পর্তুগালে উৎসাহ উদ্দীপনায় বাংলাদেশিদের ঈদ উদযাপন
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পর্তুগালপ্রবাসী বাংলাদেশিরা উদযাপন করেছেন ঈদ। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশটিতে আজ মঙ্গলবার (৪ মে) ঈদ উদযাপন করা হয়। রাজধানী লিসবনসহ বাণিজ্যিক বন্দরনগরী পোর্তো, পর্যটননগরী আলগার্ভ, কাশকাইশ, কোইমব্রাতে অনুষ্ঠিত হয় ঈদুল ফিতরের জামাত।
লিসবনে বাংলাদেশি অধ্যুষিত মাতৃমনিজ পার্কের মাঠে ঈদের বড় জামাত স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় অনুষ্ঠিত হয়। হাফেজ মনজিল মোরশেদের কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ঈদের নামাজ। লিসবনের বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব অধ্যাপক মাওলানা আবু সায়িদ ঈদের জামাত পরিচালনা করেন। নামাজের আগে ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য নিয়ে বয়ান করেন মাওলানা আলাউদ্দিন।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী, প্রথম সচিব হাসান আবদুল্লাহ তৌহিদসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি মাতৃমনিজ পার্কের মাঠে ঈদের নামাজে অংশ নেন।
পোর্তোর বাঙালি অধ্যুষিত রুয়া দে লউরেইরোর হজরত হামজা (র.) মসজিদে ঈদের দুইটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ঈদের নামাজে বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের মুসলমানেরা নামাজে অংশ নেন।
ঈদের নামাজে শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবার অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়। তবে বাংলাদেশিদের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পায়জামা পাঞ্জাবি পরে ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ যেন বাংলাদেশের কথাই মনে করিয়ে দেয়। লিসবনের মাতৃমনিজ পার্কসহ পোর্তোর রুয়া দে লউরেইরোর ঈদগাহ ময়দান যেন পরিণত হয় প্রবাসের বুকে একখণ্ড বাংলাদেশ।
এ ছাড়া লিসবনের বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ ও মাতৃমনিজ জামে মসজিদে একটি করে, সেন্ট্রাল জামে মসজিদে তিনটি, ওধিবিলাস মাঠে একটি, ওধিবিলাস জামে মসজিদে দুটি, আমাদোরার জামে মসজিদ, রিবাইরালো বাংলাদেশি জামে মসজিদ, লংগাইরা-আলমোগরাভ, আলগ্রাবে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় ও কাসকাইস বাংলাদেশি জামে মসজিদে একটি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।