নাইজেরিয়ায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

যথাযোগ্য মর্যাদায় নাইজেরিয়ায় ২৬ মার্চে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৪৯তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসানের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উদযাপনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠ শেষে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়ন অভিযাত্রার ওপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মো. শামীম আহসান বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সব শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। একই সঙ্গে তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের ভূমিকার কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। মো. শামীম আহসান বাংলাদেশ কীভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা মোকাবিলা করে উন্নয়নশীল বিশ্বে গর্বিত ও ‘অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত’ হিসেবে গড়ে তুলেছে, তা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব কীভাবে বাংলাদেশকে দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, তা তিনি তথ্য ও পরিসংখ্যানসহ তুলে ধরেন।
হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে চলছে। ২০২১ সালে ব্যাপক উদ্দীপনার সঙ্গে স্বাধীনতার ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উদযাপন করা হবে। দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ শাহ ইকরামুল হকের সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বে মিশনের প্রথম সচিব বিদোষ চন্দ্র বর্মণও বক্তব্য দেন।

নাইজেরিয়াসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং জনমনে বিদ্যমান ভীতির কারণে শুধু মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে ঘরোয়া পরিবেশে, স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একই কারণে জাতীয় দিবস উপলক্ষে পরিকল্পিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি