নমপেনে এক স্মরণীয় সন্ধ্যা
তাদের আগমনটা নিঃসন্দেহে আমার কাছে একটা মহা আনন্দের বিষয় ছিল। তা বলার অপেক্ষা রাখে না। হ্যাঁ, আমি, মণিকা মানে আমার স্ত্রী, মেয়ে রুম্পা, নাতি আমান আর জামাই বাঁধনের কম্বোডিয়াতে বেড়াতে আসার কথা বলছি।
নাতির বয়স যখন তিন মাস তখন ওকে দেশে রেখে এসেছিলাম। এখন ওর বয়স ১০ মাস। সেই থেকে মনটা একেবারে আনচান করছিল নাতিকে দেখার জন্য। অনেক চড়াই-উতরাই করে শেষে ওরা এ দেশে এসেছে ১২ জুন।
এখানে-সেখানে ঘোরাফেরা করতে করতে প্রায় এক মাস খুব দ্রুতই বিদায় নেওয়ার পথে। আমার স্ত্রী, যিনি একাধারে একজন গৃহিণী, কবি, লেখক ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার, তাঁর শৈল্পিক চিন্তাভাবনা এবং মেয়ের ধারণাকে মূলধন করে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম নমপেনে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের নিয়ে একটা মিলনমেলা (গেট টুগেদার পার্টি) আয়োজন করার।
যে কথা সেই কাজ। ওদের আইডিয়াটা আমারও বেশ পছন্দ হলো। সঙ্গে সঙ্গে হাতের কাছে যাঁদের ফোন নম্বর ছিল, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। দারুণ উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া মিলল। সবাই মনে হয় মিলনমেলার একটা দিনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বিদেশে অবস্থানকালে মাঝেমধ্যে স্বদেশিদের সঙ্গে একত্র হওয়া, মায়ের ভাষায় কথা বলা, একটু আড্ডা দেওয়ার সুযোগ নিঃসন্দেহে অনন্য সুন্দর মুহূর্তের চিরায়ত আহ্বান।
সবার সহযোগিতায় অতি অল্প সময়ের ব্যবস্থাপনায় অবশেষে গত রোববার (৩০ জুন) আয়োজন করা হয় কাঙ্ক্ষিত সেই মিলনমেলার। আমাদের মিলনমেলা আকস্মিক হলেও বেশ আনন্দঘন হয়েছিল, তা বলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই। আমার পরিবারের সদস্যদের নমপেনে আসা উপলক্ষে বাংলাদেশিদের দেওয়া ডিনার পার্টি, খোশগল্প, আমেজ আর মতবিনিময়য়ের জন্য ছিল একটি উপভোগ্য সন্ধ্যা।
সেই স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্যই এই লেখা এবং নাতির উদ্দেশেই তা উৎসর্গ করার ঐকান্তিক বাসনা রইল। আমাদের সবাইকে ক্যামেরায় ঠাঁই দেওয়ার জন্য রফিক ভাই ও কবির ভাইকে অশেষ ধন্যবাদ। অন্য যাঁরা হৃদয়ের ভালোবাসা দিয়ে নানা ধরনের আকর্ষণীয় উপহারসামগ্রী নিয়ে এসেছিলেন আমার নাতি আমানের জন্য, আমার পরিবারের তরফ থেকে তাঁদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ।