বঙ্গবন্ধু একটি অবিনাশী সত্তা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু একটি অবিনাশী সত্তা। বঙ্গবন্ধু একটি বিশ্বাস, একটি আদর্শ, একটি দর্শন। বঙ্গবন্ধুর মতো কীর্তিমানের কখনো মৃত্য হয় না। তিনি মৃত্যঞ্জয়ী হয়ে বেঁচে থাকবেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা। তিনি কখনোই পরাভব মানেননি। মানুষ হিসেবে সীমিত পরিচয়ের গণ্ডি পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক আর একজন পরিপূর্ণ বাঙালি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানোর দৃপ্ত প্রত্যয় ও দৃঢ়চেতা মানসিকতায় সিঞ্চিত ছিল বঙ্গবন্ধুর অভিজ্ঞতালব্ধ জীবন। তিনি কখনো ক্ষমতায় আকৃষ্ট ছিলেন না।
স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফেরদৌসি শাহরিয়ার, বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, যুগ্ম সচিব আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (ইকোনমিক) মো. মেহেদী হাসান, মিনিস্টার (কনস্যুলার) মো. হাবিবুর রহমান, ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) দেওয়ান আলী আশরাফ, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান, কাউন্সেলর মো. শাহ আলম খোকন, কাউন্সেলর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, কাউন্সেলর ও হেড অব চ্যান্সারি মো. মাহমুদুল ইসলাম, কাউন্সেলর আরিফা রহমান রুমা প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সমকালীন ইতিহাসের কালজয়ী মহামানব, যাঁর পুরো জীবন ছিল মানুষের মুক্তির দর্শনসংবলিত। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে একটি জাতিকে মুক্ত করা এবং বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত করে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে জাগ্রত করে তোলা ছিল তাঁর জীবনের লক্ষ্য। এ ধারাবাহিকতায় তিনি বাঙালি জাতির জনক হয়েছেন। তিনি আরও যোগ করেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ উত্তরসূরি শেখ হাসিনার মধ্যে তাঁর রাজনৈতিক দর্শন যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এ কারণেই আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি দেখি শেখ হাসিনার মধ্যে। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সব মানুষের জন্য সুখী-সমৃদ্ধ একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা হবে। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল স্বাধীন, সার্বভৌম দেশে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান থাকবে না।
সবার জন্য সমান ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা ছিল না, যেখানে উন্নয়নের সূচনা বঙ্গবন্ধু করেননি। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বপরিমণ্ডলে বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতের কণ্ঠস্বর আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজ বলা হয় দুর্গত মানুষের কণ্ঠস্বর। একজন জাতিকে মুক্ত করে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র দিয়েছেন আর তাঁর উত্তরসূরি শেখ হাসিনা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দিয়ে যাচ্ছেন।’
এর আগে মন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।