পেগি ও হোয়াইট হাউসের কেলেঙ্কারি
–একাই মরতে হবে দেখছি!
–মরণ একাই হয় জর্জ! জন্মটা যেমন একাকী, মৃত্যুটাও তেমনি।
–যৌবনের শুরুতে যাত্রীবাহী বিমানের পাইলট হওয়ার শখ ছিল।
–এতে অনেকজনকে সঙ্গে নিয়ে মরার সুযোগটা ছিল!
যেকোনো বিষয়কে হালকা করে দেখায় মার্কিনদের জুড়ি নেই। চরম হতাশার মধ্যেও এরা নিজেকে নিয়ে কৌতুক করতে পারে। জীবনের গভীরতা যেমন দেখে, জীবনকে তেমনি হালকা করে দেখার কৌশলটিও তাদের জানা।
জর্জের মন ভালো নেই। তাঁর ইউক্রেনীয় স্ত্রী নাতালিয়া দুই সপ্তাহ থাকার কথা বলে স্বদেশে গেছেন। ফেরার নাম নেই। জানিয়েছেন, বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। ঠিক কী কারণে ব্যস্ত, তেমন কিছু জানাননি। কবে আসছেন, তাও বলছেন না।
বিষয়টা ভালো ঠেকছে না জর্জের। নানা দুশ্চিন্তা ভর করছে। এ বয়সে আর দুশ্চিন্তা ভাল্লাগে না! ঘরে বসতেও ভালো লাগছিল না। করোনাকালেরও অবসান হচ্ছে না সহসা! ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আশাবাদ ঝুলিয়ে শুরু হয়েছে ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াই!
এ জগৎ সংসারে বন্ধুজন ছাড়া জর্জের তেমন কেউ নেই। আনন্দ–হতাশার এ জীবনটাকে নিঃসঙ্গ মনে হয় মাঝে মধ্যে! নিজেকেই নিজে প্রবোধ দেন, মানুষ শেষ পর্যন্ত নিঃসঙ্গই থেকে যায়!
–জীবনে যার দিকেই হাত বাড়িয়েছি, বড় একটা ঝাঁকুনি নিয়ে হাতটা সরিয়ে নিয়েছে—কথাটা বলেই জর্জ শূন্যের দিকে তাকিয়ে থাকেন।
মোবারক আজ কিছুই বলছেন না। বন্ধুর মন খারাপে তার নিজেরও মন খারাপ। মনের খবর গোবিন্দই জানেন!
চিলি নামের এক রেস্তোরাঁয় বসে আছেন। মোবারক ভাবছিলেন, প্রেসিডেন্টদের নিয়ে টাউন হল মিটিংটা দেখবেন টিভিতে, খাওয়া আর আড্ডার ফাঁকে টিভি দেখার মধ্যেও আনন্দ নেই। রেস্তোরাঁর টিভিতে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ফুটবলের গেম চলছে। দূরের টেবিলে বসা চারজন লোক পাতে খাবার রেখে হামলে পড়েছে টিভির দিকে।
খেলা পাগল এই মানুষগুলো নির্ঘাত নির্বাচনের তারিখটাও বলতে পারবে না। দেশ নিয়ে উদাসীন লোকজনও মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রেই বেশি। বিশ্বের সেরা দেশের দাবিদার দেশটির ৪০ শতাংশ মানুষ তাদের ভাইস প্রেসিডেন্টের নামটা পর্যন্ত জানে না।
শাহানা আর ফাতিমা ফিসফিস করে কিছু বলছিলেন। শাহানা সাদা জামার ওপর লাল কোট পরেছেন। লম্বা কালো চুল এলিয়ে পড়েছে চেয়ারের হাতল পেরিয়ে। রেস্তোরাঁর উজ্জ্বল বাতি কালো চুলের ঢেউয়ের ওপর পড়ে একধরনের নীলাভ রং ছড়াচ্ছে।
জর্জ আনমনে এ রঙের খেলা দেখছেন। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে একাধিক যুদ্ধ করে আসা মাটির খাঁটি সন্তান জর্জ। আবেগ তাঁকেও তাড়া করে। আজকাল বেশিই করে!
নারীরা আজকাল কী বেশি সুন্দর হয়ে উঠেছেন জর্জ?
ফিসফিস করে কথাটা বলে পরিবেশ হালকা করার চেষ্টা করি। জর্জ মাথা নাড়ালেন। বোঝা গেল, গভীর কোন ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন না।
জর্জের দিকে তাকিয়ে থাকার ভান করছি। কান ও মন ততক্ষণে অন্যদিকে।
ফাতিমা আর শাহানা পরস্পরের পায়ের দিকে তাকাচ্ছেন ঘনঘন। দুই সুন্দরী নারী জুতো নিয়ে কথা বলছিলেন।
ফাতিমা বলছিলেন, মিসরে চামড়ার স্যান্ডেল খুব জনপ্রিয়। গ্লাডিয়েটর স্যান্ডেল নামের একধরনের পাদুকা পরেছেন ফাতিমা। বাদামি চামড়া হাঁটু পর্যন্ত সাপের মতো পেঁচিয়ে উঠেছে।
আশপাশের এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার কোন মানেই হয় না।
পায়ের দিকেই মনোযোগটা তীব্র হয়ে উঠে। পাদুকা নয়, আসলে পা দেখছিলাম। সাপের প্যাঁচের ওপর কারুকাজের ফাঁক দিয়ে পা দেখা। পায়ের সৌন্দর্য বর্ণনা করতে কোন কবিতার লাইনও খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
‘জুতো আবিষ্কার’ কবিতাটি এমন পরিস্থিতে একদমই মানানসই হবে না। দ্রুত বাতিল করে দিই চিন্তা। বাংলা সাহিত্যে নারীর পদ সৌন্দর্য বর্ণনা খুঁজছিলাম।
নিজেকে ব্যর্থ কবিতা প্রেমিক মনে হচ্ছিল। ফাতিমা টের পেলেন।
পা আর পাদুকার দিকে তাকিয়ে তো বলতে পারি না, চুল তার কবেকার...
নিজেকে খুব আনস্মার্ট মনে হচ্ছিল।
–কোন কবিতা খুঁজে পাওয়া না গেলে আমি সাহায্য করতে পারি।
মিসরীয় সভ্যতার পুরোনো একটি কবিতার অনুবাদ বলে দিচ্ছি। পরেরবার কোন নারীর পা দেখে বলতে গিয়ে হোঁচট খেতে হবে না আপনাকে!
ফাতিমা শুরু করে দিলেন,
Her legs parade her beauty;
With graceful step she treads the ground,
Captures my heart by her movements.
She causes all men's necks
To turn about to see her;
Joy has he whom she embraces,
খ্রিষ্টের জন্মের এক হাজার বছর আগের কোন সময়ের লেখা। মিসরের সবচেয়ে পুরোনো সাহিত্যের সংগ্রহশালায় কবিতাটা আছে বলে জানালেন ফাতিমা।
মোবারকের অগ্নিচোখে চোখ পড়ে যাওয়ায় কবিতা প্রসঙ্গটি এড়ানোর চেষ্টা করছিলাম।
শাহানাই প্রসঙ্গ থেকে উদ্ধার করলেন।
–মি. জর্জ, নাতালিয়া নিশ্চয়ই ভালো আছেন। এ নিয়ে এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই! চলেন নির্বাচন নিয়ে কথা বলি।
দিন দিন শাহানা আমাদের অবাকই করছেন। জম্পেশ আড্ডার মানুষ হয়ে উঠেছেন। বহু জনমিশ্রণের এ দেশে এভাবেই মানুষ আপন হয়ে উঠে। মোবারক প্রসঙ্গে প্রবেশ করলেন।
–কত কারণে কতজনের মন খারাপ! ৩ নভেম্বরের আগে–পরে এমন মন খারাপের ঘটনা আরও ঘটবে।
স্মরণ করিয়ে দিলাম, ট্রাম্প তাঁর জনসভায় বলেছেন, ‘আমি নির্বাচনে হারলে কী হবে আপনারা ভাবতে পারেন? সারা জীবন আমি কী করব? যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ প্রার্থীর কাছে হারার বিষয়টা বাকি জীবন আমি কীভাবে বয়ে বেড়াব? এ নিয়ে খুব ভালো বোধ করব না। জানি না, হয়তো আমাকে দেশই ছেড়ে যেতে হবে।’
–নির্বাচনে হেরে গেলে ট্রাম্প কি মেলানিয়াকে রেখেই অন্য দেশে চলে যাবেন?—রহস্যের হাসি মুখে নিয়ে শাহানার প্রশ্ন।
মোবারক লুফে নিলেন—না মেলানিয়া থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থ সাংবাদিকেরা মেলানিয়ার পায়ের গোড়ালি দেখে দেখে কবি হয়ে উঠবেন!
মোবারক বেশ বেপরোয়া হামলাই চালালেন—সাংবাদিকরাই এ চার বছর ট্রাম্পের তোপের মুখে ছিলেন। যেকোনো পেশাজীবীর মধ্যে সাংবাদিকরাই অভিযুক্ত হয়েছেন বেশি। একটা দেশের প্রেসিডেন্টের নিত্য আক্রমণ মোকাবিলা করা যে সহজ কাজ নয়, এ কথা সবাইকে বোঝানো যাবে না।
–সবাইকে বোঝানোর দরকার নেই। তোমার যখন যাকে বোঝানোর দরকার তা করতে পারলেই হবে ইব্বি!
ফাতিমা হাসতে হাসতে মোবারকের প্লেটে খাবার উঠিয়ে দেন। শাহানা জর্জের দিকে ঝুঁকে কথা বলছিলেন।
–শুনছিলাম মি. জর্জ, আপনি যাত্রীবাহী প্লেনের পাইলট হতে চেয়েছিলেন এক সময়।
–হ্যাঁ, একা নয় সবাইকে নিয়ে মারা যাওয়ার বুদ্ধি!
–এ সুযোগ এখনো আছে, আমাদের দেশের বাস ড্রাইভার হয়ে যান। যাত্রীসহ বাস খাদে পড়ে নিত্যদিন। নির্ঘাত অনেককে নিয়ে পটল তোলার এ ব্যবস্থা এখনো আমাদের আছে!
নিজের দেশের বাস চালকদের নিয়ে একটা কৌতুক শোনাতে চাচ্ছেন ফাতিমা। কবিতা ছেড়ে আজ ফাতিমা কৌতুক বলছেন! মোবারককে সামাল দেওয়ার চেষ্টা মনে হয়।
কৌতুকে মনোযোগ দিতে সবাইকে আহ্বান জানাই। বললেন, মিসরের সড়ক পথ কয়েক দশক আগে বেশ খারাপই ছিল। কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে শোনা কৌতুক। যাত্রীবাহী বাসের চালক আর এক ধর্মগুরু মারা গেছেন একই দিনে। ধর্মগুরু দেখেন বিশাল শোভাযাত্রাসহ বাস চালককে স্বর্গে সাদর অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে।
ধর্মগুরু মন খারাপই করলেন। জানতে চাইলেন, সারা জীবন কুমার থেকেছেন। সংযমের জীবনযাপন করেছেন। ধর্মালয়ের মূল চেতনা ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। তার চেয়ে একজন বাসচালককে কেন অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
ধর্মগুরুকে জানানো হলো, বাসচালক যাত্রী নিয়ে বাস চালিয়েছেন জীবনভর। যাত্রীরা যখনই বাসে বসেছেন, এমনকি মিসরের কমিউনিস্ট পার্টির লোকজনও তখন অবিরাম ঈশ্বরের নাম জপেছেন। যখন চালকটি মারা যান, তখন অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
এক শ মাইলের বেশি গতি ছিল গাড়িতে। নিজে ঈশ্বর নাম জপ না করলেও যাত্রীরা করছিলেন। এতজনের সম্মিলিত প্রার্থনা ঈশ্বর শুনেছেন। জীবনভর ‘পুণ্যবান’ অভিযাত্রার লোকটিকে মৃত্যুর পর ভিআইপি মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে এ কারণেই।
–এবারের নির্বাচনের পরে হোয়াইট হাউসের সামনে এমন একটা যাত্রীবাহী বাস লাগবে। উনি একা নন। বেশ কিছু লোক–লস্কর নিয়েই উঠতে হবে বাসটিতে।
হোয়াইট হাউসের ঐতিহাসিক স্ক্যান্ডাল নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন জর্জ। পেটিকোট স্ক্যান্ডাল। কুখ্যাত, বিখ্যাত রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির গল্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের সময়ের ঘটনা। ১৮২৯ সাল থেকে ১৮৩১ সাল পর্যন্ত অস্থির হয়ে উঠেছিল হোয়াইট হাউস। যুদ্ধমন্ত্রী জন ইটনের স্ত্রী পেগি ইটনের কারণে মন্ত্রিসভা ভেঙে দিতে হয়েছিল। তখনকার ভাইস প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর নেতৃত্বে হোয়াইট হাউস ঘিরে থাকা ক্ষমতাসীন মহলের স্ত্রীদের মধ্যে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে।
জর্জ বলছিলেন, ভাবতে পারো, আজকের সময়ে এমন ঘটলে কি হতো? ১৮২৯ সালে এমন গণমাধ্যমের দৌরাত্ম্য ছিল না।
–মার্গারেট ইটন বা পেগি ইটন নিয়ে আমারও বেশ উৎসাহ। মেলানিয়া ট্রাম্প যখন প্রথম হোয়াইট হাউসে আসেন, প্রায় দুই শতাব্দী আগের এসব ইতিহাস নিয়ে কথা উঠেছিল।
–লুটপাট, শোষণ আর অবদমনের ইতিহাসের সঙ্গে কেলেঙ্কারির ইতিহাসটাও সমৃদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের!
মোবারক উনুনে তাপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন।
–উৎসাহ তোমার থাকারই কথা ইব্বি। ওয়াশিংটনকে নাড়া দেওয়া সুন্দরী ছিলেন পেগি। ধনকুবের পরিবার থেকে আসা ইটন হোটেল মালিকের সুন্দরী মেয়ে ছিলেন।
–৩ নভেম্বরের পর ওয়াশিংটন ডিসিতে যেতে চাই। ইটন হোটেলে বসে পেগির গল্পটা শুনলে কেমন হয়! এর মধ্যে নাতালিয়াও চলে আসবেন হয়তো!
–যদি না আসেন?
কথাটি বলে মোবারক কী কিছু বোঝাতে চাচ্ছিলেন? জর্জ তেমন গা করলেন না। পেগি ইটনের গল্প বলতে শুরু করলেন।
ওয়াশিংটনের ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সুন্দরী পেগির দহরম-মহরম ছিল। এ নিয়ে অনেক কেচ্ছাকাহিনি তখন ছড়িয়ে পড়েছিল। ভাইস প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর নেতৃত্বে তখন মার্গারেট ইটন বা পেগি ইটনের অনৈতিকতা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছিল।
–ভাগ্যিস মেলানিয়া নয়, এবারে এমন অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। প্রথম চার বছরে অন্তত ২৬ জন নারী ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে হেনস্তা হওয়ার অভিযোগ এনেছেন। তাদের নৈতিক–অনৈতিক সম্পর্কের কথা বলেছেন।
শাহানার এমন মন্তব্যের দ্রুত উত্তর দিলেন মোবারক।
–সু, মার্কিনদের কাছে নৈতিকতা একটা বায়বীয় শব্দ আগেও ছিল, এখনো তাই!
জর্জ গল্পটি আর এগিয়ে নিতে চাচ্ছিলেন না।
–মার্গারেট ইটনের অনেক বিয়ে, সম্পর্ক—এসব বিষয়ে অন্যদিন কথা বলা যাবে। তাঁর জীবনের করুন পরিণতিও ক্ষমতাসীনদের কাছে এখনো চর্চিত হয়। দারিদ্র্যের কশাঘাতে তাঁর মৃত্যুর পর আত্মজীবনী বেরিয়েছিল। সেখানে পেগি নিজের মুখে বলেছেন, সত্য হচ্ছে আমি কখনো এমন কারও প্রেমে পড়িনি—যে ভদ্রলোক ছিল না, যে সমাজে ক্ষমতাবান ছিল না।
তাড়াহুড়ো করেছেন, নিজে অনেক ভুল করেছেন উল্লেখ করে পেগি বলেছিলেন, আমি কখনো দুশ্চরিত্র ছিলাম না!
–সুচরিত্রের সংজ্ঞাটা দু শ বছর আগেও তোমাদের জানা ছিল না, আজও নেই!
শেষ হামলা চালিয়ে মোবারক উঠে গেলেন। অন্যরাও উঠে গেলেন।
চিলি রেস্তোরাঁর দরজা ফাঁক করতেই শীতের দমকা বাতাস ফাতিমা আর শাহানার চুলে হামলা করেছে।
ফাতিমা পার্কিং লটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। জর্জ শাহানার কালো চুলের ঢেউ দেখছেন। আমি নিচের দিকেই তাকাচ্ছিলাম।
আদি মিসরীয় কবিতার লাইনটি মনে করার চেষ্টা করছিলাম,
‘Her legs parade her beauty’
বাংলা করলে কী হবে?
‘পায়ে তার সৌন্দর্য কুচকাওয়াজ’!