ফিনল্যান্ডে আবার এল খুশির ঈদ
ঈদ মানেই আনন্দ আর ফুর্তি। শুধু আনন্দ নয়, মহা উৎসবও। এক মাস রোজা রাখার পর ফিনল্যান্ডজুড়ে প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলমানেরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহের মধ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার উদযাপন করছেন ঈদুল ফিতর।
গতকাল সোমবার (৩ মে) সন্ধ্যায় শাওয়ালের এক ফালি চাঁদ যেন ডালি ডালি খুশির বার্তা নিয়ে আসে। তারই আবাহনে আজ ঈদের সকালে সবাই নতুন পোশাক পরেছে। শিশুদের চোখমুখে ফুটে উঠেছে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস। তারা সবাই তো এই দিনটিরই প্রতীক্ষায় ছিল গত এক মাস। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হলো আজ ৪ জুন মঙ্গলবার। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মাঝে ঝলমল রোদ্দুরের উঁকি ও গ্রীষ্মের প্রকৃতির রঙে রঙিন হয়ে ফিনল্যান্ডের হেলসিনকিপ্রবাসী বাংলাদেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা সমবেত হন ঈদের জামাতে।
ইসলামি রীতি অনুযায়ী রাজধানী হেলসিনকিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদের প্রধান দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় হাকানিয়েমির মেরি হাকা পাল্লোহাল্লিতে। এতে ইমামতি করেন হেলসিনকির দারুল আমান মসজিদের খতিব আবদুল কুদ্দুস খান। অপর জামাতটি হয় কনতুলায়। এতে ইমামতি করেন বশির আহমেদ।
ঈদের জামাত শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। হেলসিনকির সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা জামাত দুটিতে অংশ নেন।
ঈদ জামাতে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবদুস সালাম খান, রিয়াজ সহিদ, আশরাফ আহমেদ, আবদুল ওয়াদূদ, জাকির হোসেন, জামান সরকার, গাজী সামসুল আলম, নাসির উদ্দিন মজুমদার, নাজমুল হাসান, আবুল কালাম শহিদুল, মো. মহসীন, শহীদুল আলম, লাবীব, তাসিন, আবুল কাসেম প্রমুখ।
এবারের ঈদে ভিন্ন মাত্রা এনেছে ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি।
বরাবরের মতো এবারও বাঙালিদের ঈদ উৎসবে ছিল বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি খাবার। একে অপরের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়া। মাতৃভূমি বাংলাদেশে টেলিফোন করে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও খোঁজ-খবর নেওয়া ইত্যাদি। ঈদের এই আনন্দে একে অপরের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়ার রেওয়াজ একাধারে তিন-চার দিন চলবে।
মোটকথা, মাতৃভূমির মায়া আর দেশে ফেলে আসা স্বজনদের জন্য ভালোবাসা বুকে চেপে বাংলাদেশসহ অন্য দেশের প্রবাসীরা সবাই পরস্পর ভাগাভাগি করছেন আনন্দ। সুযোগমতো ফোন, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার ও মেসেঞ্জারে যোগাযোগ হচ্ছে নিজ নিজ দেশে। অনেকেই অশ্রুসজল হয়ে পড়ছেন শয্যাশায়ী মা-বাবার জন্য। কেউ সন্তানের কচি মুখ মনে করে চোখ মুছছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সবাই হাসিমুখেই উদযাপন করছেন ঈদকে।