হন এবং ২৮ জন মারা যান। ২৫ মে ২ হাজার ৭৬৬ জন নতুন আক্রান্ত এবং ১৮ জন মৃত্যুবরণ করেন। ২৬ মে ২ হাজার ৮০৩ জন নতুন আক্রান্ত এবং মারা যান ১৪ জন। তাই বাধ্য হয়ে বাহরাইন সরকার আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে শুরু হয়ে ১০ জুন পর্যন্ত রেস্টুরেন্ট, সিসা ক্যাফে, সব শপিং মল, শপিং সেন্টার, সাধারণ দোকানপাট, সিনেমা ও সেলুন, ইনডোর জিম, সুইমিংপুল, ইনডোর স্পোর্টস সেন্টার, বিচ ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করেন। তবে রেস্তোরাঁ বা ক্যাফের ক্ষেত্রে শুধু পার্সেল বা হোম ডেলিভারি দেওয়া যাবে। এ ছাড়া হাইপার মার্কেটস, সুপারমার্কেট, মুদিদোকন, মাছের দোকান, বেকারি, গ্যাস স্টেশন, বেসরকারি হাসপাতাল ও এটিএম বুথ এ আওতার বাইরে থাকবে বলে জানা গেছে।