ফিলিপাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সপ্তাহ’ পালিত

ছবি: দূতাবাসের সৌজন্য

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গৃহীত ‘অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সপ্তাহ’ এবং বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে ম্যানিলার বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এফ এম বোরহান উদ্দিন ৪ থেকে ৭ জুন ফিলিপাইনের দাভাও শহরে সফর করেন।

সফরে রাষ্ট্রদূত বোরহান উদ্দিন মিন্দানাও ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (মিন্দা) দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মারিয়া বেলেন এস অ্যাকোস্তা, দাভাও সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র সেবাস্টিয়ান জিমারম্যান দুতার্তে, দাভাও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মারিয়া লর্ডেস জি মন্টভের্দে, দাভাও সিটি ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সেন্টারের (ডিসিআইপিসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এপ্রিল মারি দায়াপ প্রমুখ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন।

ছবি: দূতাবাসের সৌজন্য

রাষ্ট্রদূত দাভাওয়ে বসবাসরত শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক নেতা, ব্যবসায়ীদের নিয়ে আয়োজিত একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। দূতাবাসের কাউন্সেলর সায়মা রাজ্জাকী এবং দাভাওয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জেনারেল জজি ইলাগান বিয়ান বৈঠকগুলোতে উপস্থিত ছিলেন।

পৃথক বৈঠকে দাভাও সিটি সরকার প্রতিনিধিরা দুই দেশের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে পারস্পরিক সহযোগিতায় কাজ করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে দাভাওয়ের একটি সিস্টার সিটি প্রতিষ্ঠার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং দাভাও সিটির সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া দাভাও শহরে চা উৎপাদনের সম্ভ্যাবতা যাচাইয়ের ওপর যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা, ওষুধ শিল্পে যৌথ বিনিয়োগ, পর্যটন খাতে যৌথ সহযোগিতা স্থাপন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে যৌথ বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকগুলোতে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীন বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার পাশাপাশি দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।

ছবি: দূতাবাসের সৌজন্য

এ ছাড়া রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বর্তমান অবস্থা উল্লেখ করে বাংলাদেশে উদীয়মান শিল্প যেমন তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়া, জাহাজ নির্মাণ, সিরামিকস, গ্লাস ফাইবার, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, আইসিটি প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রদূত উভয় দেশের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।

শেষে রাষ্ট্রদূত বোরহান উদ্দীন স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেন এবং তাঁদের দাভাও সফরের ওপর আলোকপাতপূর্বক বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রযাত্রা ও ভবিষ্যৎ উন্নয়ন রূপরেখা নিয়ে সম্যক ধারণা দেন। বিজ্ঞপ্তি