বাবার ভালোবাসার টান

আয়ারল্যান্ডে মা–বাবার সঙ্গে লেখক
ছবি: সংগৃহীত

বাবাকে হারিয়েছি আজ প্রায় আট বছর হতে চলল। সময় কত তাড়াতাড়ি চলে যায়, কিন্তু স্মৃতিকথা শুধু মনের গহিনে বিরহের সুর হয়ে বাজে। বাবার সঙ্গে ছোটবেলার অনেক মধুর স্মৃতি আজও মনে পড়ে। আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে যখন আমরা ঢাকায় থাকতাম, আমরা প্রায় স্কুল ছুটিতে মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে ভাইবোনদের সঙ্গে ঘুরতে যেতাম, কিন্তু বাবা আমাদের সঙ্গে যেতে পারত না অফিস থেকে ছুটির অভাবে।

যখন ছুটি শেষ হতো দেখা যেত হয়তো, আমরা সবাই গ্রাম থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকায় ফেরার কথা কিন্তু হয়তো কোনো কারণে দু–এক দিন দেরি হতো, তখন মোবাইলের ব্যবহার খুব একটা ছিল না। যদিও টেলিফোন ছিল আর আমাদের গ্রামের বাড়িতে যোগাযোগ করার কোনো মাধ্যম ছিল না। আর একমাত্র মাধ্যম ছিল চিঠি, যদিও তা সময়সাপেক্ষ। ঢাকা ফিরে বাসায় এসে শুনতাম, বাবা নাকি আমরা যেদিন আসার কথা, সেদিন না আসাতে বাসায় লুকিয়ে লুকিয়ে কান্না করত।

এটাই মনে হয় বাবার ভালোবাসার টান আমাদের প্রতি! আজও প্রতিবছর বাবা দিবস আসে অনেকের কাছে, হয়তো তাদের বাবাকে নিয়ে অনেক উচ্ছ্বাস, কিন্তু বাবাকে আমি শুভেচ্ছা জানাতে পারি না। যেখানেই থাকো ভালো থেকো বাবা, তোমাকে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা, যা তোমাকে বলা হয়নি। প্রবাসজীবনে বারবার জেমসের ওই গানটা খুব মনে পড়ে। বাবা কত দিন কত দিন দেখি না তোমায়...″

লেখক: ওয়াহেদ ফেরদৌস ফরহাদ, আয়ারল্যান্ড