প্রিয়বাংলার ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান

নৃত্য পরিবেশনা
নৃত্য পরিবেশনা

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার স্প্রিং ফিল্ডের হলিডে ইন এক্সপ্রেস হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার অন্যতম বৃহৎ সামাজিক সংগঠন প্রিয়বাংলার ধন্যবাদজ্ঞাপন অনুষ্ঠান। ১১ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রিয়বাংলার সারা বছরের কার্যক্রমে ও বিশেষভাবে ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে অনুষ্ঠিত প্রিয়বাংলা পথমেলা সফলভাবে উপস্থাপন করার জন্য যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন এবং অনুষ্ঠানটিকে মাল্টিকালচারাল কমিউনিটি ​ও এই এলাকার বাঙালি সমাজের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে সাহায্য করেছেন তাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানোর জন্যই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি প্রচুর লোকসমাগমে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে প্রিয়বাংলা পরিবারের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। যেন অনেক দিন পর প্রিয়বাংলা পরিবারের সবাই মিলে এক মিলন উৎ​সবে যোগ দিয়েছেন। আর তাই প্রাণের আনন্দে, ভাবের আদান-প্রদানে এক সুন্দর প্রাণবন্ত সন্ধ্যার অভিজ্ঞতায় আপ্লুত হয় সবার মন।
প্রিয়বাংলা ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার অন্যতম বৃহৎ সামাজিক সংগঠনই নয়, এটা মূলত একটি ভিন্নধর্মী, ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের এক সংগঠন। এর কার্যক্রমের ধারায় ও ব্যাপ্তিতেই তার বহিঃপ্রকাশ। পথমেলা থেকে শুরু করে সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার জন্য এই সংগঠন সারা বছরব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়ে থাকে। প্রিয়বাংলা ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকায় বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করে তা বর্তমান প্রজন্মের আত্মার খোরাক যুগিয়ে যাচ্ছে। চর্চা ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে ও একই সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে আমাদের দেশ, দেশের ইতিহাস, আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে এর ধারাবাহিকতাকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মূলত এরা সবাই স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি গভীর অনুরাগেই এ সব সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া মাল্টিকালচারাল কমিউনিটির সঙ্গে বৃহত্তর পরিসরে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকায় প্রিয়বাংলা যে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, তার স্বীকৃতি হিসেবে স্থানীয় সরকারি কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রিয়বাংলাকে অকুণ্ঠ প্রশংসা করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কেক কাটার দৃশ্য
অনুষ্ঠানে কেক কাটার দৃশ্য


অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপস্থিত বিশেষ অতিথিদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন লেখক, কবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও বর্তমানে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগে কর্মরত আনিস আহমেদ। তিনি প্রিয়বাংলার কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে সংগঠনটিকে ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার একটি ব্যতিক্রমধর্মী সামাজিক সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রিয়বাংলা এই এলাকার মাল্টিকালচারাল বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করছে। এতে করে বাঙালি সমাজ ও আমাদের তরুণ প্রজন্ম হীনমন্যতা থেকে বেরিয়ে আসার বা মুক্তি পাওয়ার একটা সুন্দর পথ খুঁজে পেয়েছে। কারণ তারা মূলধারায় মিশে গিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব, নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রিয়বাংলার কাজে তিনি সাংস্কৃতিক ভাব-বিনিময়ের মাধ্যমে মূলধারায় মিশে যাওয়ার প্রয়াস দেখতে পাচ্ছেন। যা আমাদের সমাজের জন্য একান্ত প্রয়োজন। তিনি প্রিয়বাংলার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন ও অনুষ্ঠানে সহযোগী হতে পেরে আনন্দিত হয়েছেন বলে জানান।

প্রিয়বাংলার সদস্যরা
প্রিয়বাংলার সদস্যরা

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রিয়বাংলার প্রধান স্পনসর ও উপদেষ্টা, পিপল অ্যান্ড টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু বকর হানিফ। তিনি ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার সমস্ত সংগঠনগুলোর মাঝে প্রিয়বাংলাকে একটি ভিন্ন, ব্যতিক্রমী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তারা শুধু নিজেদের বৃত্তেই নয়, বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বা মাল্টিকালচারাল কমিউনিটির সঙ্গে সাংস্কৃতিক ভাববিনিময় করে আসছে। বিগত চার বছর ধরে তিনি প্রিয়বাংলার সফল কার্যক্রম দেখে এসেছেন। এ ছাড়া প্রিয়বাংলা শুধু সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখেনি, তারা সমাজের উন্নয়ন ও সেবামূলক কার্যপরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে এবং তা সফলভাবে অব্যাহত রেখেছে। তিনি প্রিয়বাংলার কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে উল্লেখ করে বলেন, প্রিয়বাংলার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। ভবিষ্যতেও তার এই সহযোগিতা ও সহভাগিতা অব্যাহত রাখবেন। প্রিয়বাংলার অগ্রযাত্রায় তিনি সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

আলোচনার পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে যারা সংগীত পরিবেশন করে সবার মন জয় করেছেন তারা হলেন; পুলি রানি বালা, রবিউল আলম, অসীম রানা, মৃদুল রহমান, কলিন্স গোমেজ, ডা. রাকেশ মাথুর, এ্যাডি ও সংগীতা। তবলায় ছিলেন প্যাট্রিক গোমেজ, মৃদঙ্গ ও জিপসিতে ছিলেন সেলিম আক্তার। মেরিল্যান্ডের বাঙালি-আমেরিকান খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের (বাকা) পক্ষ থেকে নৃত্য পরিবেশন করে সবার মন কেড়ে নেয় সিন্থিয়া, শ্রুতি ও রিয়া।

সম্মাননা প্রদানের দৃশ্য
সম্মাননা প্রদানের দৃশ্য


অনুষ্ঠানে ড. শাহজাহান মাহমুদকে প্রিয়বাংলার পক্ষ থেকে সম্মাননা পদক দেওয়া হয়। তিনি বিটিআরসির প্রধানে নিযুক্ত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানানো হয় ও এ জন্য তার হাতে একটি সম্মাননা পদক তুলে দেওয়া হয়। পদক তুলে দেন প্রিয়বাংলার অন্যতম দুই কর্ণধার প্রিয়লাল কর্মকার ও জীবক বড়ুয়া।
ড, শাহজাহান মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার পক্ষ থেকে এই প্রথম কোনো সংগঠন তাকে অভিনন্দন জানাল। তিনি আরও বলেন, আমাদের সমাজে আলোকিত মানুষদের বা জ্ঞানী-গুণী মানুষদের সম্মাননা জানানোর ক্ষেত্রে কোনো যথাযোগ্য উদ্যোগ সাধারণত গ্রহণ করা হয় না বা আমরা কুণ্ঠা বোধ করি। এটা দুঃখজনক। এটা আমাদের সমাজের জন্য একধরনের হীনমন্যতা বা আত্মিক দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। তিনি তার নতুন দায়িত্বে দেশের টেলিকমিউনিকেশন ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার ক্ষেত্রে উন্নতিকল্পে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন বলে জানান। এ ছাড়া তিনি উল্লেখ করেন, প্রিয়বাংলার সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সম্পৃক্ত থেকে এর কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেছেন। প্রিয়বাংলা ওয়াশিংটন এলাকার ব্যতিক্রমী সংগঠন। তিনি আরও বলেন, প্রিয়বাংলার প্রধান কর্মীদের সাংগঠনিক পরিচালনায় তিনি প্রশংসাযোগ্য দক্ষতা লক্ষ্য করেছেন ও তাদের কাজের ব্যাপ্তি, গভীরতা ও সামাজিক উন্নয়নে সম্পৃক্ততার ভূয়সী প্রশংসার যোগ্য।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনা
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনা

প্রিয়বাংলার অন্যতম সামাজিক প্রকল্প স্বাস্থ্যসেবায় যে সব চিকিৎসক বিশেষ ভূমিকা রেখে স্বাস্থ্যসেবা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে উপস্থিত ডা. সাইদ মাহতাবউদ্দিন ও ডা. রাকেশ মাথুরকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তাদের প্রশংসা করা হয়। প্রিয়বাংলার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা ও এর কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে চিকিৎসক দুজন উল্লেখ করেন, প্রিয়বাংলার এই মহতী প্রকল্পে সাহায্য করতে পেরে তারা অতিশয় আনন্দিত ও তাদের এই সহভাগিতা তারা অব্যাহত রাখবেন ভবিষ্যতেও।
এরপর মঞ্চে আরবান করা হয় প্রিয়বাংলার সাংগঠনিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য নিয়োজিত বিশেষ পরামর্শদাতাদের। তারা হলেন ওয়াহেদ হোসেইনি, অসীম রানা, সুখময় বাইন ও ডা. রাকেশ মাথুর। ওয়াহেদ হোসাইনি তার বক্তব্যে বলেন, প্রিয়বাংলা ওয়াশিংটন মেট্রো এলাকার সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি সংগঠন। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়ের মধ্য দিয়ে সংগঠনটি মূলধারার সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছে, সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্যক্রম। তিনি প্রিয়বাংলার কাজের প্রশংসা করে বলেন, প্রিয়বাংলা যেসব সামাজিক-সাংস্কৃতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তার মূল্যায়ন ভবিষ্যতে হোক বা না হোক, তাদের এই প্রয়াস চালিয়ে যাওয়া উচিত। তিনি বলেন, প্রিয়বাংলার সঙ্গে উপদেষ্টা হিসেবে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে তিনি আনন্দিত ও গর্বিত।
অনুষ্ঠানের এই পর্যায়ে প্রিয়বাংলার অন্যতম কর্ণধার প্রিয়লাল কর্মকার উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তাদের আন্তরিক সহযোগিতা, সহভাগিতা, অক্লান্ত পরিশ্রম ও তাদের অবদানের জন্য। তিনি জানান, প্রিয়বাংলা​র ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা হলেন; প্রিয়লাল কর্মকার, শিবলী সিরাজ, জীবক বড়ুয়া, ফারহানা হানিফ, প্যাট্রিক গোমেজ, রুম্পা বড়ুয়া, আমিরুল ইসলাম, জাহিদ হাসান, এ্যন্থনী পিউস গমেজ, ডেমিয়ান ডিয়াস, খালেদ চৌধুরী, নূপুর চৌধুরী, বাণীব্রত ঘোষ, সেলিম আক্তার, মৌসুমি ফাতেমা, পুলি আর, বালা, পীযূষ বড়ুয়া, মিতালি গোমেজ, দীপ্তি বড়ুয়া, নাবিয়া হাসান বৃষ্টি, তুষার চৌধুরী রতন ও দুলাল রায়।
এ ছাড়া উপদেষ্টা, হিতাকাঙ্ক্ষী, স্পনসর ও ডোনার সবাইকে তাদের সবার ভূমিকা ও সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি পথমেলা ও আয়োজিত ধন্যবাদজ্ঞাপন অনুষ্ঠানের স্থিরচিত্র গ্রহণের জন্য বিপ্লব দত্ত ও রাজিব বড়ুয়াকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রিয়লাল কর্মকার সবার সহযোগিতায় ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় প্রত্যয়ে পথচলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

উপস্থিতি
উপস্থিতি


এরপর অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কেক কেটে সবার সঙ্গে সহভাগিতা করা হয়। যারা নৈশভোজে পরিবেশিত খাবার সরবরাহ করেছেন, পরিবেশনে সাহায্য করেছেন তাদেরও বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেওয়া হয় স্বদেশি সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করার জন্য।
অনুষ্ঠানের শেষ আয়োজন ছিল হলে উপস্থিত সবাইকে নিয়ে ডিজে মিউজিকের সঙ্গে নেচে গেয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে একাকার হয়ে যাওয়া। নবীন-প্রবীণের সম্মিলিত এই আনন্দ উল্লাস ছিল দেখার ও মনে রাখার মতো। সবাই আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে নৃত্য-ছন্দে মেতে উঠে সংগীতের তালে তালে। সে কী উচ্ছ্বাস, নির্মল আনন্দ!
অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন এ্যন্থনী পিউস গমেজ, অসীম রানা ও রফিকুল ইসলাম। আলোকসজ্জা ও শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন প্যাট্রিক গোমেজ।
আনন্দ উল্লাসের জোয়ারে কখন ঘড়ির কাঁটা গভীর রাতের সীমানায় পৌঁছে গেছে কেউ বুঝতে পারেননি। এক সময় সমাপ্ত হলো আনন্দ আয়োজন। সবাই বিদায় নিয়ে চলে যান যার যার গন্তব্যস্থলের দিকে। সঙ্গে নিয়ে যান অনন্য একটি সন্ধ্যার সোনালি স্মৃতি। সে স্মৃতির ক্যানভাসে আটকে রইল ভালো লাগার কিছু মুহূর্ত, আনন্দঘন কিছু মুহূর্তের আঁচড়, রয়ে গেল সবার সঙ্গে মিলনের ও ভালোবাসার অনুভবে এক অনন্য অনুভূতির ছোঁয়া!
রিপোর্ট ও অ্যালবাম ফটো ক্রেডিট: বিপ্লব দত্ত।
প্রিয়বাংলার ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের ছবির অ্যালবাম দেখার জন্য ক্লিক করুন: