কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে হাতে গোনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য গতকালের (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যাটি ছিল অন্য দিনের তুলনায় একটুখানি আলাদা। দেশটিতে বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল কাউনাইন নমপেনে এসেছেন তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করার জন্য। রাজা নরদোম সিহামনের কাছে তিনি পরিচয়পত্র পেশ করবেন। এ জন্য রাষ্ট্রীয় সফরে মো. নাজমুল কাউনাইন এখন নমপেন এ অবস্থান করছেন। সম্প্রতি তিনি থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হয়েছেন। থাইল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসের অধিভুক্ত কম্বোডিয়া।
মো. নাজমুল কাউনাইন নমপেনে এসে এখানে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে তাঁর সঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় দেখা করি। আর সেই সাক্ষাৎই ছিল আমাদের গতকালের আনন্দঘন সন্ধ্যার মূল কারণ। রাষ্ট্রদূত সস্ত্রীক তাঁর সফরসঙ্গীসহ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাঁদের ফুলেল সম্ভাষণ জানানো হয় বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে।
মিলনমেলায় রাষ্ট্রদূত ও তাঁর সফরসঙ্গীরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের কম্বোডিয়ায় অবস্থানের সুবিধা–অসুবিধার বিষয়ে মনোযোগ সহকারে শোনেন। পরিচয়পর্বে তিনি একে একে সবার পরিবার থেকে শুরু করে, কর্মস্থল ও ব্যবসা-বাণিজ্যের খবরাখবর জানতে চান। কয়েকজনের জিজ্ঞাসারও ব্যাখ্যা দেন। প্রবাসীদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ছিল আন্তরিকতাপূর্ণ।
প্রবাসীদের এই মিলনমেলায় কাকতালীয়ভাবে উপস্থিত হয়েছিলেন লেখক, ইতিহাসবিদ, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। আমরা জানতাম তিনি খেমার রুজ আমলের গণহত্যার ওপর নানা তথ্য সংগ্রহের জন্য কম্বোডিয়ায় এসেছেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমাদের কারও যোগাযোগ হয়নি। আমরা ভাবতেও পারিনি হঠাৎ করে আমরা তাঁকে এত কাছে পাব। তাঁর উপস্থিতিও আমাদের জন্য স্মৃতি হয়ে থাকল। অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দেন।
রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল কাউনাইন তাঁর সমাপনী বক্তব্যে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সব বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতার কথা বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন। এভাবে সুন্দর সন্ধ্যা গড়ায় অনেক রাত পর্যন্ত। নৈশভোজের পর মন না চাইলেও সবাইকে একসময় ফিরতে হলো নিজ ঘরের ঠিকানায়।