নুসরাত হত্যা
বিবেকের কাছে এ আমাদের এক অকল্পনীয় পরাজয়
একের পর এক দেশব্যাপী এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চলছে নির্দ্বিধায়
সাগর-রুনি, তনুসহ অন্য হত্যাকাণ্ডের সুবিচার হয় নাই,
যে কারণে এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের প্রবণতা যে বাড়িয়ে দিয়েছে তা বলতে বাধা নেই।
ধর্মের মুখোশ পরা মানুষ যারা করল মানবতার এই জঘন্য অবক্ষয়
তাদের যেন আশ্রয় মেলে না রাঘববোয়ালদের ঘরের আলোয়,
হত্যাকারীদের ঘৃণা করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি রোষে
ওই নরঘাতকদের শাস্তি দেখতে চাই রক্তের দাগ মুছে যাওয়ার আগে।
পৃথিবীর নানা দেশ ঘুরে জ্ঞাত হয়েছি যত
বহু বছর থেকেও সেথা দেখিনি এমন নির্মম হত্যার ক্ষত,
ধর্মের আবরণে যারা করে মানবতার অঙ্গহানি
শতধিক তাদের, অসীম ঘৃণা তাদের প্রাপ্য জানি।
মানবতার চিহ্ন রাখতে হলে দেশের মাটিতে
মা-বোনকে হত্যা-নির্যাতনকারীদের ক্ষমা নয় কিছুতে,
ধার্মিক ছদ্মবেশে বা রাজনীতির খোলসে সমাজে অপকর্ম করছে যারা
চাবুক মেরে করো তাদের সমাজছাড়া।
কী হবে উন্নয়ন দিয়ে মানুষ যদি বাক্স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলে
কী হবে রাস্তায় নিয়ন বাতি জ্বেলে, যদি সে রাস্তা জ্যান্ত মানুষ গেলে?
কী হবে সে সমাজ গড়ে, কী হবে সে দেশ গড়ে?
যে মানুষের অপমৃত্যু, ইজ্জত ঠেকাতে নাহি পারে?
(২৮ চৈত্র ১৪২৫)
সরদার সায়িদ আহমেদ: নমপেন, কম্বোডিয়া।