বাঙালির সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতা
বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্যসমূহ অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। মিয়ানমারে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩০ লাখ শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক নেতৃত্ব, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা সকলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় প্রবাসীদের অবদানের ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি যেমন প্রবাসীদের গর্বিত করে, তেমনি প্রবাসীদের অর্জনও দেশকে আনন্দিত করে।
মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ আর্থসামাজিক দিক দিয়ে অনেক আঞ্চলিক দেশের চাইতে এগিয়ে গেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই অগ্রগতিকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে। তিনি দেশের স্বার্থকে সর্বাগ্রে স্থান দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে দিক-নির্দেশক হিসেবে গণ্য করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস মর্যাদা ও আড়ম্বরের সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে গত রোববার (১৬ ডিসেম্বর) ইয়াঙ্গুনে দূতাবাসে দুটি পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইয়াঙ্গুনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে সকালে দূতাবাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী।
দিনের প্রথমভাগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দূতাবাস আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইয়াঙ্গুনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সভায় দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আলোচনায় অংশ নেন। আলোচকেরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে স্মৃতিচারণ, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি তাদের অবদান স্মরণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সন্ধ্যায় দূতাবাসে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটিতে বাংলাদেশ থেকে আগত দুজন অতিথি শিল্পীর সংগীত পরিবেশন দর্শকদের মুগ্ধ করে। এ ছাড়া, প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুদের পরিবেশনাও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। বিজ্ঞপ্তি