বাংলা নববর্ষ, হিজরি ও সৌর বছর
এই করোনা অতিমারির মধ্যেও নিয়ম মাফিক এসেছে বাঙালির মহাআনন্দের ও ধুমধামের উৎসব। সেটি বাংলা নববর্ষ, বাংলা পঞ্জিকার প্রথম দিন। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মতো এ উপলক্ষে আজকাল তৃতীয় বাংলা বলে পরিচিত বহির্বিশ্বের বাঙালিরা। দেশের অনুকরণে পিঠা, পান্তা-ইলিশ, ভর্তা-ভাজির উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে থাকে। তবে এ বছরের উদ্যাপনটি একেবারে আলাদা। সবাই একত্রে জমায়েত হয়ে খাওয়া–দাওয়া, বিরাট জলসা ও শোভাযাত্রা না করতে পারলেও ভার্চ্যুয়াল সমাবেশ বা আড্ডার মাধ্যমে সারা বিশ্বের বাঙালিদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা, গল্প পাঠ, কবিতা আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান করা সম্ভব হচ্ছে। যেমন—যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমাদের সঞ্চালিত অনুষ্ঠানে ইংল্যান্ড, জার্মানি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইরান ও অন্যান্য দেশ থেকে অনেকে যোগ দিয়েছিলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় যেটা কল্পনাও করা যেত না। আশা করা যায়, ২০২২ সালে পৃথিবী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলে আবার আমরা তারাবি, ঈদ, পূজা সমেত নববর্ষের উৎসবও পালন করতে পারব।
মজার হলো, এই বাংলা সন বা বঙ্গাব্দের সূত্রপাত কিন্তু কোনো বাঙালি করেননি। এর সূত্রপাত হয়েছিল আরবি হিজরি সনে। বাবার দিক থেকে চেঙ্গিস খান ও মায়ের দিক থেকে তামারলেন সম্প্রদায়ের রক্তে যার জন্ম, সেই মোগল সম্রাট বাবরের সুযোগ্য নাতি বাদশাহ আকবরের আদেশে এই বাংলা পঞ্জিকার সূত্রপাত হয়। ব্যাপারটি আর একটু পরিষ্কার করে বলা যাক। ভারতে সে সময় মুসলমান শাসনামল চালু ছিল এবং সরকারি কাজকর্ম আরবি বা হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সম্পন্ন হতো। এর জন্য বছর শেষে খাজনা আদায় করার সময় এসে পড়লে, বাংলার কৃষকদের নিদারুণ মুসিবতের মধ্যে পড়তে হতো। কারণ, হিজরি ক্যালেন্ডারের ভিত্তি চান্দ্রমাস বা লুনার ক্যালেন্ডার। হিজরি ক্যালেন্ডারে ৩৫৪ দিনে বর্ষপূর্তি হয়, কিন্তু সৌরমাস বা সোলার ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছর পূরণ হয় ৩৬৫ বা ৩৬৬ দিনে। অর্থাৎ প্রতিবছর ১০ বা ১১ দিনের তফাৎ থেকে যায়।
এভাবেই প্রতি তিন বছরে চান্দ্রমাস, সৌরমাস থেকে এক মাস করে এগিয়ে যায়। ফলে দেখা যায়, রমজান মাস কখনো ইংরেজি মাস, কখনো বুদ্ধপূর্ণিমা, কখনো দুর্গা, কখনো সরস্বতী পূজার মাসে গিয়ে পড়ছে। কৃষকদের একমাত্র রোজগার তাদের খেতের ফসল, যা বিক্রি করে তারা খাজনা দিতে হয়। সৌর ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ফসল একটা নির্দিষ্ট ঋতুর নির্দিষ্ট মাসে প্রতিবছর ওঠে। কিন্তু চান্দ্রমাস অনুযায়ী, বছর যদি সৌরমাস অনুযায়ী ফসল ওঠার ৬ মাস আগে বা পরে শেষ হয়, তখন কৃষকদের হাতের পয়সা সব শেষ হয়ে যায়, খাজনা দিতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়।
সে সময় বাদশা আকবরের সভাসদ, মন্ত্রী ও আকবরনামার লেখক পণ্ডিত আবুল ফজল, হিসাব করে দেখতে পান, সৌর সাল বা সোলার ক্যালেন্ডার অনুসারে যখন ৩০ বছর শেষ হয়, হিজরি সাল অনুযায়ী ওই একই সময়ে তখন ৩১ বছর শেষ হয়। অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে ফসল হচ্ছে ৩০ বার, আর খাজনা আদায় করতে হচ্ছে ৩১ বার। এটি মহামতি আকবরের কাছে প্রজাদের ওপর অধর্ম ও জুলুম করা হচ্ছে বলে অনুভূত হয়। তাই, তিনি সুবিখ্যাত পণ্ডিত ও জ্যোতিষী আমির ফতেহউল্লাহ শিরাজীকে নিযুক্ত করে এক ফরমান জারি করলেন, এমন একটা ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে যাতে ফসল উৎপাদনের সময় ও বছর একই সময়ে শেষ হয়।
শিরাজী সাহেব অনেক গবেষণা ও পরিশ্রমের পর সৌরমাস আর চান্দ্রমাসের সংমিশ্রণে যে নতুন ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন করেন, সেই সালের প্রথম নাম হয়েছিল ‘ফসলি সন’। পরবর্তীকালে এরই নাম হয় ‘বঙ্গাব্দ’ বা বেঙ্গলি নিউ ইয়ার, যেটা এপ্রিলের মাঝামাঝি পড়ে। ফসলি সন আর সৌরমাস যারা অনুসরণ করে, তাদের নববর্ষও মোটামুটি এই সময়েই পড়ে। যেমন আসাম, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, কেরালা, মণিপুর, নেপাল, ওডিশা, পাঞ্জাব, শ্রীলঙ্কা, তামিলনাড়ু ও থাইল্যান্ড।
আকবরের রাজত্বকাল থেকে এই ব্যবস্থার প্রচলন হয়, বছরের শেষ মাসের, শেষ দিনের মধ্যে খাজনা ছাড়াও যার যত ধার দেনা থাকে, সব বকেয়াই পরিশোধ করতে হবে। পরের দিন অর্থাৎ নতুন বছর থেকে যাবতীয় হিসাবপত্র নতুন খাতায় লেখা হবে। তখন থেকে এটির নাম হয় ‘হালখাতা’। হাল কথাটি মূলত ফারসি থেকে এসেছে, যার অর্থ নতুন। বকেয়া টাকাপয়সা পেয়ে মহাজনরা খুশি হয়ে খরিদ্দারকে মিষ্টিমুখ করাতেন। অনেক জায়গায় এ উপলক্ষে উৎসব ও মেলার আয়োজন হতো। আজ বাঙালির জীবনে এই দিনটি একটা জাতীয় দিবসের রূপ নিয়েছে।
‘ফসলি সন’ নামটাও আদি নাম ছিল না। ১৫৮৫ খ্রিষ্টাব্দে দিনটি প্রথমে ‘তারিখে ইলাহি’ নামে প্রবর্তিত হয়। তখন সম্রাট আকবরের শাসনামলের ২৯ বছর চলছে। অভিষেকের এত পরে এই পঞ্জিকার প্রবর্তন করা হলেও কার্যত তারিখ গণনা শুরু হয় সেই অভিষেকের দিন থেকেই। ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে ইসলাম শাহের মহাপরাক্রমশালী সেনাপতি হিমুর বিপুল ও দুর্ধর্ষ সৈন্যদল ইতিমধ্যে দিল্লি ও আগ্রা দখল করে নিয়েছিল। ওদের প্রচণ্ড শক্তির কাছে হেরে যাওয়াটা প্রায় অবশ্যম্ভাবী ছিল। তার মানে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন এবং মুঘলদের ভারতবর্ষ থেকে চিরতরে বিদায় নেওয়া। কিশোর আকবর, তাঁর নিজের বিচক্ষণতা, দৃঢ় মনোবল, শৌর্য বীর্য ও তাঁর সুযোগ্য অভিভাবক বৈরাম খাঁর পরামর্শ কাজে লাগিয়ে সুকৌশলে এই যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে মুঘল সাম্রাজ্যকে অনিবার্য পতন থেকে রক্ষা করেন। এই ঐতিহাসিক জয়কে চিরস্মরণীয় করে রাখা ও আকবরের অভিষেককে সম্মান প্রদর্শন করার উদ্দেশ্যেই ‘তারিখে এলাহি’–এর গণনা ১৫৮৫ সালের বদলে ১৫৫৬ সাল থেকে শুরু হয়েছিল। ‘তারিখে এলাহি’ বছরে যে বারো মাসের ফারসি নাম প্রচলন করেন, পরে তা পরিবর্তন করে নক্ষত্রদের নামানুসারে, বিশেষ বিশেষ তারার সঙ্গে চাঁদের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে রাখা হয়। এই নামগুলো ‘সূর্য সিদ্ধান্ত’ বা প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান থেকে নেওয়া। বাংলা মাসের নাম, নক্ষত্রের সূত্র ও ইংরেজি মাসের সঙ্গে সম্পর্কগুলো দাঁড়ায় নিম্নরূপ—
১. বৈশাখ—বিশাখা নক্ষত্র থেকে (এপ্রিল-মে) ২. জ্যৈষ্ঠ—জ্যেষ্ঠা থেকে (মে-জুন) ৩. আষাঢ়—উত্তরাষাঢ়া থেকে (জুন-জুলাই) ৪. শ্রাবণ—শ্রবণা থেকে (জুলাই-আগস্ট) ৫. ভাদ্র—পূর্বভাদ্রপদ থেকে (আগস্ট-সেপ্টেম্বর) ৬. আশ্বিন—অশ্বিনী থেকে (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) ৭. কার্তিক—কৃত্তিকা থেকে (অক্টোবর-নভেম্বর) ৮. অগ্রহায়ণ—মার্গশীর্ষ, মৃগশিরা থেকে (নভেম্বর-ডিসেম্বর) ৯. পৌষ—পুষ্যা থেকে (ডিসেম্বর-জানুয়ারি) ১০. মাঘ—মঘা থেকে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) ১১. ফাল্গুন—উত্তরফাল্গুনী থেকে (ফেব্রুয়ারি-মার্চ) ১২. চৈত্র—চিত্রা থেকে (মার্চ-এপ্রিল)
বাংলা ক্যালেন্ডারে ১২ মাসকে ছয়টি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে—গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে যে ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা হয়, তার নাম হলো সাইডরিয়েল। ‘সাইডরিয়েল বা সিদারিয়েল’ কথাটি ল্যাটিন ‘সীডাস’ থেকে এসেছে, যার মানে হলো নক্ষত্র। এর ভিত্তি হলো—নির্দিষ্ট নক্ষত্রের তুলনায় পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে কত সময় লাগে। কিন্তু এই তত্ত্বে পৃথিবীর গতিপথের সময় ও প্রকৃত সময়ের কিছুটা হেরফের হয়। বিষয়টা বেশ জটিল। সোজা কথায়, ওই নির্দিষ্ট নক্ষত্র অনুযায়ী সূর্য এক বছর পরে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসতে ৩৬৫ দিন সাড়ে ২০ মিনিট সময় লাগে। অর্থাৎ সাইডরিয়েল ক্যালেন্ডার বছর পার করতে, ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডার বা প্রকৃত সময় থেকে সাড়ে ২০ মিনিট বেশি সময় নেয়। এভাবে ৭২ বছরে সাইডরিয়েল ক্যালেন্ডারের শেষ দিন, ট্রপিক্যাল ক্যালেন্ডারের শেষ দিনের তুলনায় এক দিন বাড়তি হয়। কয়েক শতাব্দী গেলেই ঋতুর মাসগুলো আর ঠিক থাকে না।
এ জটিল সমস্যার সুন্দর সমাধান করেন বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ক্যালেন্ডার সংশোধন কমিটি। এটি সম্পন্ন হয় ঢাকার বাংলা একাডেমির উদ্যোগে ও বাংলাভাষায় পণ্ডিত ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লার তত্ত্বাবধানে। তারিখটি ছিল ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬ সাল। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার বা সৌর পঞ্জিকা অনুযায়ী বাংলা ক্যালেন্ডার ৩৬৫ দিনে শেষ হয়। ওই ক্যালেন্ডারে ইংরেজিতে ৩০ দিনে ও ৩১ দিনে মাস শেষ হওয়ার বিন্যাস আছে। এই ৩৬৫ দিন ঠিক রাখতে একটি মাস, ফেব্রুয়ারিকে ২৮ দিনে শেষ হিসেবে ধরা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন, ৫ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট, ৪৭ সেকেন্ড। এই অসাম্য ঘোচাতে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রতি চার বছর অন্তর ফেব্রুয়ারি মাসে ১ দিন যোগ করে। সেই বছরটা ‘লিপ ইয়ার’ বলে গণ্য করা হয়।
বাংলা ক্যালেন্ডারে এই লিপইয়ারের কোনো সংশোধন ব্যবস্থা ছিল না। তা ছাড়া বাংলা মাসের দিনগুলো ছিল বিভিন্ন মাসে বিভিন্ন রকম। যেমন, পৌষ মাস হয়তো ২৯ দিনে আবার আষাঢ়, শ্রাবণ হয়তো ৩২ দিনে। এই অসমতা দূর করতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, এখনকার বাংলাদেশের বাংলা একাডেমি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুমোদন নিয়ে আসে। যেমন—
১. প্রথম ৫ মাস, বৈশাখ থেকে ভাদ্র ৩১ দিনে শেষ হবে
২. পরের ৭ মাস, আশ্বিন থেকে চৈত্র ৩০ দিনে শেষ হবে
৩. লিপইয়ার বছরে যখন ফেব্রুয়ারি ২৯ দিনে শেষ হয়, কেবল সেই ফাল্গুনে একটি দিন যোগ করা হবে। নিচের উদাহরণ দিয়ে সেগুলি বোঝাবার চেষ্টা করলে ব্যাপারটা এ রকম দাঁড়ায়
অন্যান্য ক্যালেন্ডারের মতো বাংলা ক্যালেন্ডারেও সাত দিনে এক সপ্তাহ ধরা হয়। অন্যান্য ক্যালেন্ডারের মতো দিনগুলোর নামকরণও নবগ্রহের ওপর ভিত্তি করে সংগ্রহ করা হয়েছে। যেমন—
১. সোমবার (Monday) সোম বা Moon থেকে এসেছে
২. মঙ্গলবার (Tuesday) মঙ্গল গ্রহ বা planet Mars থেকে এসেছে
৩. বুধবার (Wednesday) বুধ গ্রহ বা planet Mercury থেকে এসেছে
৪. বৃহস্পতিবার (Thursday) বৃহস্পতি গ্রহ বা planet Jupiter থেকে এসেছে
৫. শুক্রবার (Friday) শুক্র গ্রহ বা planet Venus থেকে এসেছে
৬. শনিবার (Saturday) শনি গ্রহ বা planet Saturn থেকে এসেছে
৭. রবিবার (Sunday) রবি গ্রহ বা planet Sun থেকে এসেছে
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার পদ্ধতিতে দিন শুরু হয় মধ্যরাত থেকে। তুলনায় বাংলা দিন শুরু হয় সূর্যোদয়ে, শেষ হয় সূর্যাস্তে। অন্যদিকে, হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দিন গণনা শুরু হয় মাগরিব অর্থাৎ সূর্যাস্তের পর, বলা যায় রাত থেকে। সেভাবেই তারিখ শুরু হয়, প্রথমে হিজরি সন প্রথায়, তারপর গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ও তারপর বঙ্গাব্দ প্রথায়, যথাক্রমে সূর্যাস্ত, মধ্যরাত ও রাত শেষে সূর্যোদয় থেকে।
দৈনন্দিন কার্যবিধিতে বাংলা ক্যালেন্ডারের স্থলে মূলত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারই ব্যবহার হয়। কিন্তু উৎসব—যেমন পয়লা বৈশাখ, দুর্গাপূজা ইত্যাদি ও ঋতু পরিবর্তন ঠিক করতে বাংলা ক্যালেন্ডারই ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশ সরকার বাংলা ক্যালেন্ডারকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাই, তাদের সব কাগজপত্রে বাংলা তারিখ ও গ্রেগরিয়ান তারিখ বসানো হয়। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রতিটি বাংলা পত্র–পত্রিকা বাংলা দিন তারিখ ও গ্রেগরিয়ান তারিখ ব্যবহার করে। এ ছাড়া বাংলাদেশের অনেক পত্রপত্রিকায় হিজরি সনে তৃতীয় তারিখও দিতে দেখা যায়।