দক্ষিণ কোরিয়ায় সিউলের বাইরে কনস্যুলার সেবা

দূতাবাসের সেবা গ্রহণের সময় লেখক, সঙ্গে দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মিসপি সরেন
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ দূতাবাস দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোগে, কনস্যুলার সেবাকে সাধারণ প্রবাসীদের কাছাকাছি আনার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন শহরে ছুটির দিনে কনস্যুলার সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় ১৪ নভেম্বর গিমহে সিটিতে ই-পাসপোর্ট-সংক্রান্ত কনস্যুলার সেবা প্রদান করা হয়।

দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মিসপি সরেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দল সকাল ৯টা থেকে ৬টা পর্যন্ত টানা সেবা প্রদান করে। এবারের কনস্যুলার সেবায়, করোনা প্রতিরোধে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬০ জন প্রবাসী সরাসরি সেবা গ্রহণের সুযোগ পান। এই সেবা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ দূতাবাসের, সিউলের বাইরে এই প্রথম ই-পাসপোর্ট-সংক্রান্ত দূতাবাস সেবা প্রদান করা হলো।

দক্ষিণ কোরিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের বিভিন্ন শহরে এমন বহিঃসেবা কার্যক্রম প্রশংসার যোগ্য
ছবি: সংগৃহীত

গত ২০ অক্টোবর ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট-সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগুলো সহজতর ও নিরাপদ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সিউলে বাংলাদেশের চতুর্থ মিশন হিসেবে ‘ই-পাসপোর্ট’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

সেবা গ্রহণকারী প্রবাসীদের মধ্যে শিক্ষার্থী, গবেষক, ইপিএস কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার বাংলাদেশি প্রবাসীরা ছিলেন। সবাই বাংলাদেশ দূতাবাসের এ ধরনের প্রবাসীবান্ধব কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিশেষত কনস্যুলার সেবা নিতে সিউলে ভ্রমণ করা সময়সাপেক্ষ বিষয়, সঙ্গে প্রবাসের এ ব্যস্ত সময়ে অফিস দিনগুলোতে ফ্রি টাইম ম্যানেজ করাও অত্যন্ত কঠিন। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে, সিউল থেকে অনেক দূরবর্তী শহর গিমহেতে এমন সেবা আয়োজনে দূতাবাসের এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।

*লেখক: বিকাশ রায়, গবেষক, দক্ষিণ কোরিয়া