প্যারিসে এফবিসিসিআই ও ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বারের মধ্যে সমঝোতা সই

এফবিসিসিআই এবং ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছেছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এফবিসিসিআই (ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি) এবং ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ১২ নভেম্বর এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বারের সভাপতি কাজী এনায়েত উল্লাহ নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

উভয় সংগঠনের মধ্যে চুক্তি সইয়ের গুরুত্ব ও এর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জানতে চাইলে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা ফ্রান্সে বিভিন্ন ব্যবসা করতে চান বা বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি করতে চান, তাঁরা ব্যবসায়িক যেকোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বার বিষয়টি দেখভাল করবে। অন্যদিকে ফ্রান্সের কেউ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে গিয়ে যেকোনো সমস্যার মুখোমুখি হলে এফবিসিসিআই সেটি দেখভাল করবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের বহুমুখী সুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি ফ্রান্সের ব্যবসায়ীদের প্রতি বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

অন্যদিক কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, এই চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে ফ্রান্স ও বাংলাদেশ উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে যে শক্তি অর্জিত হবে, তাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ফ্রান্স তথা ইউরোপে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে যেকোনো ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় আমি ও আমার সংগঠন সর্বতোভাবে কাজ করবে। আমরা সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।

ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বার আয়োজিত প্যারিসে সংগঠনটির প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ মোমেন, সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এবং মো. আমিনুল হক শামীম, সাবেক সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, পরিচালক শমী কায়সার, প্রীতি চক্রবর্তী, মো. সাইফুল ইসলাম, খান আহমেদ শুভ ও ফেরদৌসী বেগম; বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক জেসমিন আক্তার এবং ফ্রান্সের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশি কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন তুলুজ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফকরুল আকম সেলিম, ফ্রান্স-বাংলাদেশ ইকোনমিক চেম্বারের সদস্য শরিফ আল মমিন, টি এম রেজা, সুব্রত ভট্টাচার্য, তাপস বড়ুয়া, এমদাদুল হকসহ ফ্রান্সের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
*ফারিয়া নূর, সরবন ইউনিভার্সিটি, প্যারিস, ফ্রান্স