নিউজিল্যান্ডে নববর্ষ উদ্যাপন
নিউজিল্যান্ডের ক্যান্টারবারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসএইউসি) পক্ষ থেকে ৯ এপ্রিল আনন্দঘন পরিবেশে যথাযথভাবে উদ্যাপিত হয় বাংলা নববর্ষ-১৪২৮। ক্রিস্টচার্চের ডাভডেল ক্যাম্পাসের জ্যাক মান অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ মিশফাকুল কবির।
এ বিশেষ অনুষ্ঠানের শুরুতে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের উৎপত্তি, পটভূমি ও বিবর্তনের ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্যবহুল বক্তব্য দেন বিএসএইউসির সম্মানিত সদস্য নাশরাহ নাহরীন। এরপর মো. আওরঙ্গজেবের নেতৃত্বে উপস্থিত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সম্মিলিত কণ্ঠে পরিবেশন করা হয় বহুল পরিচিত রবীন্দ্রসংগীত ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো...’। ড. স্বর্ণালী অতসী তিসি এবং ছোট্ট শিল্পী টোপ্পা যৌথভাবে পরিবেশন করে একটি সুরেলা সংগীত ‘ধীতাং ধীতাং দোল…’। তারপরই বহুল পরিচিত বাংলা ফোকগান ‘আমার সোনার ময়না পাখি...’ গানটি শোভা পেয়েছিল মোনালি আলমের সুরেলা কণ্ঠে। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল তিন শিশু আবৃত্তিকার—রায়ীদ, রায়ীফ ও ইহানের যৌথ আবৃতি ‘এক যে ছিল ব্যাঙ...’ শিরোনামের কবিতাটি। ইউসি পিএইচডি শিক্ষার্থী সাগর হোসেনের কণ্ঠে ‘সর্বতো মঙ্গল রাধে বিনোদিনী রাই…’ এবং ‘মেলাই যাই রে...’ জনপ্রিয় বাংলা গান দুটি দর্শক-শ্রোতাদের প্রাণবন্ত করে তোলে। মো. আওরঙ্গজেব এবং মোনালি আলমের যৌথভাবে একটি প্রশংসনীয় পরিবেশন ছিল পুরোনো বাংলা গান ‘ওলিরও কথা শুনে বকুল হাসে …’। এরপর ড. স্বর্ণালী অতসী তিসি ও ইশফাকুর সিদ্দিকী সৌরভ উপস্থাপন করেছিলেন কতগুলো বহুল পরিচিত এবং প্রশংসিত পুরোনো বাংলা গান নিয়ে সাজানো একটি ফিউশন গান।
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাফি বিশ্বাস কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছাড়াই তাঁর আবেগী কণ্ঠে ‘এই বৃষ্টিভেজা রাতে…’ গানটি গেয়ে শ্রোতাদের অবাক করে দিয়েছিলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি ইতি টানে ইউসি বিজনেস স্কুলের পিএইচডি শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশের একজন পেশাদার সংগীতশিল্পী ও গীতিকার অর্ণব জাহিদ ‘তারাভরা রাতে...’, ও ‘আজ পাশা খেলব রে শ্যাম…’ গান দুটি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। এ ছাড়া অর্ণব জাহিদ তাঁর অপ্রকাশিত আসন্ন অ্যালবাম থেকে স্বরচিত ‘হীরক রাজার দেশ’ শিরোনামের গানটি পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশটিতে উপস্থিত দর্শকদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় মজার একটি গেম শো। অনুষ্ঠানের শেষে বিএসএইউসি সভাপতি ও ইউসি বিজনেস স্কুলের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. মেসবাহউদ্দিন চৌধুরী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন। এ ছাড়া বিএসএইউসির পক্ষ থেকে সাফল্যের সঙ্গে পিএইচডি এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করার জন্য যথাক্রমে মেহেদী হাসান (পিএইচডি) এবং তাঁর স্ত্রী ফারহানা ইসলামকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি